আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও সাম্রাজ্যবাদ

ধন্যবাদ

যে বিষয়গুলো নিয়ে আলাদা করে লেখার দরকার ছিল কিন্ত– লিখতে পারি নি, তার একটা তালিকা দিয়ে আজ শুরু করব। যেমন­ (১) বিচার বিভাগ পৃথক্করণ-সংক্রান্ত বিল। মনে রাখা দরকার বাংলাদেশের সাংবিধানিক প্রতিশুতি পুরণ বা জনগণের গণতান্ত্রিক আকাড়ক্ষা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে এই পৃথক্করণ প্রক্রিয়ার ভাবনা শুরু হয়নি। বিচারকরা তাঁদের চাকুরির ¯¦ার্থ রক্ষার জন্য বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করবার জন্য সক্রিয় ভ‚মিকা রেখেছেন। বিচারকদের অর্থনৈতিক ¯¦স্বার্থ রক্ষার জন্য আদালতের হুকুমে যে রায় কার্যকর হয়েছে তাকে নজিরবিহীন না বলে উপায় নাই।

এর উদ্দেশ্য রাষ্ট্রের গণতন্ত্রায়ন নয়। যে গরিব জনগণ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত তাদের জন্য ইনসাফ কায়েম তো নয়ই­ ম‚লত নির্বাহী বিভাগ অর্থাৎ রাষ্ট্রের প্রশাসনিক ক্ষমতা ক্ষুণœ করে বহুজাতিক কো¤পানি ও সাম্রাজ্যবাদের ¯¦ার্থে বিচার বিভাগকে রাষ্ট্রের ঊর্ধ্বে ‘¯¦াধীন’ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করাই এখানে ম‚ল উদ্দেশ্য হিশাবে কাজ করেছে। এই কাণ্ড করবার প্রয়োজনীয়তা আন্তর্জাতিক পুঁজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অনন্তযুদ্ধের মধ্যেই নিহিত রয়েছে। তারই বাস্তবায়ন দেখলাম আমরা। এই বিষয়ে আমি এর আগে এই কলামে এখানেই লিখেছি।

এই বছর (২০০৯) ফেব্র“য়ারিতে রেজাউর রহমান লেনিন ও মুসতাইন জহিরের যৌথ স¤পাদনায় ‘জরুরি অবস্থা ঃ রাষ্ট্র ও রাজনীতি’ শিরোনামে ‘ঐতিহ্য’ প্রকাশনা যে সঙ্কলন প্রকাশ করেছে, সেখানে সঙ্কলিত ‘বিচার বিভাগ পৃথক হলেই কি গরিব ইনসাফ পাবে?’ লেখাটি পাঠককে আবার দয়া করে পাঠ করতে অনুরোধ করব। এই বইয়ে বেশ কিছু গুরুত¦প‚র্ণ প্রবšধ রয়েছে, ফলে বইটি সংগ্রহে রাখবার পক্ষে ওকালতি করলে এখানে অন্যায় হবে না। বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর বিচারব্যবস্থাকে এখন সাম্রাজ্যবাদের ¯¦ার্থ­ বিশেষত বহুজাতিক কো¤পানির পক্ষে রায় দেবার জন্য উপযোগী করে গড়ে তোলা জরুরি। এই তাগিদ প্রবল। যে কারণে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, বিশ্বব্যাংক ছাড়াও দ্বিপক্ষীয় সাহায্য সংস্থাগুলো তাদের ¯¦ার্থের আদলে আদালতের সংস্কারে তৎপর।

বিচারকরা এখন প্রকল্প পরিচালকও হচ্ছেন, এতে আদালত ও বিচারক উভয়েরই যে সামাজিক ও নীতিগত অবস্থানের ক্ষয় ঘটছে, সেই ব্যাপারে আমরা আদৌ হুঁশিয়ার নই। এই সকল লক্ষণদৃষ্টে অনায়াসেই বোঝা যায়, বিচার বিভাগের তথাকথিত ‘¯¦াধীনতা’ ইনসাফবঞ্চিত জনগণের জন্য নয়। যেন গরিব আদালতের শরণাপন্ন হতে পারে এবং ইনসাফ পায় সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করা­ অর্থাৎ সুষ্ঠুভাবে বিচার বিভাগ পৃথক্করণের উদ্দেশ্য নয়। বিচারকদের দিক থেকে তাঁদের চাকরির ¯¦ার্থ রক্ষা আর সাম্রাজ্যবাদের দিক থেকে বিচার বিভাগকে তাদের অধীনস্থ করার প্রক্রিয়া অধিক কিছু বিচার বিভাগের সংস্কারে আমরা পাই নি। বিগত বছরগুলোতে বেসামরিক লেবাসে সামরিক সরকারের সময় আমরা বিচার বিভাগের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার ও আন্তর্জাতিকভাবে ¯¦ীকৃত মানবাধিকার লড়ঘন করে বিচারের নামে প্রহসনের থিয়েটার দেখেছি।

