আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাধারণ ক্ষমা এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারঃ ২ হাজার ৮শ ৪৮ জন যুদ্ধাপরাধীরা বিভিন্ন সাজা পেয়েছিল; ফাঁসি হয়েছিল ১৮ জনের এবং যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিলনা শুধু তাদেরকেই সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই । কাদঁতে আসিনি ফাসিঁ দাবী নিয়ে এসেছি ।

২ হাজার ৮শ ৪৮ জন যুদ্ধাপরাধীরা বিভিন্ন সাজা পেয়েছিল; ফাঁসি হয়েছিল ১৮ জনের এবং যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিলনা শুধু তাদেরকেই সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল । যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা রয়েছে সরকারের কাছেই। কেননা যুদ্ধাপরাধীরা সবাই মুক্তিযুদ্ধের পর গ্রেফতার হয়েছিল।

দালাল আইন বাতিল হওয়ার আগ পর্যন্তô২ হাজার ৮শ ৪৮ জন সাজা পেয়েছিল। ফাঁসি হয়েছিল ১৮ জনের। তবে ১৯৭৫ সালের পর দালাল আইন বাতিল হলে তারা সবাই কারাগার থেকে ছাড়া পায়। গতকাল এসব তথ্য জানান মুক্তিযোদ্ধা, ৯নং সেক্টরের খুলনা সাব সেক্টরের কমান্ডার এবং গবেষক মেজর (অব) এএসএনএস সামসুল আরেফিন। মেজর আরেফিন জানান, গণহত্যা এবং স্বাধীনতা বিরোধী ভূমিকার কারণে স্বাধীনতার পর ৩৭ হাজার ৪শ ৭১ জন রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও পাক সেনাদের সহযোগিকে চূড়ান্তôভাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।

এরমধ্য থেকে ১৮ জনকে ফাঁসি দেয়া হয়। অন্য অনেককে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। এদের মধ্যে- খলিলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, চিকন আলির ফাঁসি, সামসুদ্দিনের ৫ বছরের জেল। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে অনেকে মন্ত্রীও ছিলেন। এই তালিকাটি যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা।

এটা সরকারের কাছে আছে। মেজর আরেফিন আরও জানান, স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত নেতাদের একাংশ তখন দেশের বাইরে পালিয়ে যায়। যেমন- গোলাম আযম সৌদি পালিয়ে গিয়ে প্রবাসীদের পুনর“দ্ধার কমিটি নামে একটি কমিটি করেছিল, মঈনুদ্দিন পালিয়ে যায় লন্ডনে, এরকমভাবে নিজামী, কামর“জ্জামান, মুজাহিদ সবাই অন্যদেশে পালিয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুর সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে আরও গতিশীল করতে ১৯৭৩ সালে সংবিধানে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আইন নামে একটি নতুন আইন সংযোজন করে। কিন্তু ১৯৭৫ এর পট পরিবর্তনের পর জিয়াউর রহমানের সরকার দালাল আইনটি বাতিল করে।

এই সুযোগে যাদের সাজা হয়েছিল এবং যাদের বিচার চলছিল তারা সকলেই তখন মুক্তি পেয়ে বেরিয়ে যায়। এখন বর্তমান সরকার চাইলে গ্রেফতারকৃতদের তালিকা, মামলা ও বিচারের রায়ের কাগজপত্র ধরে খুব সহজেই যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতা বিরোধীদের নতুন তালিকা করতে পারে। যুদ্ধাপরাধীর তালিকা সরকারের কাছেই রয়েছে, আমরা চাই সেই তালিকাটি প্রকাশিত হোক এবং সেই তালিকার ভিত্তিতেই বিচার হোক । তাই যুদ্ধাপরাধীদের চিহ্নিত করতে তাহলে বর্তমান সরকারের কোন সমস্যা রইল না । তাহলে ফক্কুরুদি্দন এখন কি বলবেন সেই দেখার বিষয় ।

কেননা দেশের সব মানুষের প্রত্যাশা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হোক । (তথ্যসূত্রঃ ইটিভি, আমাদের সময় )

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.