আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কিছু আঞ্চলিক (আমার জন্মাঞ্চলের )বাগধারা -প্রবাদ- প্রবচন সংকলন

কাগু ক্যান স্টার্ট অ্যা ফায়ার ইউজিং জাস্ট টু আইস কিউবস

১ : প্রবচন > আঁআর বাইয়েরে নাদানে হাইছে, বরগ আইনতো গেছে, আঁআরে ছাইরগা মাডিতেএ দেন । শুদ্ধরুপ : আমার ভাইরে পেটের লোভে পাইছে, কলাপাতা আনতে গেছে (বাসনের বদলে), আমারে কয়টা মাটিতেই দেন । অর্থ : অনেকটা চালুনি বলে ছুঁচ তোর পোঁদে কেন ছ্যাদা , বা এক বুড়ি আরেক বুড়িরে কহে নানী এর অর্থের কাছাকাছি । খাবার নিয়া কাড়াকাড়ি করার সিচুয়েশনে ব্যবহৃত হয় । ২ : প্রবচন > আঁআর নানুগো গাছের আম, যে হোয়ায়ায়াদ খাইছত্তি ? না, দিবো কইছে ।

শুদ্ধরুপ : আমার নানুবাড়ীর গাছের আম, অনেএএক মজা । খেয়েছিস ? না, দিবে বলছে । অর্থ : নাকের আগার ঝুলানো মূলার পিছনে দৌড়ানি বুঝাতে ব্যবহার করা হয় । ৩: প্রবচন > কাউয়া মনে করে কাউয়া নিজেএ ছালাক, উরফেত্তুন আগি দিলে নিছে কি কারোগা দেখেন্নি । শুদ্ধরুপ : কাকে মনে করে কাক নিজেই একলা চালাক , উপর থাইকা হাইগা দিলে নিচের কেউ তো দেখবো না ।

অর্থ : বালিতে চোখ ঢাইকা কেউ দেখতাছেনা , এই ভাব ধরা বুঝাইতে ব্যবহার করা হয় । অন্যরে বোকা ভাইবা , চালাকি করতে গিয়া ধরা খাইলে , সেই অবস্থায় ব্যবহার করা হয় । ৪: প্রবচন > আঁরাব্বারে জুতা দি হিসশে , আঁরে কি কিছু কয় ন , মানির মান আল্লায় রাইখছে । শুদ্ধরুপ : আমার আব্বারে জুতা দিয়া পিটাইছে, আমারে কিছু কয় নাই, মানির মান আল্লায় রাখছে । অর্থ : ছোটখাট ক্ষতি থাইকা বাঁচা গেছে দেইখা উল্লাস করা পাব্লিকের গাধামি বুঝাইতে ব্যবহার করা হয় ।

(ঠিক সিচুয়েশন বুঝানো কষ্টকর) ৫ : প্রবাদ > হোলা গোশশা অইলে বাশশা, মাইয়া গোশশা অইলে বেইশশা শুদ্ধরুপ : ছেলে রাগ করলে বাদশা হইতে পারে, মেয়ে রাগ করলে হয় বেশ্যা । অর্থ : এইটা তীব্র পুরুষতান্ত্রিক নষ্ট প্রচার । তবে সমাজরাষ্ট্রযন্ত্র এমনভাবে সেট করা আছে যে, দুঃখজনকভাবে এইটা প্রায়ই সত্যরুপে দেখা যায় । (বর্তমান লেখক নিছক সংগ্রহকারী, প্রবাদের মেসেজের সাথে একমত কি একমত না সেইটা সম্পর্কবিহীন) ৬ : বাগধারা > কোয়াল কইচ্চা ছইরবো শুদ্ধরুপ : কোয়েলছানা চরবে অর্থ : উদাহরণ > আল্লাহ তোর গুষ্টি ধ্বংশ কইরবো, তোর ঘরভিডাত কোয়াল কইচ্চা ছইরবো (আল্লাহ তোর বংশ নির্বংশ করবেন, তোর ঘরের ভিটাতে কোয়েল ছানা চরবে) পরিত্যক্ত ঘরের ভিটায় বুনো কোয়েল বাসা বাঁধত সম্ভবত কোন একসময়, ধারণা করা যায় সেইখান থাইকা এই বাগধারার উদ্ভব । ৭ : প্রবচন > হায়না আবার হোকাইয়া বাছে শুদ্ধরুপ : পায়না, আবার পোকায়কাটা বাছে অর্থ : ভিক্ষার চাল, কাঁড়া আর আকাঁড়া , এর কাছাকাছি অর্থ ৮ : প্রবচন> বাত নাই গরে ছালন ছালন করে শুদ্ধরুপ : ভাত নাই ঘরে, তরকারি চায় আবার অর্থ : মৌলিক চাহিদাই মিটে না আবার বিলাসিতার লাইগা আক্ষেপ করার অবস্থা বুঝাইতে ব্যবহার করা হয় ।

৯ : প্রবচন: আঁই আইছি আতকা/ আঁরে দরি কয় ভাত খা। (সৌজন্য: লীনা দিলরুবা) শুদ্ধরুপ: আমি হঠাৎ এলাম আর আমাকে বলছে ভাত খেতে। অর্থ: কথা নেই বার্তা নেই হুট করে কোন প্রস্তাব দিয়ে বসা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।