আমি আঁধারে তামাসায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূন্যতা থেকে শূন্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে।
সামহ্যোয়ারইন ব্লগ জন্মলগ্ন থেকেই যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে, ইভ টিজিং এর বিরুদ্ধে স্বোচ্চার ছিল-সেকথা সামুর বিরুদ্ধবাদীরাও অকুন্ঠ চিত্তে স্বীকার করবেন।
সামহ্যোয়ারইন ব্লগের ব্লগারগন একুশের বই মেলা,কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার,টিএসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েটসহ ঢাকার প্রায় সকল পাবলিক ইউনিভার্সিটি এবং অনেকগুলো প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি, বসুন্ধরা সিটি, নিউমার্কেট, আন্তর্জাতিক বানিজ্যমেলাসহ বিভিন্ন লোকসমাগমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে গণস্বাক্ষরতা অভিযান চালিয়ে দেশবাসীর দৃষ্টি আকর্ষন করতে সক্ষম হয়েছিল এবং সেইসব গণ স্বাক্ষরতা অভিযানে সামহ্যোয়ারইন ব্লগ কর্তিপক্ষ তাদের সীমিত স্বামর্থেও যথা সম্ভব লজিষ্টিক সাপোর্ট দিয়েছিল এবং সামহ্যোয়ারইন সিইও নিজেও অনেক সময় উপস্থিত হয়ে নিজের সম্পৃক্ততা প্রমান করেছিলেন।
আজ শাহবাগের যে গণজাগরণএই আন্দোলনের সূচনা ও সামহোয়ারের কিছু ব্লগারের হাত ধরেই যা পরবর্তিতে গণজাগরণে রুপ নিয়েছে।
আমরা দেখেছি সামু এবং শাহবাগ নিয়ে নানা রকম প্রপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে।
সাধারন ব্লগার হিসেবে আমরা সচেতন আছি এবং এই ধরনের কার্যকালাপের সাথে যারা জড়িত ব্লগে তাদের বিরুদ্ধে এবং মিথ্যা, বানোয়াট, উস্কানীমূলক ও উদ্যেশ্যপ্রনোদিত এই রিপোর্টের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল এই আন্দোলনকে বিতর্কিত ও দ্বিধাবিভক্ত করতে এধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। সামুর সকল ব্লগারদের এব্যাপারে সতর্ক ও ঐক্য বদ্ধ থাকার অনুরোধ করছি।
কারা কারা এই জন আন্দোলনের বিপক্ষে শুরুতে ছিলো আর এখন লেজ গুটিয়ে যোগ দিয়ে বাহবা কুড়াতে চাচ্ছে -তা ব্লগাররা জানে। সামহোয়ারিন এক বিশেষ গোত্রের গাত্রদাহের কারন সবসময়ই ।
ব্লগাররা সেইসব দালালদের আগেও রুখে দিয়েছে,ভবিষ্যতেও রুখবে। টিভিতে মুখ দেখিয়ে নিজেকে যারা যোদ্ধা এখন বলছে,তারাই কিছুদিন আগেও এই সমাবেশের বিরুদ্ধে ফেসবুকে কি কি লিখেছে,তা আমরা দেখেছি।
পক্ষ নিলে রক্ষা নাই।
সব রাজাকারের ফাসি চাই।
সামহোয়্যারইন ব্লগের বিরুদ্ধে এমনই একটা অভিযোগ আনা হয়েছে-যা কোনো ভিত্তি নাই।
সর্বপরি অভিযোগটা এমনই এক ব্যাক্তি এনেছেন যিনি একসময় এই সামহ্যোয়ারইন ব্লগে লিখেই “ব্লগার” নামে পরিচিতি পেয়েছিলেন। কিন্তু সামুর সিড়ি বেয়ে কিছুটা নাম যশ কামাই করার পরেই মানষিক অসুস্থ্য হয়ে অন্যতম অশ্লীল লেখক রুপে অসভ্য ও রেড এরিয়ার লোকদের প্রিয় ভাজন হয়েছিলেন। যখন অশ্লীল কুরুচীপূর্ণ মানষিকতার ঘটনা চাউড় হয়ে যায় তখন তিনি সামুর অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং সর্বজন প্রিয় ব্যাক্তিত্বের বিরুদ্ধেও মিথ্যা বানোয়াট পর্ণ প্রচারণা শুরু করেছিলেন। কিন্তু সাধারন ও শিক্ষিত মানুষের কাছে অসভ্যতা গ্রহনযোগ্যতা পায়নি। উলটো গণ গদাম দিয়েছিল সব শ্রেনীর ব্লগারগন।
সেই ধিকৃত এর কাছে সামুর ভাল কাজের মূল্যায়ন প্রত্যাশা কেউ করেনা সত্য কিন্তু একটা সাধারন সৌজন্যতা আশা করে সামুর বিরুদ্ধে নোংরা ও মিথ্যা প্রচারণা করবে-তাও অনেকেই আশা করেনি।
মুখে মুখে মুক্তি যুদ্ধের মুখরোচক বুলি আউরিয়ে প্রতিবাদ কারিদের নামে মিথ্যা খবর ছড়ানো হচ্ছে ! সামু ব্লগের সুপরিচিত ব্লগার জানা আপাকে নিয়েও গতকাল রাতে একটা ভুইফোর ব্লগ সাইটে মিথ্যা খবর রটানো হয়েছে।
ঠিক যখন সামু ব্লগের ব্লগাররা শাহবাগে সুন্দর একটি প্রতিবাদ কর্মসুচি চালিয়ে যাচ্ছিলো ঠিক তখন এই সব মিথ্যা খবর ছড়িয়ে প্রতিবাদ কর্মসুচি বন্ধ করার পায়তারা চলছে , এটা কাদের পক্ষে হচ্ছে ?
