আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
http://www.amarblog.com/eskimo/54267
এই ছবি ১০/১২ দিন আগে সামু ব্লগে একজন লেখক প্রমাণ করেছেন যে মুখ ঢেকে রাখা ছাত্রগুলো শিবিরের নয় বরং ছাত্রলীগের কারণ পাশের চশমা পরা ব্যাক্তি আর কেউ নয় চামেক এর ৫ম বর্ষের বলরাম যে ছাত্রলীগের সক্রিয় নেতা। কারণ ছাত্রলীগ শিবিরের সাথে মারামারি করে তাদেরই হাতে আহত শিবিরের কোন নেতা কর্মীকে দেখতে যাবে তাকে বলতে হবে সূর্য যেন পশ্চিম থেকে উদয় হল। কিন্তু স্রেফ প্রথম আলোর উপর ভরসা করে আমাদের সিনিয়র ব্লগার এস্কিমো ওরফে জিয়া ভাই একে শিবিরই ধরে নিলেন। আর যায় কই লিখে ফেললেন একটি লেখা নিম্নরুপ;
****************************
এরা মুখ ঢেকে রাখছে কেন?
লিখেছেন: আবু সাঈদ জিয়াউদ্দিন
শনিবার, ১৬ মে ২০০৯ – ৮:৩৮ পুর্বাহ্ন২৬ টি মন্তব্য
আজকের প্রথম আলোতে ছবিটা পেলাম। আগে দেখতাম মাঝে মধ্যে পুলিশ আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে অসামাজিক কাযর্কলাপের দায়ে লোকজনকে ধরতো।
এরা ক্যামেরার সামনে সঙ্গত কারনেই মুখ ঢেকে রাখতো। কারন বাসায় স্ত্রী-সন্তান আর সামাজিক বিষয়টাও গুরুত্বপূনর্ বটে।
কিন্তু ছবিতে দেখাচ্ছে শিবিরের হবু শহীদ সদস্যার ক্যামেরার সামনে মুখ ঢেকে বসে আছে। কারন কি? ইসলামের জন্যে জেহাদ করার মধ্যে কি কোন লজ্জার বিষয় আছে নাকি? নাকি রাজাকারের চেলা হিসাবে নিজেদের মুখ জনসমক্ষে দেখা লজ্জিত এরা?
কারন যাই হোক - ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীন বাংলাদেশে রাজাকারদের সাথে সম্পৃক্ততা একটা লজ্জার বিষয় - তা যে শিবির সদস্যরাও জানে - তারই প্রমান হলো এই ছবিটা।
আশা করি নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা এই লজ্জাষ্কর পথ পরিহার করে চলবে।
***********************************
অথচ উনার প্রাণ প্রিয় মহাজোট সরকারের সোনার ছাত্রলীগের ছেলেরা যেভাবে টেন্ডারবাজি, চাদাবাজি, দখল, প্রকাশ্য অস্ত্র মহড়া, নিজেদের মধ্যে উপদলীয় কোন্দল সংঘর্ষ ঢামেক এ একজন ছাত্রলীগের নেতা নিহত এ নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই। কিন্তু শিবিরের ক্ষেত্রে পান থেকে চুন খসলেই হল আর কোন কথা নেই রাত জেগে লম্বা লম্বা পোষ্ট দেন। আমি বলছি না যে শিবির সাধু। অবশ্যই তারা সন্ত্রাস ও অন্যান্য অন্যায়ের সাথে কম-বেশী জড়িত। যেখানে মহাজোট সরকারের ক্ষমতায় আসার পর ছাত্রলীগের তান্ডবে সারাদেশের মানুষ ধিক্কার জানাচ্ছিল উনি তখন শুধু তামাশা দেখছিলেন।
প্রথম আলোর এই রিপোর্টের পর যখন সামু সহ অন্যান্য যায়গায় প্রতিবাদ করা হয় যে তারা শিবির নয় প্রকৃতপক্ষে ছাত্রলীগেরই ক্যাডার তারা আর খবর জিয়া সাহেব পান নাই। এখানেই পার্থক্য যে বাংলাদেশে থেকে দেশের প্রকৃত পরিস্থিতি বুঝা আর সাদ সুমুদ্র তের নদী পেরিয়ে ১০ হাজার মাইল দূরে ভিন দেশে থেকে বুঝা। তার এই ধরণের প্রবণতা দেখে বুঝা যায় যে তিনি তার প্রাণ প্রিয় ছাত্রলীগের সমালোচনা করতে রাজি নন। আর সময় নিয়ে যাচাই করে কোন লেখা লিখবেন সেটাও তার স্বভাবের মধ্যে নেই। উনি ঐ লেখার শেষে উপদেশ দেন "আশা করি নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা এই লজ্জাষ্কর পথ পরিহার করে চলবে" অথচ গোটা বিষয়টাই চরম-পরম মিথ্যা।
এই মিথ্যার ভিত্তিতেই তিনি মাঝে মাঝে বিভিন্ন জ্ঞান বিতরণ করে চলেন। তা না হলে অন্ধ আক্রোশে সত্য মিথ্যা যাচাই করার সময় পর্যন্ত তিনি দিতে চান না । এই লেখা যেহেতু এখনও আমার ব্লগে বিদ্যমান বিধায় নিঃসন্দেহে বলা যায় এটা কানাডিয়ান বুদ্ধির ঢেকির উৎকৃষ্ট নমুনা।
আশা করি ব্লগারগণ উনার অন্ধ আক্রোশ স্মরণে রাখবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।