পাগলা ছেলের... আউলা ব্লগ... যা বুঝি তাই লিখি... মাথা কম ঘামাই
প্রায় মরতেই বসেছিলাম সেদিন আরেকটু হলে। কি ভয়ানক ঝড়ের কবলে পড়েছিলাম !!!
রাত ১১,৩০ মিনিটে বাসা থেকে বের হলাম এয়ারপোর্টের দিকে। রাসেল ভাইকে নিউ-ইয়র্কের উদ্দেশ্য বিদায় দিবো বলে।
গাড়ি থেকে নেমে মাথা খারাপ হবার যোগাড়।
কি বাতাস!!!!
সত্যিই সহ্য করার মত না।
এমন ঠান্ডা বাতাসের কবলে আমি জীবনেও পড়ি নাই। আমার সাথে আরও ছিলো বড় দুলাভাই। উনি একটু মোটা মানুষ। তার পর্যন্ত ঠান্ডায় হাড্ডি খুলে যাবার অবস্থা।
এদিকে রাসেল ভাইকে ভিতরে দিয়ে আমাদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে বাহিরে।
কারণ উনার ফ্লাইট ক্যান্সেল হতেও পারে। তাই এই অসহ্য পরিস্থিতিতেও সেখানে থাকতে হয়েছে। কি যে কষ্ট হয়েছিলো বলে বুঝাতে পারবো না। মানুষ জনও তেমন একটা ছিলো না সবাই ফিরে যাচ্ছিলো। আসল বোকামি করেছি গাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে।
এখন কোন ট্যাক্সি ক্যাবও আমাদের নিতে চাচ্ছে না। সব দৌড়ের উপর।
হাতি যখন খাদে পড়ে চামচিকাও লাথি মারে। এই কথাটা হাড়ে হাড়ে টের পেলাম সেদিন। কোন জায়গায় ঠিক মত দাঁড়ানোর উপাইয় নাই।
বাতাস টেনে সামনে নিয়ে যাচ্ছে। রাস্তায় বৃষ্টির জমে থাকা পানি মাটি থেকে উপরে উঠে ঘুর-পাক খাচ্ছে। হায়রে অবস্থা !!!
পরে রাসেল ভাই ফোন করে বললো আমাদের চলে যেতে অগত্যা কিছু করার না দেখে আমরাও চলে গেলাম বড় আপুর বাসায়। এয়ারপোর্ট থেকে ১৫ মিনিটের পথ। তারপরেও কোন সি,এন,জি যাবে না।
তখন আমিও নাই নাই, জান বেরিয়ে যাবার যোগাড় বাধ্য হয়ে এক ক্যাব ওয়ালার হাতে পায়ে ধরে উঠলাম আমরা।
শেষ হলো এক জঘন্য রাতের। এমন অভিজ্ঞতা আমার জীবনে আর দরকার নেই। অনেক হইছে। আমি খুশি।
আল্লাহ মাফ কর......
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।