আমরা যদি না জাগি মা, কেমনে সকাল হবে...
লাবণ্যপ্রভা গল্পকার নামে একজন ব্লগার দীর্ঘদিন ধরেই এই ব্লগে আছেন। সম্প্রতি তার একটি লেখা ""কৃষ্ণ সর্পের পোঁদ ও পরমাঙ্কের ভাঁজ হতে নিয়ে কিছু ব্লগারের প্রতিক্রিয়া রীতিমতো হয়রানির পর্যায়ে পৌঁছেছে।
লেখক কী লিখবেন, সেটি একান্তই তার নিজস্ব ব্যাপার। নাকি সেটি কয়েকজন ব্লগার মিলে ঠিক করে দেবেন? শরীরঘনিষ্ঠ শব্দের ব্যবহার কি আগে হয়নি সাহিত্যে? কী অদ্ভূত! আমার কাছে তো অন্তত কবিতায় পোঁদ শব্দটির ব্যবহার কোনোভাবেই দৃষ্টিকটু মনে হয়নি। দৃষ্টি কিংবা শ্রুতিকটু হলেও তা লেখকের একেবারেই নিজস্ব ব্যাপার।
আমি সেদিনই দেখেছিলাম, তাকে একদল ব্লগার নানাভাবে আক্রমণ করছেন। সেই পালে ছেলে তো ছিলই, বুড়োরোও কম যাননি। দেখেছিলাম, ভব্যতার সীমা ছাড়ানো কোনো কোনো মন্তব্য লেখক বাধ্য হয়ে মুছে দিচ্ছিলেন। গত রাতেও এক ব্লগারকে দেখলাম লাবণ্যপ্রভাকে অভিযুক্ত করেছেন এই অভিযোগে যে, তার একাধিক নিক আছে। রীতিমতো মজমা বসেছিল সেখানে।
একাধিক নিক থাকা কি অন্যায়, যেখানে সামহোয়্যারের নীতিমালাতেই এর অনুমোদন দেওয়া আছে?
নাফে মোহাম্মদ এনামকে নিয়ে এর আগে ঠিক একই রকম কাণ্ড হয়েছে। নানা বিশেষণে তাকে ভূষিত করা হল। এই দুর্দিনে এক তরুণ সাহিত্যের একটি ক্ষুদ্র শাখা নিয়ে মাতামাতি করছে- এও কম নয়। গাঁটের টাকায় তিনি পত্রিকা প্রকাশ করছেন, লেখকদের উৎসাহিত করতে পুরস্কার ঘোষণা করছেন- এতে আপত্তি জানানোর কী ছিল? কিন্তু না, ছেলে-বুড়ো সবাই হামলে পড়েছে তার ওপর। তাকে শেষপর্যন্ত ব্লগই বোধহয় ছাড়তে হয়েছে।
অথচ লাবণ্যপ্রভা, নাফে এনাম- এদের কাউকেই আমি এ যাবত দেখিনি কোনো ব্লগারকে উত্যক্ত করছেন বা গালি দিচ্ছেন।
আমার পর্যবেক্ষণ বলছে, সামহোয়্যারের বিরুদ্ধে একটা সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্র চলছে। সাধারণ ব্লগারদের মন বিষিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে কিছু লোক কাজ করছে বলে আমার মনে হচ্ছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।