হৃদয়ে কবিতার ক্ষতচিহ্ন্
সে অনেক দিন আগের কথা।
এক দেশে ছিল কতিপয় দুস্টু বালক।
একদা তাহাদের বাসনা জাগিলো নারকেল খাওায়ার।
কিন্তু এই অসময়ে নারকেল কই পাওয়া যায়। রাত তখন সাতটার মতো।
কি করা কি করা। হঠাৎ অতিবুদ্ধি একজনের মাথা থেকে উর্বর বুদ্ধি "চল, আজকে চুরি করে নারকেল খাবো"। কি আর করা সবে মাত্র হাই স্কুলে উঠেছে সবাই। একবার মাথায় কিছু ঢূকলেই হলো। সমস্যা দাড়ালো যে তাদের মধ্যে কেউই গাছে চড়তে জানে না।
অতপর অন্য গ্রাম থেকে ভাড়া করে আনা হলো একজন বিখ্যাত গাছ চড়ুয়া কে। ফিফটি-ফিফটি শেয়ার।
রাত তখন ১০টা। গ্রামের লোকেরা রাতে অনেক তারাতারি শুয়ে পরে। ঠিক তখনি শুরু হল দল বেধেঁ প্রতিবেশির নারকেল বাগানে অভিযান।
আনেক কসরত করে সেই গাছ চড়ুয়া গাছে উঠলেন। তারপর একে একে শুরু হল নারকেল বৃস্টি।
নারকেল মাটিতে পরে যাতে শব্দ না হয় তাই চারজন একটা বিছানার চাদরের চারকোনা ধরে দারালো আর নারকেল গাছের জনাব নারকেল ফেলতে নাগলেন ঐ চাদরে। কপাল খারাপ বলতে হয়। হঠাৎ বিছানার চাদর গেল ছিড়ে আর নারকেল পরে শব্দ হলো " ধরাম ম ম ম " ।
আর যায় কোথায়। আমাদের শদ্ধেয় প্রতিবেশি তখন চোর এসেছে মনে করে লাঠি সোটা নিয়ে বের হলেন। আমরা তো চোখ বন্ধ করে দৌড়। আর সেই নারকেল গাছের লোক তখন নারকেল গাছে বসে আল্লাহ রাসুলের নাম নিচ্ছে। বেচারা সারা রাত গাছে বসে ছিল।
পরের দিন সে কসম কেটে বলেছিল আর জীবনে এরকম করবে না। আর নারকেল এর ফিফটি-ফিফটি শেয়ার তা আর বললাম না। সব নারকেল তখন আমাদের ভুড়িতে। বেচারার সে কি দুঃখ। আমও গেল ছালাও গেল।
এখনো মনে হয় ছেলেবেলার সেই রঙ্গিন দিনগুলোর কথা। কত চমৎকার ছিল জীবন। খেয়ালি কত চিন্তা। সময়ের সাথে অনেক কিছু হারিয়ে যায় ... থাকে শুধু স্মৃতি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।