নিজেকে নিয়ে কিছু একটা লেখার চেষ্টা, এখোনো করে যাচ্ছি . . .
সেদিন সকাল থেকেই খুব ব্যস্ত ছিলাম, অফিসের এতটা কাজ যে চোখ তুলে তাকাবার পর্যন্ত সময় ছিলনা, এমনটা হয়েছে বাসা থেকে দু'বার কল এসেছে সেটাও পর্যন্ত ধরার সময় হয়নি। ঠিক দুপুর তখন, কিছুটা সময় বাদেই ডাইনিং-এ যাব। ওই সময় আরেকটা ফোন এল, বেশ বিরক্তও হলাম "কে ফোন করে এ সময়?" অপরিচিত নম্বর দেখেই কলটা রিসিভ করি, একটা মেয়ের জড়ানো কন্ঠ "চিনতে পারছ তুমি" স্বভাবতই অপ্রস্তুত হয়ে পড়ি, কন্ঠটা মনে করতে পারছিনা যে তার সাথে কোন পূর্ব পরিচয় আছে কিনা, আবার তুমি করে স্বম্বোধন করছে দেখে "কিন্তু আপনাকে তো ঠিক?" তখনও মাথার সমস্ত ডাটাবেস খুজে বের করার প্রানন্তর চেষ্টা মেয়েটা কে "এত সহজে ভুলে গেলে আমাকে, সত্যি, তুমি আমাকে চিনতে পারনি", ও সবসময় 'সত্যি' কথাটা খুব একটা ঢং দিয়ে বলত, সত্যি যেন সত্যি করেই বলত, আমি বুঝতে পারলাম "তুই হ্যাপী না ! এতদিন পর" ও যে কাঁদছে বুঝতে পারেনি "তুমি কি একবার আসতে পারবে" আমার ভেতরটাতে তখন ঝড় বইছে "হ্যাপী, তুই আমাকে তুমি করে বলছিস কেন ? কি হয়েছে তোর" ও বিড়বিড় করে যেন কি বলছে, এতটুকুন শুনলাম "তুমি তাড়াতাড়ি আস"
ও ইউনিভার্সিটির হোষ্টেলেই থাকত। মাঝের অনেকদিন কোন যোগাযোগ ছিলনা, মাস ছয়েক আগে ওর খোজ পেয়েছিলাম তাও এক বন্ধুর সুবাদে। ইন্টারমিডিয়েট পাশ করা অব্দি পাশাপাশি ফ্লাটে থাকা, এক স্কুল-কলেজে পড়া, সেই ছোট থেকে বড়বেলার সাথী, সবই বাবার চাকুরীর সুবাদে।
ইউনিভার্সিটির হোষ্টেলে ওকে পেলাম না, ওর এক বান্ধবীর বাসায় যখন পেলাম তখন সন্ধ্যা প্রায়। দোতলা বাড়ীর একদম শেষের ঘরটায় জানলার পাশে জড়ো সড়ো হয়ে বসা। প্রথম দেখে ওকে চিনতেই পারিনি। চোখের নীচে কালো দাগে মুখটাও কেমন শুকনো। বিশ্রী রকম লাগছে।
একটা চাদড় গায়ে জাড়ানো ছিল, মনে হচ্ছিল সমস্ত জগৎ থেকে ও নিজেকে লুকিয়ে রাখতে চাইছে।
ইউনিভার্সিটিতে আসার পর প্রথম বর্ষ শেষে এক সিনিয়র ভাইয়ের সাথে পরিচয় হয়েছিল। সাধারণ প্রেমে যা হয় সেরকমই, কথা, গল্প, আড্ডা আরো বেশী কিছু হলে একান্ত কিছুক্ষন, এভাবেই বছর দেড়েক চলে যায়। শেষমেষ ওদের ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি রকমের কিছু হয়ে গেল "শারীরিক সম্পর্ক"। যথারীতি "অবাঞ্চিত গর্ভধারণ"।
