আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিশু সনদ এবং শাহীন, হামিন ও মাহিনাদের কথা

I am a student of University of Liberal Arts Bangladesh (ULAB) at Media Studies and Journalism.

`এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান’- অনেক আগে বাংলাভাষার প্রখ্যাত এক কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য তার ছাড়পত্র কবিতায় লিখেছিলেন এ কথা কবিতায় এ কথা বলেছিলেন আজকে যারা শিশু তাদের অনাগত ভবিষ্যৎ চিন্তা করেই আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ- কথাটা হচ্ছে, কোন দেশের আজকের শিশুদের দেখেই দেশটির আগামীর নাগরিক কেমন হবে সে ধারণাটা পাওয়া যায়। শিশুরাই দেশ ও জাতির ভবিষ্যতের কর্নধার, তার হাতেই আগামীর পৃথিবীর ভার। তাই পৃথিবীর সব দেশই তার শিশুদের অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। আর এ কারণে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সুনিশ্চিত করতে কিছু আইন প্রণয়ন করেছে। বিশ্বের অনেক দেশ সেটাকে কড়াভাবে মেনে চলে।

১৯৯০ সালের ৩ আগস্ট এ সংক্রান্ত জাতিসংঘ সনদে অনুসমর্থন দিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু বাস্তবে বাংলাদেশের অবস্থাটা কেমন। আর এ সম্পর্কে কীইবা ভাবছে বাংলাদেশে শিশু-কিশোররা। � কী আছে শিশু সনদে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদে ৫৪টি ধারা আছে। তার মধ্যে ৪১ টি শিশু অধিকার সম্পর্কিত।

সেখান থেকে তোমাদের জন্য কয়েকটি এখানে তুলে দিলাম। ১. জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, ধনী-গরীব সব শিশুর জন্যই সমান অধিকার আছে। ২. শিশুদের বিষয়ে সব কাজে লক্ষ্য রাখতে হবে। যাতে তার স্বার্থই বেশী প্রাধান্য পায়। ৩. জন্মের পরপরই শিশুর জন্ম নিবন্ধন করতে হবে।

৪. প্রত্যক শিশুর স্বাধীনভাবে নিজের মতামত প্রকাশের অধিকার আছে। ৫. প্রতিটি শিশুর শিক্ষার অধিকার আছে। খুব চেনা কয়েকটা গল্প বাংলাদেশের সমাজকে যদি অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ভাগ করা যায় তাহলে উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত এই তিনভাগে ভাগ করা যায়। বুঝতেই পারছো, যাদের বিত্তবৈভব অনেক তারাই অর্থাৎ সমাজে যারা ধনী তারাই উচ্চবিত্ত। আর এর বিপরীতে যাদের ধনসম্পত্তি বলতে গেলে কিছুই নেই, এমনকী যাদের ঘরে নুন আনতে পান্তা ফুরায় তারাই নিম্নবিত্ত।

আর এই দুই ঘরানা অর্থাৎ উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান এবং নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান এদের বাইরে দেশের বড় একটি অংশের শিশুরা মধ্যবিত্ত পরিবার কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত। মধ্যবিত্ত কি তা তোমরা জানো। যারা না উচ্চবিত্ত না নিম্নবিত্ত, কিন্তু এই দুইয়ের মাঝামাঝি -তারাই মধ্যবিত্ত। এই তিন ধরনের পরিবারের তিন শিশুর সাথে কথা বলেছিলাম আমরা। উদ্দেশ্যে ছিলো তাদের প্রত্যেকের জীবনযাপন প্রণালীর কেমন সে সম্পর্কে তোমাদের কিছুটা ধারণা দেওয়া।

সেই সাথে একই সমাজে একই দেশে থেকেও তারা কে কতটা সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে, সেটাও তোমাদের জানানো। তাছাড়া তাদের চিন্তাভাবনারও একটা ধারণা পাবে। চলো তাহলে শুরু করা যাক। একজন শাহীনের কথা তুমি যদি কখনোও মহাখালী ফ্লাইওভার, তেজগাঁও রেলক্রসিং, আগারগাঁও বিএনপি বাজার, কমলাপুর রেলস্টেশন বা ফুলবাড়ীয়া বাসস্ট্যান্ডের পাশ দিয়ে যাও তবে দেখতে পাবে বেশ কিছু বস্তি রয়েছে। খেয়াল করলে দেখবে এসব বস্তিতে তোমাদেরই বয়সী অনেক শিশু রয়েছে।

