কাগু ক্যান স্টার্ট অ্যা ফায়ার ইউজিং জাস্ট টু আইস কিউবস
জাইল্যার তিন মাইয়া টেরাকটরের পিছে পিছে ছুটে আর ভাদ্রের রইদে আর টেরাকটেরর চাক্কার ডলায় ভাইসা উঠা চান্দা বেতরঙি খইলসা মাছ জামার কোচড়ে তোলে । তিন পাড় ভাঙা এককালে পুকুর বলে ডাকা ডোবার একমাত্র পাড়ে রইদের আঁচের জন্য কপালে হাত দিয়া ঢাইকা জাইল্যার তিন মাইয়ার গুস্টি উদ্ধার কৈরা চলে আসমা বেগম । এইকামে যে নিজেরও গুষ্টি উদ্ধার হৈতাছে সেইটা সে খেয়াল করেনা । জাইল্যার মাইয়ারা জাইল্যারই মাইয়া , ঐডি যদি নেস্তি নাফরা হতীনের ঘরের হতীন হয়, তাতে আসমা বেগমের কিছু হয় না । বাপের মতনই মাছের পিছে সারাদিন ছুটন আর সারা গায়ে ভোঁসভোঁসা আমিষের গন্ধ নিয়া তিন মাইয়া তার রাইতে মরার মত ঘুমানির সময়টুক ছাড়া স্থির হৈয়া দাঁড়ায় না ।
পানিতে কি কেউ ওদের তাবিজই করলো নাকি সেইটাই ভাবতে থাকে হঠাৎ কৈরা আসমা বেগম । নাইলে এই ময়লা কাদা ডোবা থাইকাই তার তিন মাইয়া উঠতে চায় না ক্যান ? আরেকবার ভাবে হয়ত জাইল্যার গুষ্টি পানি থাইকা উঠবোনা এইই স্বাভাবিক । কিন্তু গেলবারের বর্ষার ঝিমমারা দুফরে রজব মেস্তরির শেষ বয়সের অতি আদরের ছোট পোলার ঢোলা পেটটা আরো ঢোলা হৈয়া ভাইসা উঠার পর থাইকা নিজের তিন মাইয়ার উপর নজরদারি একটু বাড়ায় । মাসে দুইদিন কি তিনদিন মাঝরাইতের দিকে বড় দুইচাইরটা রুই কাতলা নিয়া আইসা আর তিন চাইরবার ভোঁসভোঁসা আমিষের গন্ধে দমবন্ধকরা ডলাডলি দিয়াই স্বামীর কীর্তি শেষ করলেও , সারা মাসে তার মাইয়াগো টুকিটাকি খবর নিতে ভুলে না জাইল্যার ঘরের জাইল্যা । কখনও কখনও ফোঁস কৈরা উঠলেও , ভিতরে আসমা বেগম এক ধরণের নিশ্চিতি অনুভব করে ।
ঔরষের মাইয়ার উপ্রে ভালোবাসা থাকলে হয়ত , প্রথম বিয়ার বেলাকের কাঠের ব্যবসা করা কাঠালার মত একদিন হুট কৈরা হারায়া যাইবো না ।
তবু সারা মাস কি কৈরা চাইর পেটের খাওন জুটে সেই ইতিহাস জানে উপ্রে আল্লা আর নিচে আসমা বেগম আর তার নানি ধনির মা । থুত্থুরা বুড়ির কোন মাইয়ার নাম কবে ধনি আছিলো সেইটা জানা বউঝি আইজ আর বেশি নাই গেরামে । আসমা বেগম নিজেই যতদূর স্মৃতি যায় নানিরে এইরকমই দেইখা আসতাছে । দুই/তিন বছরের সবে কথা কৈতে শিখা পুলাপান থাইকা শুরু কৈরা বয়সের ভারে হাঁটতে না পারা বুড়াও তারে ধনির মা বৈলা ডাকে দেইখা কখনো কখনো আসমা বেগম নিজেও তারে ভুলে ধনির মা বৈলা ডাইকা ফেলে ।
নিদারুণ বয়স্কা এই বুড়ীর গল্পের ঝাঁপি অফুরান । কখনও কখনও বসন্তের আধ-ঘোলা চান্দের নিচে বুড়ী তার দীর্ঘ জীবনের আর আসমা বেগমের বৃত্তান্ত করতে বসে । মাকে চিনার আগে থাইকাই নানীরে চিনে বৈলা সেই ছোটকালে নানীরেই আম্মা ডাকত সেই গল্প যেমন থাকে তেমন একদিন আসল মা তারে দেখতে আইসা চৈলা যাওনের সময় মায়ের পিছে পিছে বাসের রাস্তায় উইঠা, অল্পের জন্য মরার হাত থাইকা বাঁইচা যাওনের কাহিনীও থাকে । নানী তার জীবন্ত ইতিহাস বই এর মত জিনিস । শুধু বসন্তের আধঘোলা চান্দর নিচে খ্যারের ঝুপড়ির সামনে মেস্তরির একপাল আবিয়াত্যা মাইয়া আর আসমা বেগমের সামনেই না ।
