রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় জেলেরা ফের মাছ শিকার শুরু করেছে। মাছ শিকারী জেলেদের মাঝে দীর্ঘদিন পরে স্বস্তি ফিরে এসেছে। মাছের সুষ্ঠু ও প্রাকৃতিক প্রজনন, বংশ বিস্তার এবং উৎপাদন বাড়াতে সব ধরনের মাছ শিকার, আহরণ ও বাজারজাতকরণের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় দীর্ঘ চার মাস পর কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা উন্মুক্ত হয়েছে। জেলা প্রশাসন এবং বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) মাছের প্রজনন মৌসুম শেষে কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকারের ওপর জারি করা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।
দীর্ঘ চার মাস কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা বলবৎ ছিল।
বন্ধকালীন গত চার মাস বেকার বসে থাকার পর মাছ ধরা উন্মুক্ত হওয়ায় জেলেদের মনে ফিরে এসেছে স্বস্তি। এখন কাপ্তাই হ্রদের মাছের ওপর নির্ভরশীল ১ লাখের অধিক মৎস্যজীবীর জীবিকা পুনরায় সচল হয়ে উঠছে। তারা নিয়োজিত হয়েছেন নিজ নিজ পেশায়।
তবে শর্তসাপেক্ষে কেবল মাত্র বাংলাদেশ মত্স্য উন্নয়ন কপের্ারেশনের (বিএফডিসি) রাঙামাটি জেলা দফতর থেকে লাইসেন্স গ্রহণ এবং আহরিত মাছের শুল্ক প্রদান করে কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার ও আহরণ করা যাবে। লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতীত কারও মাছ ওজন করা ও পরিবহণের জন্য ছাড়পত্র দেয়া হবে না।
কোনো ব্যবসায়ীর কাছে রয়েলিটি বাবদ পূর্বের কোনো বকেয়া থাকলে তাকে মৎস্য ব্যবসার অনুমতি পত্র (লাইসেন্স) দেয়া হবে না। রয়েলটির টাকা প্রতিদিন পরিশোধ করতে হবে। মাছ অবতরণের সময় প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে তার মাছ প্রজাতিভিত্তিক আলাদা আলাদাভাবে ওজন করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট প্রশাসন থেকে শর্তসাপেক্ষে জেলেদের মৎস্য আহরণের অনুমতি দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে অবমুক্ত মৎস্য পোনার নিরাপত্তা রক্ষা ও বংশ বৃদ্ধির জন্য রাঙামাটি সদরের ফিসারিঘাট সংলগ্ন ২ কিলোমিটার এবং লংগদু উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয় সংলগ্ন ২ কিলোমিটার, জেলা প্রশাসক বাংলো সংলগ্ন ১২ কিলোমিটার এবং রাঙামটি বনবিহার এলাকা সংলগ্ন (৫৩.৫০) একর পর্যন্ত হ্রদ এলাকার অভয়াশ্রমে আগের মতো কোনোরকম মাছ শিকার ও আহরণ করা যাবে না।
এসব মৎস্য আইন যথাযথভাবে অনুসরণ করতে এবং বিএফডিসির নির্ধারিত শুল্ক পরিশোধ ব্যতিত কোনোরকম মাছ কিংবা শুটকি ক্রয়-বিক্রয়ে নিষিদ্ধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।