সেটা ঘটেছিল ক্ষমতাসীনদের ¯¦ার্থে­ এখন সেটা ঘটবে আন্তর্জাতিক পুঁজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অনন্তযুদ্ধের পক্ষে, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক শক্তির শাসন আরো পাকাপোক্ত করবার কাজে। সেই সময় আমরা প্রধান বিচারপতির ভ‚মিকা ও অবস্থান দেখেছি। নাগরিকরা বিচার বিভাগের এই ক্ষয় সহজে ধরতে পারবেন যখন আমরা দেখি তদন্তের ¯¦ার্থে তথ্য সংগ্রহের নামে অভিযুক্তকে ‘রিমান্ডে’ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তারপর পিটিয়ে নির্যাতন করে অভিযুক্তের কাছ থেকে তার বিরুদ্ধেই ‘তথ্য’ (?) সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেই ‘তথ্য’ আদালতে উঠবার আগেই হাতে গোনা কয়েকটি পত্রপত্রিকা টেলিভিশন আগেই জেনে যায় এবং তারা এমনভাবে তা প্রকাশ করে যে মনে হয় গণমাধ্যমই আদালত এবং তারাই অভিযুক্ত আসলেই অপরাধী কি না সেই রায় দেবার অধিকার রাখে।

তারা অনেক কিছু জানে, কিন্ত– কোথা থেকে কিভাবে তারা কোন তথ্য স¤পর্কে নিশ্চিত হয়েছে তা প্রমাণের জন্য কারো কাছে তাদের জবাবদিহি করতে হয় না। ‘জনমতের আবেগ, কুসংস্কার, অজ্ঞতা ও চরম তথ্যবিকৃতির মধ্য দিয়ে অভিযুক্তের বিচার গণমাধ্যমই স¤পন্ন করে ফেলে। এই ‘অবিচার’ ফ্যাসিবাদের নামান্তর ছাড়া আর কিছুই নয়। আদালত ও বিচার বিভাগ কি ক্রমশ এই অবিচারের সহায়ক হয়ে উঠছে না? নির্বাহী বিভাগ ‘রিমান্ড’ দেবার যে ক্ষমতা ভোগ করত, সেই ক্ষমতা এখন বিচার বিভাগের হাতে কেন্দ্রীভ‚ত হচ্ছে। নাগরিকদের ন্যায়বিচার দ‚রে থাকুক­ যে সাংবিধানিক ও মৌলিক মানবিক অধিকার রক্ষা করা বিচারকদের দায়িত¦ ছিল, ‘¯¦াধীন’ বিচারব্যবস্থায় তার কিছুই কি অবশিষ্ট রইল? এই বুঝি ‘¯¦াধীন’ বিচারব্যবস্থা? কার জন্য? এরপর রয়েছে­ (২) গণপ্রতিনিধিত¦ অধ্যাদেশ্ল যার উদ্দেশ্য ধনী, দুর্বৃত্ত, দুর্নীতিপরায়ণ ও দুই-একটি বৃহৎ গণবিরোধী রাজনৈতিক দল ছাড়া আর কোন নাগরিক যেন রাজনীতি করতে না পারে তার জন্য আইন।

রাজনীতি বলতে আমরা যেহেতু দলবাজি বুঝি সেই কারণে বিদ্যমান আইন ও ‘রাজনৈতিকতা’-র স¤পর্ক অনুধাবন করা আমাদের জন্য কঠিন। আইন করে জনগণের গণতান্ত্রিক ক্ষমতাকে খর্ব বা দমন করা যায় না বরং তা রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে। যে কোন নাগরিক­ একা, নিঃসঙ্গ এবং একজন মাত্র হলেও­ রাজনীতি করবার প‚র্ণ অধিকার ধারণ করেন। এই অধিকার নির্বাচন কমিশন বা জাতীয় সংসদ কেউই হরণ করতে পারে না। তাকে আগেই সমর্থক ও ভোটার আছে প্রমাণ করবার বিধান রাখা হাস্যকর তো বটেই, ঘোরতরভাবে গণতন্ত্রবিরোধী।

