নারায়ণগঞ্জে একটি রপ্তানিমুখী গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে শ্রমিক নেতাসহ অন্তত ১৫ শ্রমিক আহত হয়েছেন। গতকাল দুপুরে শহরের চাষাঢ়ায় বন্ধ ঘোষিত রপ্তানিমুখী সোয়েটার কারখানা ফুজি নিটওয়্যার এর শ্রমিকদের সঙ্গে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, ফুজি নিটওয়্যার গত ২৭ আগস্ট বন্ধ ঘোষণা করা হয়। গতকাল সকাল থেকে কারখানার শ্রমিকদের সব ন্যায্য পাওনা পরিশোধ শুরু করে মালিক পক্ষ।
গার্মেন্টটিতে প্রায় ৯০০ শ্রমিক কাজ করত। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফুজি নিটওয়্যার লিমিটেডের পরিচালক দেলোয়ার হোসেন, বিকেএমইএ-এর লেবার স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান জিএম ফারুক, নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মাসুদ, নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মঞ্জুর কাদের প্রমুখ। ফুজি নিটওয়্যার লিমিটেডের পরিচালক দেলোয়ার হোসেন জানান, প্রত্যেক শ্রমিককে তাদের আগস্ট মাসের বেতনসহ অতিরিক্ত এক মাসের বেতন, গ্রাচুইটি, শ্রমিকদের চাকরির মেয়াদে প্রতি বছরের জন্য এক মাসের বেতন ও ছুটির বোনাস হিসেব করে তাদের ন্যায্য পাওনা প্রদান চলছিল। বেশিরভাগ শ্রমিক বেতন নিলেও শতাধিক শ্রমিক শহরের চাষাঢ়ায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে আন্দোলন শুরু করে। দুপুর ১টায় শ্রমিকদের ওই অংশ রাস্তায় শুয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দিলে পুলিশ তাদের প্রথমে সরানোর চেষ্টা করে।
একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। লাঠিচার্জে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অ্যাডভোটেক মন্টু ঘোষ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা অমল আকাশ, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি আন্দোলনের আহ্বায়ক দাসসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মঞ্জুর কাদের জানান, শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার পরও উচ্ছৃঙ্খল কিছু শ্রমিক অহেতুক রাস্তায় শুয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করেছিল। তখন পুলিশ মৃদু লাঠিচার্জ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। এতে কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।