আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চাঁদনী চকের অভিনব হোল সেল মার্কেট - একটা কিনলেও হোল সেল রেট

যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
চাঁদনী চকের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এখানে একটা অভিনব পাইকারী মার্কেট রয়েছে। মেয়েদের সালওয়ার-কামিজের বিশাল সমারোহ। সেলাইবিহীন কামিজের স্তুপ, তিনটা, চারটা, পাঁচটার প‌্যাকেট। পাইকারীর স্বাভাবিক ধর্মমতে যা কিনবেন একাধিক কিনতে হবে; তবে চাঁদনী চকের পাইকারী সিস্টিমের অভিনবত্ব হলো - এক পিসও আপনি পাইকারী রেটে কিনতে পারেন। আমি একটু প্রথমে ভীমড়ি খাইয়া গেছিলাম দাম দেইখা।

আড়াইশোটাকা যে জামার দাম সেইটা সেলাই কইরা নিশ্চিন্তে দেড় হাজারটাকায় বেইচা ফেলায় বসুন্ধরায়। এই থ্রিপিসগুলার বৈশিষ্ট্য হইলো এইগুলান সব নানারকম হাতের কাজে সমৃদ্ধ। কোনটায় পাথরের কাজ, কোনটাতে এমব্রয়ডরী অথবা বুটিক। কাপড়ের দাম প্লাস হাতের কাজ মিইল্লা কেমনে এত কম দামে বেচে মাথায় কুলাইলো না। তবে আমার হৃদয়ঙ্গীনির কুলাইলো।

সে পরে বললো, ভুলেও ঐজায়গা দিয়া কিছু কিনবা না। বাজে কাপড়। তবে নীচতলায় গজকাপড় পাওয়া যায় - ঐটা নাকি ঢাকার সেরা, দামেও শস্তা। আমার অবশ্য ভাল লেগেছে চাঁদনীচকের ব্যবসায়ীদের জুম্মার নামাজ পড়ার সিস্টেম। মসজিদ কোথায় কইতে পারি না তবে একটা স্পিকার তারা চারাতলায় একটা রো ব্লক কইরা থুইলো - তার পেছনে জমায়েত বইসা গেলো।

সেই স্পিকারে ইমাম সাহেব বয়ান করতেছে আর মুসুল্লীরা শুনতেছে। নামাজও এইভাবে পড়লো। গাউসিয়ার চাইতে চাঁদনী চক আমার পছন্দ হইলো বেশী। তুলনামূলকভাবে ভীড় কম। তাছাড়া এইখানে এয়ার সার্কুলেশনটাও ভাল।

তাছাড়া বার্গেনিংও মনে হইলো অনেক ইজি - মানে দোকানদাররা কিঞ্চিত রিজনেবল। তবে সমস্যা ঠিকই আছে। পাইকারী দোকানেও ডাকাডাকি চলে। পারলে আপনারে জোর কইরা ধইরা নিয়া কিনতে বাধ্য করবো। কাউমাউ সেই গাউসিয়ার মতই।

আমার আফা চাঁদনী চকের প্রত্যেকটা দোকান ঘুইরা দেখলো। আমার তো মনে হইতেছিল সবই কিন্না ফেলবে। তবে ঘন্টা তিনেকের মধ্যে সে কেবল পাইকারী দোকান থেকে একটা থ্রিপিচ কিনতে পারলো। এতক্ষণ পরে চাঁদনী চকের নীচতলায় নাইম্মা যখন সে কইলো দাড়া - এই জায়গাটা একটু দেইখা আসি, আমি ব্যাগ লইয়া হাঁটা শুরু করলাম। দেখলাম সেও কিছুক্ষণ গজরাতে গজরাতে আমার পিছু নিলো।

তবে চাঁদনী চকের ভিতরের পার্কিং এ গাড়ী লইয়া যদি ঢোকেন তবে মরছেন। এইখানে সেইসব গৃহিনীরাই মাত্র গাড়ী লইয়া ঢোকে যারা দোকান খোলার আগে হাজির হয় আর সব দোকান বন্ধ হইলে তারপরে মার্কেট থেকে বের হয়। মাত্র আধঘন্টা ট্রাই কইরা গাড়ীটা বের করতে পারলো আফাজানে। সবচেয়ে ওয়াইজ হইলো নিউমার্কেটের দক্ষিনপাশের পার্কিং এ রাইখা তারপরে বাকীটুকু হাইট্টা যাওয়া।
 


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।