¯¦চ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রশ্ন রয়েছে অবশ্যই, কিন্ত– সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ। নাগরিক হিশাবে রাজনীতি করা, নির্বাচিত হওয়া ও নির্বাচিত করার অধিকার এক জিনিস, আর ¯¦চ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা অন্য প্রসঙ্গ। সমাজে শ্রেণী আছে, শ্রেণী বিরোধ আছে এবং প্রতিটি শ্রেণী নিজ নিজ ¯¦ার্থ রক্ষার জন্য লড়াই করবে। এটাই রাজনীতি। এটাই বাস্তবতা।

সেই লড়াই আইনের অধীনে কিম্বা আইনের বাইরেও হতে পারে। অতএব এমন কোন আইন বুর্জোয়া রাষ্ট্রের কখনই করা উচিত নয় যে আইন ভাঙা ছাড়া নাগরিকদের কোন পথ থাকে না। গণপ্রতিনিধিত¦ আইন এমন হওয়া দরকার যাতে নির্বাচনী প্রক্রিয়া বা নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ইতিবাচক সম্ভাবনা নাগরিকরা বোঝে এবং নিজেদের ইচ্ছা ও সঙ্কল্প বাস্তবায়নের জন্য রাজনীতি আইনের বাইরে যাবার প্রয়োজনীয়তা বোধ না করে। গণপ্রতিনিধিত¦ অধ্যাদেশ এমনই আইন যে এই আইনের বাইরে না গিয়ে বুর্জোয়া গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ও অসম্ভব। এমনকি নির্বাচন করা ও নির্বাচিত হওয়ার অধিকার।

বুর্জোয়া গণতান্ত্রিক চরিত্রের দিক থেকেও এই অধ্যাদেশ পশ্চাদপদ ও গণতান্ত্রিক চর্চার বিকাশ না ঘটিয়ে বরং তা রুদ্ধ করবে। এরপর উলে¬খ করা যায়­ (৩) সংসদ সদস্যদের পুরানা আধিপত্য বহাল রেখে উপজেলা পরিষদ বিল্ল যার উদ্দেশ্য স্থানীয় সরকারব্যবস্থা গড়ে তোলার যে সম্ভাবনাটুকু সৃষ্টি হয়েছিল তাকে স¤প‚র্ণ নস্যাৎ করে দেওয়া। এই ক্ষেত্রেও বিদ্যমান সংবিধানের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটেছে বলে কথা উঠেছে। যে দেশে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে এলে দলীয় প্রধানের অঙ্গুলি হেলনে বা চোখের পলকে সব কিছুই ‘বৈধ’ করা যায় সেখানে সংবিধান নিয়ে কথা কি আপনি ঘোড়াকে বলবেন, নাকি হাতিকে? সে যা-ই হোক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের একটা তত্ত¦গত প্রশ্ন স্থানীয় সরকারব্যবস্থা-সংক্রান্ত বিতর্কের মধ্য দিয়ে আমাদের সমাজে জারি রয়েছে। সেটা হোল ‘সংসদ সদস্যরা কি আইন প্রণয়নী সংস্থার জন্য নির্বাচিত, নাকি তারা প্রশাসনিক কর্মকর্তা? স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নের খবরদারি করা কি তাদের কাজ? যদি তারা সেটা করেনও তবে সেটা তো আইন বা নীতি প্রণয়নের মধ্য দিয়েই তাদের করবার কথা।

উপজেলা পরিষদের ‘উপদেষ্টা’ হতে হবে কেন তাদের? সংসদ সদস্য মাত্রই প্রশাসনের অধিকর্তা­ এই অভ্যাস আমাদের রয়েছে সন্দেহ নাই, কিন্ত– এই গলদের গোড়া কিন্ত– সংসদীয় গণতন্ত্রের মধ্যে নিহিত। কারণ রাষ্ট্রের নির্বাহী ক্ষমতা তৈরির প্রক্রিয়া সংসদীয় নির্বাচন ও সংসদ। তার অর্থ হচ্ছে আইন প্রণয়নী সংস্থা একই সঙ্গে নির্বাহী ক্ষমতা নির্মাণের প্রতিষ্ঠানও বটে। তাহলে সরিষাতে ভ‚ত তাড়াবার কথা চিন্তা না করে যারা আশা করেন, সংসদ সদস্যরা ¯ে¦চ্ছায় স্থানীয় প্রশাসনের ওপর তাদের আধিপত্য বা খবরদারি ত্যাগ করবেন­ সেটা গুড়ে বালি। আওয়ামী লীগ গুড়ে বালি মেশায়নি­ গুড়ে শুরু থেকেই ময়লা ছিল।