এদের পরনে পোশাকও নেই ঠিকমত, হাড্ডিসার শরীর, কোনরকমে জোড়া তালি দেয়া বাসস্থান তাদের। কেউ হয়তো ফুল বিক্রি করছে, কেউবা আবার নেমেছে ভিক্ষা করতে। আদর ভালোবাসা এরা পায় না, এদের আচার আচরণও তাই অনেক রুক্ষ। এদের অনেকে লেখাপড়া করতে চাইলেও সবসময় সে সুযোগ তাদের মেলে না। কারণ সরকার বিনামূল্যে প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা করলেও বই-খাতা সহ আনুষঙ্গিক অনেককিছুই কেনার সামর্থ্যও যে তাদের নেই।

তাই তাদের কেউ যদি লেখাপড়া করে তবে তা হয় বেসরকারি এনজিও পরিচালিত স্যাটেলাইট স্কুলে। কারণ এসব স্কুলে লেখাপড়াতে বই- খাতা ও অন্যান্য যা কিছু লাগে তা এনজিও থেকেই দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরও সমস্যা। লেখাপড়ার সময়টা সে কাজ করলে কিছু অর্থ পায় যা তার পরিবারের কাজে লাগে। একারণে সুযোগ থাকলেও অনেকে পড়াশোনা করতে যায় না।

খুবই ঝুঁকিপূর্ণ নানা ধরনের কাজ যেমন পাথর ভাঙ্গা, হোটেলে বয় হিসেবে কাজ করা, গাড়ির মেকার, কুলি এ ধরনের ক্ষেত্রে তাদের প্রায়ই কাজ করতে দেখা যায়। এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছ এসব শিশুরা তাদের প্রাপ্ত অধিকার সঠিকভাবে ভোগ করার সুযোগ পাচ্ছে না। বরং তারা প্রতিনিয়ত নানাভাবে অবহেলিত হচ্ছে। শিশু অধিকার কী এই বিষয়টাই তারা জানে না। আমরা গিয়েছিলাম ফুলবাড়ীয়া বস্তিতে।

সেখানে কথা হলো ১৩ বছর বয়সী শাহীনের সঙ্গে। তার সঙ্গে তাদের বাসায় যাওয়ার পথে দেখা গেল পচা দুর্গন্ধময় ডাস্টবিন। নোংরা ডাস্টবিন থেকে বাঁচার জন্যে নাকে রুমাল চাপা ছাড়া কোন উপায় নেই। কিন' ওদিকে শাহীনকে দেখা গেল এই দুর্গন্ধের মধ্যে দিয়েও দিব্যি গান গাইতে গাইতে চলছে। ব্যাপারটা অবাক হবার মত।

তাকে জিজ্ঞেস করতেই সে জানালো, আমার অব্যাস হয়্যা গেছেগা, গোন্দ পাইনা। (আমার অভ্যাস হয়ে গেছে, গন্ধ পাইনা। ) এ থেকে যে নানারকম অসুখের উৎপত্তি হতে পারে- এ ব্যাপারেও সে জানে না। অসুখের কথা বলতেই সে হেসে উড়িয়ে দিল। শাহীন কাজ করে তাদের বস্তি থেকে বেশ কিছুটা দুরে এক হোটেলে।

হোটেলে সে ছাড়াও কাজ করে তারই বয়সী আরও দুটি শিশু। হোটেলের খাবার রান্না থেকে পরিবেশন যাবতীয় কাজই তাদের তিনজনকে করতে হয়। সেখানে রান্নাঘরেই থালা বাসন ধোঁয়ার কাজ করা হয়। ফলে চুলার বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে তাদের একজনের শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে। শাহীনদের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল কাঠ, বাঁশ আর টিন দিয়ে তৈরি করা ছোট্ট একটা ঘুপচি ঘর।

আর এই ঘরেই শাহীনদের ৬ জনের পরিবার থাকে। যেখানে আছে তারা তিন ভাই-বোন, তাদের বৃদ্ধ দাদী আর বাবা-মা। ঘরে একটি মাত্র চৌকি, আর আছে একটা বড় মাদুর, এতেই তারা ঘুমায়। রাতে মশা, তেলাপোকার অত্যাচার তো আছেই। সে লেখাপড়া করে ফুলবাড়ীয়া বস্তিতে অবস্থিত ব্র্যাক প্রতিষ্ঠিত একটি স্কুলে।

শাহীন যদিও পড়াশোনার কথা বললো কিন্তু তাদের ঘরে পড়াশোনার জন্যে কোনো টেবিল-চেয়ার দেখা গেল না। বিষয়টা জিজ্ঞেস করলে সে জানালো, দেহা যাইব কি? ঘরে শোয়নের জায়গাই নাই তার আবার লেহাপড়া। আসলে শাহীনের কথাই ঠিক। এত সংকুচিত জায়গা যে তাতে শোয়ার জায়গা নিয়েই টানাটানি, সেখানে আবার লেখাপড়ার জায়গার কথা চিন্তা করা তাদের জন্য বিলাসিতা। শাহীনের বাবা পেশায় দিনমজুর।

