যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
একজন মানুষ মরলো। তারপরে দোযখে গেলো। গিয়া দেখলো প্রত্যেক দেশের জন্য আলাদা আলাদা দোযখ। সে খুঁজতে শুরু করলো কোন দেশের দোযখে কম কষ্ট - এরম পাইলে সে সেইখানেই হাইন্দা যাইবো। তারপরে প্রথমে দেখলো জার্মান দোযখ।
গিয়া জিগাইলো এইখানে কেমনে শাস্তি দেয়া হয়! তারে বলা হইলো যে প্রথমে একটা ইলেকট্রিক চেয়ারে বসানো হয় ঘন্টাখানেকের জন্য। তারপরে সূচালো গজাল পেরেক ভর্তি একটা বিছানায় তাকে শোয়ানো হয় আরো এক ঘন্টা। তারপরে একজন দোযখের জল্লাদ আইসা তাকে সারাদিন চাবুক মারতে থাকে।
শাস্তির বিবরণ শুইনা বেটার ভয় লাগলো। সে অন্য দেশের দোযখ খুঁজতে বের হইলো।
আম্রিকা, রাশিয়া, ভারত সহ নানান দেশ দেখলো। সব গুলাতেই দেখলো জার্মানের মত শাস্তির ব্যবস্থা।
অবশেষ সে বাংলাদেশের দোযখে আইলো। আইয়া ভিমরী খাইলো। গেটের সামনে লম্বা লাইন।
আশ্চর্য্য হইয়া জিগাইলো একজনরে - এইখানের শাস্তি কি? তারে কইলো প্রথমে একটা ইলেকট্রিক চেয়ারে বসানো হয় ঘন্টাখানেকের জন্য। তারপরে সূচালো গজাল পেরেক ভর্তি একটা বিছানায় তাকে শোয়ানো হয় আরো এক ঘন্টা। তারপরে একজন দোযখের জল্লাদ আইসা তাকে সারাদিন চাবুক মারতে থাকে।
শুইনা সে আরো অবাক। এইডা তো সব দোযখেরই কাহিনী।
তারপরেও এইখানে যাওয়ার জন্য মানুষ পাগল কেন?
লাইনে অপেক্ষমান লোকটা কইলো, বাংলাদেশের দোযখে বিদ্যুৎ সাপ্লাই এত খারাপ যে ইলেকট্রিক চেয়ার কাম করে না। নিশ্চিন্তে ঘন্টাখানেক বইসা থাকোন যায়। বিছানায় সূচালো গজাল পেরেক রাখার জন্য বরাদ্দ ঠিকই থাকে কিন্তু কোনদিন সেইগুলা আইসা পৌছায় না। আর সবচেয়ে সুবিধার হইলো বাংলাদেশী দোযখের জল্লাদ একজন সিভিল সার্ভেন্ট। সে আসে, টাইমসিটে সিগনেচনার দিয়া তার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেখার জন্য বাইরাইয়া যায়।
তারমানে সারাদিন আপনি নিশ্চিন্তে ঘুমাইতে পারেন!
(এইটা আমার না। সদ্য প্রাপ্ত একটা মেইলের অনুবাদ কইরা দিলাম)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।