প্রথমে ও কাউকে জানায়নি, অপেক্ষায় ছিল, কিছুটা সময় যেতেই বুঝতে পেরেছিল কি ঘটতে যাচ্ছে ওর ভাগ্যে, তখন শুধু ওর মা'কে জানায়। তিনিও সরাসরি না করে দিলেন।
"এ সন্তানকে বাঁচিয়ে রেখে কি লাভ, একে দিয়ে আমি কি করব, ও কার পিতৃ পরিচয়ে বড় হবে। কে নেবে এই ভার। মানুষ যখন আমাকে খারাপ বলবে, আমার সন্তানের দিকে আঙুল তুলে বলবে ও .. না না আমি ভাবতে পারিনা, এ সন্তান আমি চাইনা।
আমি এ পাপ থেকে মুক্ত হতে চাই"
হ্যাপীর জড়ানো কথাগুলো বারবার আটকে যাচ্ছিল। ওর বান্ধবী জানিয়ে গেল সবকিছু ঠিক আছে। রাগ আর ক্ষোভে ওর দিকে তাকাতেও ইচ্ছে হচ্ছিল না কিন্তু অসহায়ত্বের কাছে বারবার হেরে যাচ্ছিলাম, আমার হাত দুটো ধরে চিৎকার করে কাঁদছে।
এবোরশন শব্দটা এর আগেও বহুবার শুনেছি, কিন্তু এই প্রথম যখন মুখোমুখি হলাম এমন নিষ্ঠুর বাস্তবতার সামনে যেখানে মা হত্যা করতে যাচ্ছে তার ভ্রুণ সন্তানকে যে হত্যা দ্বারা মোচন হবে তার পাপ কিন্তু পাপী নয়। কি অদ্ভূত আত্ম অবিশ্বাস!
রাত তখন অনেক, যখন ওকে বাসায় পৌছে দিয়ে ফিরছি।
পেছনে ফেলা আসা দু:সহ স্মৃতিকে কিছুতেই ভুলতে পারছিনা, হৃদয়হীন নয় বলে ... কারণ আজ আমি পৃথিবীর নিষ্ঠুরতম খুনের একমাত্র স্বাক্ষী।
এ ঘটনাটি প্রায় বছর এক আগের। এবোরশন করানোর পর মাস দুয়েক ওর শরীর বেশ খারাপ ছিল। শুনেছি পরে বিয়েও করে ফেলেছে। সেদিনের পর থেকে আর কোন যোগাযোগ হয়নি।
এ লেখাটি হত না যদি না সেদিন সে ফোন করত "তুই কেমন আছিস, কোন খবর নাই" আমি ওর কথাগুলো শুধু শুনি "তুমি অনেক বদলে গেছ" হ্যাপী তখন হো হো হাসছে "কিরে আজ তুই আমাকে তুমি করে বলছিস কেন" আস্তে করে ফোনটা রেখে দিই।
.
.
"মা" দিবসের শিরোনামে কিছু একটা লেখবার যখন মনস্থির হল, পজিটিভ কিছু লেখার ইচ্ছে ছিল, যে দৃশ্যে সন্তান মা মা ডাকে মায়ের বুকে দৌড়ে যাবে আর মা পরম মমতায় তাকে বুকে টেনে নিবে। সার্থক মা, সার্থক মা দিবসের পরম রচয়িতা রচিত হবে। সে আর হলনা, এমন একটা বণর্না তুলে দিলাম যেটা হয়ত হৃদয়হীন মানুষের কাছে আবেগের খুব একটা অনুভূতি সৃষ্টি নাও করতে পারে, কিন্তু অন্তরালে যে সত্য লুকিয়ে থাকল সেখানে মূল চরিত্রে "মা" হয় একজন ভ্রূণ হত্যাকারীনি, একজন খুনী।
কবিতাটির কিছু লাইন খুব মনে পড়ছে, ...
প্রথম যেদিন তুমি এসেছিলে ভবে
তুমি মাত্র কেদেঁছিলে
হেসেছিলে সবে ..