সংবিধান বলছে, ‘প্রশাসনের সকল পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হইবে’ (সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদ)। এখন সংসদ সদস্যরা যদি উপজেলা পরিষদের উপদেষ্টা হন এই যুক্তিতে যে তারা নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করবার জন্য­ অর্থাৎ ‘জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবার জন্য তাদের উপদেষ্টা থাকা দরকার। তাই তারা এই বিল পাস করেছেন। তখন? সমাজের আধাখেঁচড়া চিন্তা বদহজম হয়ে উগরে ওঠে। এ ক্ষেত্রেও তা-ই ঘটেছে।

এরপর­ (৪) দুদকের চেয়ারম্যান হাসান মশহুদ চৌধ‚রীর পদত্যাগ এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ। এর মধ্য দিয়ে দুদক প্রতিষ্ঠান হিশাবে একটা তামাশায় পরিণত হয়েছে। কিন্ত– এর জের বহু দ‚র গড়াবে। কোথায় গিয়ে ঠেকবে আমরা জানি না। সর্বোপরি বিগত (বেসামরিক লেবাসের) সামরিক সরকারকে বৈধতা দেবার প্রতিশ্র“তি রক্ষার জন্য বিল আনয়ন তো রয়েছেই।

অবৈধভাবে ক্ষমতারোহণ ও ক্ষমতায় থাকাকে বৈধতা দেওয়া­ এটাই তাহলে গণতন্ত্র!!! এটাই তাহলে নির্বাচনী ফলাফল! সশস্ত্র শক্তির জোরে সংবিধান ও আইনের কোন তোয়াক্কা না করে ক্ষমতা দখলকে বৈধতা দেবার এই বিধি ও সংস্কৃতিই বাংলাদেশ দ্রুত ধ্বংসের কারণ হয়ে উঠেছে। আমি শুধু তালিকা দিচ্ছি। তালিকা আরো বাড়ানো যায়। কিন্ত– ম‚ল প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা নতুন যে রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছি তাকে শুধু কয়েকটি দলের ক্ষমতার লড়াই হিশাবে দেখলে আমরা মারাত্মক ভুল করব। ম‚লত রাষ্ট্রের চরিত্রে ও কাঠামোয় একটা আম‚ল পরিবর্তন ঘটে যাচ্ছে যার তাগিদ আসছে সাম্রাজ্যবাদ ও ফ্যাসিবাদের তাগিদ থেকে।

সাম্রাজ্যবাদ তার নিজের ¯¦ার্থ রক্ষা করবার জন্য রাষ্ট্রক্ষমতা ও রাষ্ট্রের কাঠামোর মধ্যে পরিবর্তন আনছে। অন্য দিকে ফ্যাসিবাদ আমাদের আবেগকে আশ্রয় করে সমাজের রাজনৈতিক বিভাজন যে দাগের ওপর টানছে সেই দাগের ওপর দাঁড়িয়ে আমরা আমাদের রাজনৈতিক কর্তব্য থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ছি। আমরা কি আমাদের মৌলিক মানবাধিকার রক্ষার জন্য বিচার বিভাগের শক্তিশালী ভ‚মিকা চাই না? জোট আর মহাজোটের ঝগড়াবিবাদের মধ্যেই কি বাংলাদেশ রক্তাক্ত হতে থাকবে? আমরা কি স্থানীয় গণতান্ত্রিক প্রশাসন চাই না? স্থানীয় উন্নয়ন চাই না? দুর্নীতি দমনের নামে রাজনীতি ও রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করে তোলাই কি আমরা চেয়েছি? অস্ত্রের জোরে ক্ষমতা দখলকে সংসদে বৈধতা দেবার জন্যই কি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছি আমরা? আমাদের ইচ্ছার বাইরে রাষ্ট্রক্ষমতা ও রাষ্ট্রকাঠামোর যে গুণগত পরিবর্তন ঘটছে সেই দিকে নজর রাখা ও গণতান্ত্রিক শক্তি হিশাবে জনগণকে সংগঠিত করবার কাজে মনোযোগ না দেবার কারণে আমরা অধঃপতনের দিকে ধাবিত হয়ে চলেছি। এই সর্বনাশ থেকে উদ্ধার পাবার একমাত্র পথ দলবাজি ত্যাগ করে দেশটিকে সকলে মিলে রক্ষা করতে পারি কি না সেই দিকে মনোযোগ নিবদ্ধ করা।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.