আর তার মা এক পরিবারে আয়ার কাজ করে। শাহীনের বাবা-মাকে জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ সম্পর্কে কিছু জানেন কি-না প্রশ্ন করতেই অবাক হয়ে তাকালেন ! বললেন, শিশু অধিকার সনদ। হেইডা আবার কি। আর আমাগো তা জানলে কী লাভ হইবো? এটা যে শিশুদের অধিকার রক্ষার দলিল তা জানানোর পরেও তার তেমন বেশি উচ্ছ্বাস দেখা গেল না। মুখে বললেন, পরনে কাপড় নাই, ঘরে ভাত নাই।

অতবড় চিন্তা আমাগো মানায় না। ততক্ষণে পাড়ার আরও ছেলে-বুড়োরা জড়ো হয়েছে। জিজ্ঞাসার জবাবে প্রায় সকলের নিকট একই ধরনের উত্তর পাওয়া গেল। এবার শাহীনকে নিয়ে দূরে চলে এলাম। বেশ কিছুটা দুরে একটা নতুন তৈরি করা অ্যাপার্টমেন্টের দিকে তার নজর ফিরিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, এরকম একটা অ্যাপার্টমেন্টে সে যদি থাকার সুযোগ পেয়ে যায়, তবে সে কী করবে? শাহীন কি উত্তর দিলো জানো? সে বললো, সারাদিন খাটে শুইয়া ঘুমামু আর টিভি দেখমু।

এ যেন ঠিক সেই গল্পটির মতো - যেখানে যায়েদ নামে এক ছেলে পথের এক ছেলে রবিকে তার জীবনের বড় চাওয়া কি জানতে চাইলে সে উত্তর দেয়- এক বেলা পেট পুরে মুরগীর মাংস দিয়ে ভাত হামিনের রূপকথার জীবন তোমাদের অনেকেই হয়তো জানো ঢাকাতে অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল, মাস্টারমাইন্ড, সানিডেল এরকম অনেক ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল রয়েছে। যেখানে লেখাপড়া করে আমাদের দেশের অনেক শিশু। যাদের অনেকেরই পরিবারের অবস্থা শাহীনদের পরিবার থেকে হাজার গুণে উন্নত। যা শাহীনরা কল্পনাই করতে পারবে না। এরকম এক শিশু হলো হামিন।

সে সানিডেল এ পড়ে। তাকে প্রশ্ন করলাম সে কি জাতিসংঘ শিশু অধিকার সপ্তাহ সম্পর্কে সে কিছু জানে কী না। �এবার আমি শিশু অধিকার সপ্তাহের র‌্যালিতে অংশ নেব, আর কর্মশালাতেও থাকতে পারি। বাসায় কম্পিউটার গেম খেলতে খেলতে হামিন জানাল এসব। হামিনের দিন শুরু হয় সকাল সাতটায়।

ঘুম থেকে উঠে পাউরুটি আর জেলির সঙ্গে ডিম দিয়ে নাস্তা করে সে। এরপর সে তাদের গাড়ীতে চড়ে স্কুলে যায়। আর যেদিন স্কুল থাকে না সেদিন হয়তো ঢাকাতে কোন আত্মীয় বা কোন অ্যামিউজমেন্ট পার্কে গিয়ে দিন কাটিয়ে আসে। হামিন শিশু একাডেমীতে মাঝে মাঝেই যায় বলে সে জানাল। তার ভবিষ্যৎ লক্ষ্য কী জানতে চাইলে সে জানাল, ডাক্তার হয়ে মানুষের দেহের কলকব্জা মেরামত করবো।

তবে পাইলটও হতে পারি। একথা শুনে তার পাশে দাঁড়ানো তার মা হাসতে লাগলেন। হাসির কারণ হিসেবে তিনি জানালেন-ও যে প্রকৃতির ভীতু ছেলে। ডাক্তার হলে রক্ত দেখেই ফিট হয়ে যাবে। সামান্য মুরগী জবাই করা দেখবে তাতেই যা অবস্থা।

হামিন সকল আধুনিক সুযোগ সুবিধার মধ্যে বড় হয়েছে। কখনো বস্তিতে থাকতে হলে কী করবে?- জিজ্ঞেস করতেই হামিন জানালো, আমি আসলে এ ধরনের চিন্তা কখনো করিনি। তবে বসি-র মানুষের দুর্দশা আমার ভাল লাগে না। আমি বড় হলে ওদের জন্যে কিছু করার চেষ্টা করব। এই ধরণের ভাবনা নিশ্চয়ই তোমাদেরও আছে।