"একটি নবজাতকের কান্না একজন মায়ের মুখে স্বর্গীয় হাসি ফোটাতে পারে তা নিজের চোখে না দেখলে আর প্রাণের গভীর অনুভব না করলে সঠিক মূল্যায়ন করা যায়না" - অধ্যাপিক ডা. সুলতানা জাহানের এ উক্তিটি আমার সেই ছোটবেলা সাথীর জন্য প্রযোজ্য নয়।
যারা সজ্ঞানে, বিচারে ভ্রূণ হত্যা করতে পারে, শরীরী কামনা আসক্তিতে অবাঞ্চিত গর্ভধারিত ভ্রূনকে নির্দিদ্ধায় বৈধতার সংকোচে পাপ মোচনের অযুহাত দিয়ে শরীরের কলংককে মুছে ফেলতে চায়, সমাজের চোখে বিশুদ্ধতাই যখন প্রধান অবলম্বন, নিদারুন স্বার্থপরতা, হিংস্রতার পাশবিক আচরণের শেষ পরিণতি হয় তখন গর্ভনাশ।
এ লেখাটির প্রসঙ্গ "স্বতস্ফূর্ত গর্ভপাত" এর দিকে বিন্দুমাত্র লক্ষ্য নেই, শুধুমাত্র "আবিষ্ট গর্ভপাত" যার মাধ্যমে স্ব-ইচ্ছায় নষ্ট করে দেয়া একজন নারীর ব্যক্তিগত, সামাজিক অবস্থানকে দেখানো হয়েছে।
উদ্বেগজনক হবারই মত বিষয়, বিশ্বে যেখানে ৬৪ শতাংশ গর্ভপাত ঘটানো হচ্ছে অবিবাহিত মহিলাদের, ১৮ শতাংশ বিবাহিত এবং ৯ শতাংশ বিপত্মীকদের ক্ষেত্রে যার কারণ অনুসন্ধানের চিত্রটি এমন, ১ শতাংশ ধর্ষণ বা ইনসেস্ট এর কারণে, ৬ শতাংশ মা বা শিশুর শারীরিক সমস্য এবং বাকী ৯৩ শতাংশই হয়ে থাকে সামাজিক কারনে যার প্রধান ইস্যু অবাঞ্চিত, অনাকাঙ্খিত এবং অবৈধ। (সূত্র : The Alan Guttmacher Institute)
কিন্তু কেন গর্ভপাতের মত রক্তপাত আজকের সময়কে আহত করছে? সামাজিক অবক্ষয়, উদার নৈতিকতা যখন প্রশ্নবিদ্ধ তখন পশ্চিমা বিশ্বের দিকে তাকালেই সহজেই অনুমেয় 'সমকামীতার' মত বিতর্কিত বিষয়টিকে তারা অনুমোদন দিয়ে যাচ্ছে, দেয়া হয়েছে গর্ভপাতকেও। যৌন স্বাধীনতাকে রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে এভাবে উপস্থাপিত ও বাস্তবায়িত করা হচ্ছে যেখানে প্রতিনিয়ত নৈতিক মূল্যবোধ ও পারিবারিক কাঠামো ধ্বংস হচ্ছে।
নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা, যৌন অনাচার, মাদকের বহুমাত্রিক ব্যবহার সমাজের নীতির দৈন্যতাকে আরো প্রকট করছে। সামাজিক এ রক্তক্ষরণ শারীরিক রক্তক্ষরণের চেয়ে কোন অংশে কম নয়।
গর্ভপাত বলতে যে শুধু স্বইচ্ছায় ভ্রুণ নষ্ট (আবিষ্ট গর্ভপাত) করাকে ধরে নেয়া হবে তা নয়, world abortion policies এর ৩১ডিসেম্বর ২০০৬ তথ্য অনুযায়ী যে ক্ষেত্রগুলোতে গর্ভপাতের অনুমোদন দেয়া হয়েছে সেগুলো :
১) নারীর জীবন বাঁচাতে
২) শারীরিক স্বাস্থ্য রক্ষার্থে
৩) মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার্থে
৪) ধর্ষণ বা ইনসেস্ট এর কারণে
৫) ভ্রূণ নষ্ট বা ক্ষতি সাধিত হলে
৬) অর্থনৈতিক ও সামাজিক কারণে এবং
৭) অনুরোধের প্রেক্ষিতে
কিন্তু বিশ্বের সব রাষ্ট্রই উপরোক্ত সব বিষয়গুলিতে অনুমোদন দেয়নি।
(Source: The Population Policy Data Bank maintained by the Population Division of the Department of Economic and Social Affairs of the United Nations Secretariat.)
