জন্মেছি মানুষ রূপে
ব্লগে ঢোকার পর থেকে এই বিষয়টা নিয়ে বেশ অনেক পোষ্ট দেখলাম। কিন্ত আমার কাছে এগুলো কেমন যেন অর্থহীন এবং অযথা মনেহয়। আস্তিকতা মানে কি? বিশ্বাস করা যে ঈশ্বর আছে আর নাস্তিকতা মানে কি? বিশ্বাস করা যে ঈশ্বর নেই। দুইটাই কিন্তু বিশ্বাস। এখন আমি কি বিশ্বাস করব সেটা সম্পূর্ণ আমার ব্যপার।
তেমনি আমি যা বিশ্বাস করি সবাইকে তা করতে হবে এমন কোন কথাও নেই। আমি বিশ্বস করি ভুত বলে কিছু নেই। আর একজন করে যে আছে। ক্ষতি কি? করুক না। আমি কেন তাকে জোর করব ভুত অবিশ্বাস করাতে? খুব বেশি হলে আমি বলতে পারি যে আমি ভুতটুত বিশ্বাস করি না।
মৃত্যুর পর কি হয় কেউই জানে না। যে মারা যায় সে ছড়া আর কেউ জানে তার কি হল কখনো জানবেও না। তাই যে যেভাবে বিশ্বাস করে তাকে সেভাবেই কি করতে দেওয়া উচিৎ না? শুধু শুধু এটা নিয়ে তর্ক করে কি লাভ আমি বুঝিনা।
বিষয় টা অনেকটা এমন যে দুজন হোটেলে দুইটা রুম বুক করেছে। তো একজন বলল যে বাথরুমে টাওয়েল থাকবে না, আমি একটা টাওয়েল কিনে নিয়ে যাই।
তুমিও কেন। অপরজন বলল না এতবড় হোটেলে টাওয়েল থাকবে আমি কিনব না। তোমারও কেনার দরকার নেই। প্রথম জন বলল না কিনবই আমি সাথে তেমারো কেনা লাগবে। অপর জন বলল না কিনবই না তোমাকেও কিনতে দিব না।
এই নিয়ে দুজন মারামারি শুরু করে দিল। এই দুইজনের কজটাকে কি পগলামো বলে মনে হয় না?
আমি কি করব না করব সেটা তো সম্পূর্ণ আমার ব্যাপর হলেও অনেক সময় দেখা উচিৎ তাতে যেন অন্যের কোন সমস্যা না হয়। কিন্তু আমি কিভাবে চিন্তা করব বা কি বিশ্বাস করব সেটা তো সম্পূর্ণই আমার ব্যাপার। এখানে কারো জোর খাটানোর কিছু আছে বলেতো মনেহয় না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।