মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার, ধর্মান্ধতা ও দলান্ধতা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।
প্রিয় সংগ্রামী বন্ধুরা,
আমাদের সমাজে আজও মীর মদন, মহন লাল যেমন আছেন, তেমনি মীর জাফর, রায় দূর্লব, উমি চাঁদ, ঘসেটি বেগমও আছে। কাশীম বাজার কুঠীর একটি নয় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অনেক। প্রিয় সাথীরা এই মহান আন্দোলনকে এরা যেন প্রভাবিত করতে না পারে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। ৫২ র ভাষা আন্দোলন ৬২ র শিক্ষা আন্দোলন ৬৮ ও ৬৯ এর গন অভূথ্থান সর্বপরী ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ সহ বাঙালীর সকল জাগরনের শুরু তারুন্যের হাত ধরে।
ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় রাজনৈতিক পরিচয় বিহীন এ সকল গন জাগরনের সুফল ঘরে তুলে নেয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। জনগনের ভাগ্য থেকে যায় সেই তিমিরেই।
প্রিয় সংগ্রামী বন্ধুরা,
“জয় বাংলা” স্লোগানটি ছিল বাঙালী ও বাংলার মানুষের মুক্তির মন্ত্রে উজ্জীবিত হওয়ার এক রণ ধ্বনি। সেই “জয় বাংলা” স্লোগান আবার ফিরে পেল আপন মহিমা। এটা আমাদের প্রথম বিজয়।
এই বিজয়কে সামনে নিয়ে আমাদের পাড়ি দিতে হবে বহু দূরের পথ। বন্ধুরা আমরা যদি এই গন আন্দোলনকে সফল রুপ দান করতে না পারি তবে ইতিহাস আমাদের দাঁড় করিয়ে দিবে আসামীর কাঠ ঘরে।
আজ যে বিচারের ত্রুটির কারনে আইনের দুর্বলতা ও প্রসিকিউরদের অযোগ্যতার কারনে ৭১ এর মানবতা বিরোধী কুক্ষাত কসাই কাদের মোল্লাকে প্রাপ্য শাস্তি দেয়া হলো না তার জন্য করা দায়ী? আমাদের ভূলে গেলে চলবেনা আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনে যারা আছেন তারা প্রায় বলেন রাজনীতিতে শেষ বলে কোন কথা নাই। অতএব বন্ধুরা ৭১ এ শহীদের পরিবার ও নির্যাতিন পরিবার গুলোকেও আমাদের আন্দোলনে শরীক করতে হবে। সকল যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকারদের বিচারে যতক্ষন পর্যন্ত গন জাগরনের প্রতিফলন ঘটবে আমরা স্বাধীনতা প্রজন্ম চত্বর ছাড়ব না।
ছাড়ব না। ছাড়ব না।
এই আন্দোলনকে সফল করতে আমি বাংলার হাসান আমার শরীরের শেষ বিন্দু রক্ত দিয়ে হলেও স্বাধীনতা প্রজন্ম চত্বরে থাকবো। আপনি থাকবেন তো?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।