সারা বিশ্বে আনুমানিক ৪২ মিলিয়ন গর্ভপাত হযে থাকে যেখানে দিনে গড়ে ১,১৫,০০০ জনের গর্ভপাত হয়। সূত্রমতে ৮৩ শতাংশ এবোরশন উন্নয়নশীল দেশে এবং ১৭ শতাংশ উন্নত দেশে হয়ে থাকে।
(সূত্র : The Aan Guttmacher Institute)
গর্ভপাত নিয়ে হৈ হট্টগোল কম হয়েছে তা কিন্তু নয়, বৈধতা-অবৈতার বিষয়গুলি সমাধানে রাস্তায় পর্যন্ত মানুষ নেমে এসেছে, যখন হাজার হাজার মানুষ মাদ্রিদের রাস্তায় "এখান থেকে বেরিয়া যাও, আমাদের শিশুদের বাঁচতে দাও" শ্লোগানে গর্ভপাত বিরোধী প্রতিবাদে মুখর হল সারা বিশ্ব কিন্তু তখন তা দেখেছে। ভারতে গর্ভপাত বিষয়ক আদালতের একটি রায় সেদেশেও বির্তকের সৃষ্টি করে। নিয়মানুযায়ী সে দেশে ২০ সপ্তাহের গর্ভাবস্থার পর গর্ভপাত করতে দেয়া হয় না, কিন্তু যে দম্পত্তি আদালতের অনুমতি চেয়েছিলেন সেখানে ২০ সপ্তাহের চেয়ে পরিণত ভ্রূনে জন্মগত ব্লক দেখা গিয়েছিল, কিন্তু আদালতের রায় না পাওয়ায় ক্রটিযুক্ত সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে বিষয়টি পরিপূর্ণ সুরাহা হয়নি।
একটি বিষয় না উল্লেখ করলো অসমাপ্ত থেকে যাবে, আমি বীরাঙ্গনাদের কথা বলতে চেয়েছি। আমাদের গৌরবজ্জ্বল স্বাধীনতার পেছনে যারা রেখে গিয়েছেন নীরব অবদান।
(ব্রাউনমিলার, ১৯৭৫;৮৪) তথ্য মতে ৭১' এ ধর্ষণের ফলে বেঁচে থাকা নারীদের ২৫ হাজার জন গর্ভধারণ করেছিলেন। অন্যদিকে ড: জিওফ্রে ডেভিসের মতে প্রায় ৫হাজার জনের গর্ভপাত সরকারীভাবে ঘটানো হয়েছিল, এয়াড়াও ১ লাখ ৫০ হাজার নারীর ভ্রƒণ সরকারী উদ্যোগ নেয়ার আগেই স্থানীয় দাই, ক্লিনিকসহ যে যেভাবে পেরেছিলেন ষেভাবে নষ্ট করেছে। এখানে আমরা তাঁদেরকে শ্রদ্ধা করি সম্মান জানাই। (ব্লগ হতে তথ্য সংগৃহীত)
আমি পূর্বেই উল্লেখ করেছি লেখাটি শুধুমাত্র আবিষ্ট গর্ভপাতকে চিহ্নিত করেছে। তথ্য উপস্থাপানের কারণে প্রাসঙ্গিক কিছু বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
.
.
.