অবশ্যই এটা রাজাকারদের বিচার হতে বাচানোর একটা কৌশল ! এই সব সাইট গুলোকে চিনে রাখতে হবে এরা রাজাকারদের দালাল ।
এই যে শাহবাগে প্রজন্ম চত্বরে এতবড় আন্দোলন, এটাসরাসরি সম্প্রচার হচ্ছে, অনেকে সেখানে উপস্থিতও। তারপরও ছাগু পেইজগুলায় এটা নিয়ে কি লেখা হচ্ছে? কি লেখা হচ্ছে সোনার বাংলা ব্লগ, সামহোয়ার ইন ব্লগ, আমার দেশ ,নয়া দিগন্তে? নিজের চোখেই কি তোমরা দেখতেছো না তাদের স্বরূপ।
যুগ যুগ ধরে তারা যে মিথ্যাচার চালিয়ে আসতেছে তার হাতেনাতে প্রমাণ কি পাইতেছো না?
মুখে মুখে মুক্তি যুদ্ধের কথা বলে , গোপনে রাজাকারদের বিচার নস্যাৎ করার ঘৃনিত চেষ্টার বিচার ব্লগার রা করবে । আমরা সামু ব্লগের ব্লগার এই ব্লগ আমাদের , সামু ব্লগ নিয়ে কোন রকম মিথ্যা খবর ছড়ানোর দাত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে ।
বাংলা ভাষার প্রথম এবং বৃহত্তম ব্লগ সাইটটি সর্ম্পকে এই ধরণের অপপ্রচার গণজাগরণের এই ঐতিহাসিক মুহুর্তে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনকারীদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির পথ তৈরি করার সম্ভাবনাকে উষ্কে দেয় মাত্র।
আমার কথা হল ফেসবুকেও অসংখ্য আই ডি , পেইজ ও গ্রুপ আছে যারা প্রকাশ্যে যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি চায় , রাজাকারদের মুক্তি চায় , অনেক ভুয়া , মিথ্যা এবং উশকানিমুল পোস্ট দেয় । যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার জন্য তারা উঠে পরে লেগেছে এবং সবসময়ই একটিভ ।
তাহলে কি সেই দোষ ফেসবুকের ? ফেসবুককে বলে দেখেন তো সেই একটা আইডি কিংবা পেইজ অথবা গ্রুপ ডি একটিভ করতে পারেন কি না ? সেখানে সামু সবসময়ই এই ধরনের পোস্ট ও আই ডি মুছে দিচ্ছে কিংবা ব্যান করছে । সামু সবসময়ই এই বিষয়ে সচেতন আছে , সামুর ম ডা রেশন প্যানেলও সচেতন আছে , সচেতন আছি আমরা ব্লগাররা । আজিব banglanews24.com ! নিজেদের স্বার্থে সামুর পিছনে লেগেছে । আমরা সবসময় কেন একজন আর একজনকে নিজেদের স্বার্থের জন্য নিচে টেনে নামাতে চাই !!!!
যেসব ব্লগের পাতা গুলো পোস্টশূণ্যতায় খা খা করতেছে এবং যেসব ছেলিব্রেটি সামুতে আর জায়গা পায়না অন্ধদলবাজীর কারনে, তাদের বিষোদগারটি বুঝতে কষ্ট হয়না যে, তারা আসলে কি চায়।
সামু তার আদর্শ ও নীতিমালার কারণে সব সময়ই এক নম্বরে আছে এবং থাকবে।
গোয়েন্দা নজরদারির ভয় দেখানোর প্রয়োজন তারাই অনুভব করে যারা মুখোমুখি হতে ভয় পায়, যুক্তিকে মানতে পারেনা এবং আপাদমস্তক মতলবী। সামুর ব্লগাররাই যথেষ্ঠ দেশবিরোধী চক্রকে প্রতিহত করতে। শাহবাগ স্কোয়ারের আজকের যে বাধঁভাঙ্গা জোয়ার-সেখানে সামুর অবদান বাংলা ভাষাভাষিরা সব সময় মনে রাখবে। সামহোয়্যারকে নিয়ে ষড়যন্ত্রকারী সুবিধাবাদী হলুদ সাংবাদিকতাকে ধিক্কার জানাই। ।
বাংলায় যেমন রাজাকারের ঠাই নাই
তেমনি সামহোয়্যারইন-এ
যুদ্ধাপরাধীদের দোসর জামাত-শিবির গোষ্ঠির ঠাঁই নাই। ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।