আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিডরের দেশে র্যাংস(Rangs)

তৃতীয় বিশ্ব নয়, বাংলাদেশকে দেখতে চাই প্রথম বিশ্বের কাতারে

আজ পাঁচ দিন হয় Rangs ভবন কলাপ্স-এর। এখনো উদ্ধার কাজ শুরু হয়নি। কারন বিশেষজ্ঞরা অনুমতি দেননি। খুঁটি বসানোর কাজ শেষ হলে বিশেষজ্ঞরা আবার পর্যবেক্ষণ করে নিরাপদ মনে করলে উদ্ধার কাজ শুরু করার অনুমতি দেবেন। তারপর শুরু হবে উদ্ধার কাজ! (লাশ বের করার কাজ) যে নিরাপত্তার কথা ভেবে আমাদের বিশেষজ্ঞরা উদ্ধার কাজ শুরু করতে পাঁচ দিন সময় নেন, মৃত দেহ গুলোকে পচে গলে যেতে দেন, অর্ধমৃত লোকগুলোকে মরে যেতে পর্যাপ্ত সময় দেন, সেই বিশেষজ্ঞরা ভবন ভাঙ্গার কাজ শুরু করার সময় কোথায় ছিলেন? নিরাপত্তার কথা তখন কেন চিন্তা করলেন না? কেন আগে ঠিকা না দিয়ে ছাদ ফুটা করতে ব্যস্ত হলেন? ইট ভাঙ্গা আর একটা হাইরাইজ বিল্ডিং ভাঙ্গা যে এক কথা নয় আমাদের বিশেষজ্ঞরা কি এটা জানেন, বোঝেন? ডেমোলিশন ইঞ্জিনিয়ারিং নামে একটা কিছু আছে এটা কি আমাদের বিশেষজ্ঞরা জানেন? ২০-২২ তলা একটা বিল্ডিং-এর টপ ফ্লোরে বিশালকায় হাতুরি দিয়ে পেটালে যতটা ভাইব্রেশন সৃষ্টি হয় এবং সেই ভাইব্রেশন সহ্য করার মত ক্ষমতা বিল্ডিংটির আছে কিনা তা কি মেপে দেখেছেন? যদি তা না হয় তাহলে কেন ডেমোলিশন এক্সপার্ট হায়ার করলেন না? এবং পুরোপুরি প্রস্তুত না হয়ে তাড়াহুড়া করে এতবড় একটা ঝুকিপূর্ণ কাজ মূর্খের মত শুরু করলেন কেন? সিডর আক্রান্তদের পাশে হাজার হাজার মানুষ দাড়িয়েছে যে দেশে সেই দেশেই চোখের সামনে বাবার ঝুলন্ত লাশ নিয়ে পাঁচ দিন কাটিয়ে দিতে হয়। চোখের সামনে লাশ পচে যেতে দেখতে হয়। আমাদের বিশেষজ্ঞদের গাড়িতে চড়ে আসা-যাওয়া দেখতে হয়। হায়রে বিচিত্র দেশ!!!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.