অন্য সবার মত আমারও একটি দিন আছে সেদিন "মা" দিবস। যেখানে মা তার বিশেষত্বে বিশেষায়িত। আমি তা ভুলে গিয়েছি এমনটি নয়। কেউ ভেবে থাকলে ভূল করবেন এ লেখার প্রসঙ্গটি 'মা' কিংবা তাঁর নামের মর্যাদার সামান্য অংশ ক্ষুন্ন করেছি কিনা। আমি মার্জনা প্রার্থনা করছি, বিধাতা যেন একদন্ড সেই সাহসও আমাকে কোন দিন না দেন 'মা'কে নিয়ে একটা কটু কথা বলি।
এখানে সেই নারীদের কথা বলা হয়েছে যারা 'মা' হবার পথে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠত্বকে নিজ হাতে বিসর্জন দেন। যাকে আমরা শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা দিচ্ছি সেই নিষ্পাপ ভ্র'ণকে 'অবাঞ্চিত' 'অবৈধ' নামকরণে সামাজিক বৈধতার দু:শ্চিন্তায় আত্মরক্ষার্থে গর্ভেই তাদেরকে হত্যা করে।
কাকে অবৈধ বলছি ? মাতৃ জঠরে বেড়ে ওঠা সেই ভ্রূণ ? ভ্রূণ কখনো অবৈধ হতে পারেনা। অবৈধ সেই সম্পর্ক যা তার পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেয়না, তখন লোপ পাওয়া মনুষ্যত্বে অন্যায়ভাবে "অবৈধ-সন্তান" উচ্চারণটি অবৈধভাবে চাপিয়ে দেয়া হয় ভ্রূণের উপর। এক অন্যায় মোচনে করা হয় আরেক পাপ।
abortion is murder? abortion is terrorism? উন্মুক্ত বিশ্বযুগে ফোরাম, ব্লগের পাতায় প্রকাশ পাওয়া প্রশ্নগুলো যখন তুমুল বিতর্কের মুখে পক্ষে - বিপক্ষে সাফাই গাইছে তখনও কি থেমে আছে এবোরশন ? একথা ঠিক, আপনার এই সারমর্ম আলোচনার ক্ষনিকটুকুতেও পৃথিবীর কোন না কোন প্রান্তে মা তা গর্ভজাত ভ্রূণকে হত্যা করছে।
লেখাটি সংকলন করবার সময়কালে মনুষ্যত্বের আঘাতে যে ঘৃণা জমা হয়েছে তার প্রকাশটা বাঞ্চনীয়।
ঘৃণা সেই নারীদের, যারা হত্যা করে গর্ভজাত মানব বীজকে, কলংকিত হবার তাড়নায় যারা সেই কলংক লেপে দেয় নিজেদের আত্মায়। ক্ষণিকের জরায়ুমুখের রক্তরণ যতটা না তাদেরকে আহত করে, বিবেক আর মনুষ্যত্ব যে অবিরত রক্তক্ষরিত হয়ে মৃত্যুবরণ করে একটিবারের জন্যও তারা তা বুঝতে পারেনা। ঘৃণা সেই অপ্রকৃতস্থ, জ্ঞান বিবর্জিত মানুষগুলোর প্রতি।
ঘৃণা সেই কুৎসীত মন ও দেহধারী পুরুষদের প্রতি, সত্যকে ধারণ করার মতো শক্তি এবং সাহস কোনটিই যাদের নেই। ঘৃণা তাদের জন্য, সেইসব অসাধু, ভন্ড ও কাপুরুষদের, যাদের লোভ, ছলনার আকুতিতে অভিশপ্ত হয় মানব ভ্রূণ। অসুস্থ, বিকৃত মননের সেই পুরুষধারী মুখোষগুলি, আত্ম -পরিচয়ে যারা শংকিত।
গর্ভপাত : রক্তপাত, ভ্রূণ হত্যা : মানব হত্যা
উপসংহার টেনে দিলে লেখাটির হয়ত পূর্ণতা আসবে, প্রাপ্তি প্রত্যাশায় এ রচনা নয়। যে ঘটনা ও ব্যক্তিচরিত্রের সামাজিক প্রেক্ষাপট এবং অবস্থানে শংকিত, সে অবক্ষয় কি এত সহজেই মুছে যাবে ? কলংকের দাগ শুকাতেও তো কিছুটা সময়ের প্রয়োজন হয়।
"মা" দিবস নিয়ে কিছু লেখা হলনা। কিছু লেখার তাগিদও অনুভব করিনি, কারণ এক, মা সত্য, মায়ের ভালবাসা সত্য। একজন প্রকৃত মা কখনো পারেন না তার সন্তানকে হত্যা করতে, এ সত্যকে আরো একবার স্বীকার করে নেবার কোন অর্থ হয়না কারণ যে সত্য জেনে এসেছি এবং জানি এবং যে সত্য ধ্রুব - "মা" যে চিরন্তন সত্য। -
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।