আর এটা হাজারো হতাশার মধ্যে একটা আশার আলো। আরও একজন... মধ্যবিত্ত এক পরিবারের মেয়ে মাহিনা। সে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে বিপিএটিসি (বাংলাদেশ পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং সেন্টার) স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ালেখা করে। সে জানাল- আমাদের শিশুদের নিয়ে কিছু করা হলে তা আমাদের জানা উচিত। কারণ তাছাড়া তা সফল হবে না।

আর আমরা তো শিশু তাই আমাদের জন্যে কোনটা ভাল হবে কিংবা খারাপ হবে সে ডিসিশানগুলো সাধারণত পরিবারই নিয়ে থাকে। তবে আমার মনে হয় শিশুদের বেশ কিছু বিষয় নিয়ে সরকারের মনোযোগী হওয়া দরকার। কী হতে পারে সে বিষয়গুলো তা জানতে তোমাদের আগ্রহ হচ্ছে নিশ্চয়ই। আসলে তা কিন্তু আগেই বলা হয়েছে। মাহিনা বলছিল, আমাদের মৌলিক মানবাধিকার রক্ষা, উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রাপ্তি, অপুষ্টির হাত থেকে বাঁচার জন্যে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়ার অধিকার, আমাদের মানসিক বিকাশ এ সবকিছুর সঠিক প্রাপ্তি সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে।

আর এগুলো নিশ্চিত করা গেলে আমরা সঠিকভাবে সুন্দর পরিবেশে বেড়ে উঠতে পারব। মাহিনা জাতিসংঘের শিশু অধিকার রক্ষার সনদের কথা জানতে পেরে বললো- এ ধরণের সনদ আমাদের অধিকার যদিও সঠিকভাবে তুলে ধরে, কিন্তু তা সম্পর্কে আমরা জানিই না। এটা তো কোন কাজের কথা না। শেষের কথা বাংলাদেশে তিন ধরনের পরিবারের তিন শিশুর কথা তো শুনলে। সত্যি বলতে কী, শাহীন, হামিন ও মাহিনা তিন পরিবারের তিন প্রতিনিধি।

এদের তিনজনের বাসস্থান, জীবনযাপন প্রণালী, পোশাক, খাদ্যাভাস, পড়ালেখার পরিবেশ, বন্ধুবান্ধব সবকিছুই ভিন্ন ভিন্ন। আরও খেয়াল করলে দেখবে, সমাজের সবচেয়ে উঁচু তলার ছেলেটির (হামিন) কাছে জীবন হয়ত রূপকথার মতই সুন্দর আর স্বপ্নময়। সে যেসব সুযোগ সুবিধা পায় তা মাহিনা কিছুটা পেলেও বস্তিবাসী শাহীন তা কল্পনাও করতে পারে না। শুধু শাহিনই নয় তার মত আরও হাজার হাজার শিশু সমাজের নূন্যতম সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এমন কী অনেকক্ষেত্রে তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।

কিন্তু একটা সুস্থ সুন্দর সমাজের জন্য এই বৈষম্য ঘুচিয়ে দিতে হবে যতটা সম্ভব। তুমি নিজেই চিন্তা করে দেখ- অনেক শিশুদের সামনেই সাজানো থাকে রাশি রাশি সুস্বাদু খাবার পায়। এসব শিশু যতটা না খায় তারচেয়ে নষ্ট করে বেশি। অথচ অন্যদিকে শাহীনের মত বস্তিবাসী অনেক শিশুকে ক্ষুধার জ্বালায় ডাস্টবিন থেকেও পচা, দুষিত খাবার কুড়িয়ে খেতে দেখা যায়। এদের মধ্যে এই যে বৈষম্য তা রাতারাতি দূর করা খুব সহজ কিছু নয়।

আমাদের কারও হাতেই আরব্য রজনীর আলাউদ্দিনের যাদুর প্রদীপ নেই। তাই বৈষম্য দূর করতে হবে আমাদের নিজেদের মেধা, শ্রম আর সদিচ্ছা প্রয়োগ করতে হবে। আর এ কাজে তোমাদের ভাবনাটাও জরুরী। এখন যদি তোমরা বিষয়গুলো নিয়ে একটু হলেও ভাবো তাহলে আগামীতে হয়তো শাহীনের মত আরও অনেক বঞ্চিত শিশু তাদের সুন্দর শৈশব ফিরে পাবে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.