প্রবাসী বাঙালীর জন্য আনন্দ সংবাদ। সৌদী আরবে রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্র অভিবাসী ড: এ কে এ মোমেন । আমাদের অতি পরিচিত স্বজন মোমেন ভাই। সত্যের পক্ষে সব সময়ই তিনি সোচ্চার। তাঁর নতুন কর্মক্ষেত্রেও সে
চেতনা তিনি সমুন্নত রাখবেন , সেটাই প্রত্যাশা ।
----------------------------------------------------------------------------
সংবাদ ,বার্তা সংস্থা এনা -র সৌজন্যে
--------------------------------------
বস্টনে ফেন্সমিংহ্যাম স্টেট কলেজের অর্থনীতি এবং ব্যবসা প্রশাসন ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান এবং কম্যুনিটি এ্যাক্টিভিস্ট ড: এ কে এ মোমেনকে সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নিয়োগের সংবাদকে প্রবাসীরা অভিনন্দিত করেছে। উল্লেখ্য যে, ড: মোমেন ইতিপূর্বে ১৯৯৮ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত সৌদি আরবের অর্থ ও জাতীয় অর্থনীতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রকল্পে অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ড: মোমেন ১৯৯৩, ১৯৯৪, ১৯৯৫ এবং ১৯৯৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসে শিশু শ্রম, শিশুকে জকি হিসেবে ব্যবহার এবং শিশু পতিতাবৃত্তির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তার নিরন্তর প্রয়াসের ফল হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আদম পাচার সম্পর্কিত সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে শিশুকে উটের জকি হিসেবে ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
সৌদি আরবে কর্মরত অবস্খায় তিনি প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়েও সোচ্চার ছিলেন। সে অভিজ্ঞতার আলোকে এবং সে সময় সৌদি প্রশাসনের সাথে গড়ে উঠা সম্পর্ককে বাংলাদেশের স্বার্থে ব্যবহার করতে সর্ব মহলে ড: মোমেনের এ নিয়োগ যথার্থ হবে বলে যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এবং আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আশা পোষণ করা হয়েছে।
আরো উল্লেখ্য যে, মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি মুজিব নগর সরকারের সাথে কাজ করেন। এরপর স্বাধীন দেশেও নতুন সরকারের অধীনে যোগদান করেন। কিন্তু ১৯৮২ সালে তাকে বরখাস্ত করা হয় বিশেষ সামরিক অর্ডিন্যান্স (৯) জারীর মাধ্যমে।
সেই থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে বর্তমান পদে অধিষ্ঠিত রয়েছেন। একইসাথে তিনি মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং সুশাসনের জন্যেও কাজ করে চলেছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।