আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিশ্ব মন্দায় হিমায়িত শিল্পকে রক্ষা করতে হলে দরকার ৫০ কোটি টাকা



বিশ্ব অর্থনীতিতে চলমান মন্দার ছোঁয়া কম বেশি প্রতিটি দেশে লেগেছে । আমাদের দেশের সম্ভাবনাময় হিমায়িত খাদ্য শিল্পে এ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বিগত অর্থ বছরে (২০০৭-০৮) হিমায়িত খাদ্য রফতানি করে বাংলাদেশ আয় করে ৫৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কিন্তু বিশ্ব মন্দায় এরইমধ্যে এ খাতের রফতানি উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। রফতানিকারকরা বলছেন, আসন্ন বাজেটে সরকার যদি এ খাতে সহায়তা না বাড়ায় তাহলে বাংলাদেশের হিমায়িত খাদ্য বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবে না।

এ বিষয়ে কথা হয় হিমায়িত খাদ্য রফতানীকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মুছা মিয়ার সঙ্গে। তিনি জানান, হিমায়িত খাদ্য বিশ্বব্যাপী বিলাসী দ্রব্য হিসাবে পরিচিত। ২০০৭ সালের অক্টোবর মাস হতে আমেরিকায় তেলের মূল্য বৃদ্ধি এবং পরবর্তীতে ২০০৮ ও ২০০৯ সালে মন্দার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে হিমায়িত খাদ্য বিশেষ করে চিংড়ির মূল্য প্রায় ৪০ শতাংশ হ্রাস পায়। বিশ্ব মন্দার নেতিবাচক প্রভাবে চলতি অর্থ বছরের মার্চ পর্যন্ত এই খাতে রফতানি আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১৪ শতাংশ কম হয়েছে। এর ফলে রফতানিমুখী চিংড়ি প্রক্রিয়াজাতকারী কারখানাসমূহে আর্থিক তারল্যসংকট দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেন, আগামী বাজেটে হিমায়িত খাদ্য প্রবৃদ্ধির নিম্নমুখী প্রবণতা রোধ, রফতানিকারকদের তারল্য সংকট মোকাবিলা, আন্তর্জাতিক বাজারে টিকে থাকা এবং চিংড়ি চাষীদের সহায়তার জন্য আমরা সরকারের কাছে কতিপয় সুবিধা প্রদানের জন্য অনুরোধ করেছি। মুছা মিয়া আরো জানান, রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের মূলধন ঘাটতি নিরসনে ব্যাংক প্রদত্ত চলতি মূলধন ঋণের ৫০ শতাংশ দুই বছরের মরিটরিয়াম সুবিধাসহ ৭ বছরের পরিশোধযোগ্য সুদমুক্ত ব্লক একাউন্ট সুবিধা প্রদান করে সমপরিমাণ অর্থ অগ্রিম প্রদানের অনুরোধ করেছি। বাজেটে এই সুবিধাদানে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ ৫০ কোটি টাকার সংস্থান করা হলে এই খাতটির ঘাটতি মোকাবিলা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, আগামি বাজেটে আমরা সরকারের কাছে একটি রফতানি বান্ধব, গ্রামীণ দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান এবং উন্নয়নমূলক বাজেট প্রদানের জন্য অনুরোধ করছি।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.