যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
আপাতত মনে হচ্ছে খারেজীর অমানবিক ও কুৎসিত ব্যক্তিগত আক্রমনের জন্য মাসুম ভাই ব্লগ ছেড়ে গেছেন। এমন নয় যে তিনি সামু ছেড়েছেন, অন্য ব্লগে লিখছেন। তিনি আর কোন ব্লগেই লিখবেন না এমন একটা কথা বলেছেন ফোনে তার সাথে যোগাযোগ হলে। এ জন্য খারেজীকে আবেগীয়ভাবে দায়ী করা চলে। যেহেতু মাসুম ভাইয়ের সাথে আবেগঘনিষ্ঠ সম্পর্ক - খারেজীকে সেই আবেগ-পিষ্ট হওয়াতে নিন্দা জানালাম।
লেট মি রিকল ওল্ড ডেস। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো কবে যে মাসুম ভাইয়ের সাথে পরিচয় হয়েছে এবং কেমনে মনে করতে পারছি না। তবে সেটা ২০০৭ এর ফেব্রুয়ারীর বেশ আগেই হবে নিশ্চিত। ব্লগীও পরিচয় - ইন্ট্যারএ্যাকশনে, মন্তব্য-প্রতিমন্তব্যে। ওই সময়টা এমন একটা ব্লগকাল যে কারো ব্যক্তিগত ইনফো যেমন বয়স, পেশা বা অন্যান্য কোন বিষয় নিয়ে আমরা জ্ঞাত হইনা।
এসব স্বতস্ফূর্ত প্রকাশিত হতো কোন ব্লগের আড্ডায়।
সম্ভবত ২০০৭ এর কোন এক আড্ডায় মাসুম ভাইয়ের সাথে পরিচয়। খুবই সহজভাবে তিনি গভীর বিষয়ের বিশ্লেষণে ঢুকে যান। ব্লগে টুকরো টুকরে ইন্ট্যারএ্যাকশনে তার প্রতিমন্তব্যে একধরণে রিক্রিয়েশন ঘটে, ব্যস্ত নাগরিকের খানিক ভার্চুয়াল রিলিফ। কখনই ব্লগিংটাকে সিরিয়াস ক্ষেত্র হিসাবে নেন নি।
ভুল বললাম, নিয়েছিলেন। সেটা বিনোদনের জন্য। যেমন আমরা আরো অনেকেই - এটার জন্য বাড়তি টেনশন ক্যারি করতে অপরাগ। ভালো লাগলো - লিখে ফেললাম একটা টুকরো ঘটনা, জীবনের খুবই ব্যক্তিক স্ফুরণ। এমন এক্সপ্রেশনের মধ্যে যাপিত জীবনে একটা সময় লিখিত হতে থাকে, ইতিহাসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিক উপাত্ত সন্নিবেশিত হতে থাকে।
মাসুম ভাই এর ব্লগ এজন্য হয়ে উঠেছিল একটা বিভেদহীন ওয়ে-আউট, প্রতিদিনের মশলায় চমৎকার রেসিপি, একজন মানুষের একান্ত অনুভূতিমালা। যা নিশ্বাস বন্ধ করে পড়ে কেবল উচ্চারণ করতে হয় - ওয়াও!
মাসুম ভাই কি করেন, কি তার পেশা - এটা জানতে, ভাবতে চাওয়ার কোন প্রয়োজন বোধ করি নাই। এই যে একটা নাম, তার একটা ব্লগ আছে এবং সেখানে তিনি লিখে যাচ্ছেন তার ব্যক্তিকবোধ, যাপন আর হাসি-কষ্ট, মনে হতো খুব কাছের, ভীষণ পরিচিত। মনে হতো, এযেন আমাদেরই জীবন।
সেই সহজ ব্লগটিকে কুৎসিত পান্ডিত্য চর্চাধারীরা জটিল চারিত্রিক বিশ্লেষণ উপস্থাপন করে অন্যায় করেছে।
যাকে দেখলেই বড় আপন মনে হয় তেমন একটা মানুষকে বাতিল করে দিয়েছে - কিন্তু আপন মানুষ সে কি সবার হবার যোগ্যতা থাকে?
মাসুম ভাই একদিন ব্লগে ফিরে আসবেন এমন প্রত্যাশা করা ছাড়া আর কোন উপায় নাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।