mdsakature@yahoo.com
প্রশ্ন করলাম- ভাই আপনার বাড়ি কোথায়?
উনি উত্তরে বললেন, চট্টগ্রাম।
আমি- তাই নাকি? আমার বাড়িও।
এবার অনেক আলাপের পর....
আমি- ভাই কাপ্তাই গিয়েছেন কখনও?
উনি উত্তর দিলেন- না।
ওঁর বয়সটা প্রায় পঁয়ত্রিশের উপরে হবে।
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা অনেক দেশ ইতিমধ্যেই ভ্রমণ করে ফেলেছেন।
তাদের বলছি -নিজের দেশটাকে একবার ভালো করে দেখেছেন কি? যারা ঢাকায় কিংবা সিলেটে থাকে তাদের দোষই বা কি দেব? চট্টগ্রামের লোকই নিজের ঘরের পাশে যে এত সুন্দর একটা স্বর্গরাজ্য আছে জাননে না।
সত্যিই বর্ণনা করতে পারবো না যে প্রকৃতি কতটা সুন্দর হতে পারে। কাপ্তাই চট্টগ্রাম শহর হতে কাপ্তাই রোড ধরে যেতে হয়। কাপ্তাই পৌঁছার আট দশ মাইল আগে রয়েছে এশিয়ার বিখ্যাত পেপার মিলস্ "চন্দ্রঘোনা পেপার মিলস্। তার কিছু পরে গেলেই রয়েছে ঝুম রেস্তোরাঁ।
আর ওখান হতেই শুরু আসল সৌন্দর্য। ঝুম রেস্তোরাঁটি মূলত সেনাবাহিনী কতৃক পরিচালিত একটি পিকনিক স্পট। যেখানে কর্ণফুলি নদী মিশেছে কাপ্তাই রোডের সাথে। এরপর আপনি যতটা পথ যাবেন অপরূপ সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ না হয়ে উপায় থাকবে না। যাই হোক, অল্প পথ যেতেই চোখে পড়বে দুটো হাতির স্থাপত্য।
আর ঐ এলাকাকে ইতিমধ্যে বাংলাদেল সরকার "জাতীয় উদ্যান" হিসেবে ঘোষণা করেছেন। ডানপাশে তাকালে দেখবেন, রোড হতে বেশ কয়েক ফুট নিচে আপন মনে বয়ে চলেছে খরস্রোতা কর্ণফুলি আর নদীর ওপারে দেখা যাবে উঁচু উঁচু পাহাড় আর গড়ে ওঠা চা বাগান। আকাশের দিকে তাকালে মনে হবে মেঘগুলি যেন পাহাড়ের সাথে মিতালী করছে। আমার মনে হয় না এতসুন্দর আর একটি জায়গা বাংলাদেশের কোথাও আছে! সত্যিই অবিশ্বাস্য! আর বাঁধ দেখার আনন্দটা আপনি নিজে গিয়েই উপভোগ করুন। তাছাড়াও রয়েছে ন্যাভাল একাডেমীর আওতাধীন গড়ে উঠা আর একটি পিকনিক স্পট।
আরও কত কি!
প্রকাশিত ছবিটি কাপ্তাই ন্যাভাল একাডেমীর ভিতর হতে তোলা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।