বুড়ী তার কাহিনী সওদা কৈরা বেড়ায় পুরা গেরামে আর আশেপাশেরও কয়েকটা গেরামে । এই জন্যেই হয়ত , কয়েক গেরামের মধ্যে চল্লিশা, চাইরদিনের মোল্লা, বিয়া-শাদী, ফকির খাওয়ানি , মোসলমানি আর সাফল্যের লাইগা নিতান্তই সাধারণ মিলাদের আসরেও আর কেউ না থাকলেও শুনির মার দাওয়াত থাকেই । স্বাক্ষী-সাবুদের ঘটনায়ও বুড়িরে ধরা হয় অনেকের আগে । কাজী বাড়ীর পুকুরে , চৈতের কাঠফাটা রইদে ছেলেমেয়ে বুড়াবুড়ি মিল্যা একসাথে গরম কমাইতে নামলে সেইদিনই বিকালে যখন কানাঘুষা রইটা যায় যে ছোবাহান ব্যাপারীর তের বছরের মাইয়া সুফিয়ার কচি দুধে কুতকুতি দিছে আলতাফের পোলা রহিম্যা, তখন ছোবাহান ব্যাপারী সুফিয়ারে বিয়া করার জন্য রহিম্যারে চাপতে গেলে , ধনির মাই আগ বাড়াইয়া বৈলা আসে দুফরে সেও আছিলো কাজী পুকুরের পাড়ে গাছের ছায়ায় , আর সেও দেখছে দুইডারে একলগে ডুব দিতে । ধনির মার স্বাক্ষ্যেই রহিম সুফিয়ার বিয়া হয় ।
আবার ট্যাকার লোভে গেরামের চোরের দলের লগে আঁতাত কৈরা চালানের একটেরাক টিন রাইতের অন্ধকারে কামাল চেয়ারম্যানের বৈঠকঘরে উঠাইয়া দিয়া , সেই অতিলোভের প্রায়ঃশ্চিত্তে , ডেরাইভর কন্টেকটারের গলাকাটা লাশ , সেলু চকিদারের বাড়ীর পাশের ভিটাতে পাওন গেলে, সেইখানেও ধনির মার বলার কিছু থাকে । ঘটনার আগেরদিন রাইতে গভীর রাইত পর্যন্ত সেলু চকিদারের বাড়ীতে বাত্তি জ্বলা আর মাইনষের আনাগোনা দেখছে বৈলা বেড়াইলেও ঠিক এতবড় ঘটনায় কোন পাত্তা পায় না বুড়ি । এইঘটনাতো আর গেরামের বউঝিগো কারবার না । তাও ছয় সাত মাস পরে জজকোটের রায়ে সেলু চকিদারের দশ বছর জেল হৈয়া গেলে , ধনির মাই সবাইরে বৈলা বেড়ায়, কৈছিলাম না ... ।
নানির কল্যাণেই দিনে অন্তত একবেলা ভাতের নিশ্চিতিই না কেবল মাঝে মইধ্যে ভালাবুরাও জুটে বৈলা বুড়ি আবার খোঁটা দেয়না সেইসবের ।
কখনও কখনও আসমা বেগমের উদ্ভট মেজাজমর্জির খেলে বিরক্ত হৈয়া বকাবাদ্যি করলেও এই নাতনিটারে নিয়া বুড়ির নিরন্তর দুঃশ্চিন্তা নাতনি নিজেও বিলক্ষণ টের পায় । আর টের পায় বৈলাই গভীরে একটু ভালবাসা যত্ন কৈরা সবসময়ই রাইখা দেয় । গপ্পপাগলি যখন বেশি প্যাঁচাইয়া ফেলে ঘটনা তেমন কোনকোনদিনে সেইটা আসমাবেগমের মুখেও উইঠা আসে । কাছের মানুষ রজব মেস্তরির ধামড়ি মাইয়া খোদেজারে সেইসব দিনে সে, নানির নামে আর কিছু কইলে রানের উপরে রান থুই ক্যাঁত কির ছিরি হালামু বৈলা চিৎকারও দিয়া উঠে ।
আবার এই নিদারুণ দুঃশ্চিন্তার লাইগাই মাঝে মইধ্যে বুড়ি এমন সব কাম কৈরা বসে, পরে যেইগুলা আসমা বেগমের অভিমানের পাহাড়রে আরো আটো উঁচা কৈরা দিয়া যায় ।
মাত্র উনিশ কি বিশেই বিয়া দেওনের লাইগা পাগল হৈয়া বুড়ি , এগেরাম সেগেরামে কোন সুবিধা করতে না পাইরা শেষে বর্ডারের লগে থাইকা ক্যামনে ক্যামনে জানি ধৈরা আনে কাঠালারে , যার বাপ-মা , গুষ্টি বৈলা কিছুরই সন্ধান সে দিতে পারেনা । এপাড়ের পোলা সেপাড়ের ডিমাতলি বাজারে থাকলেও বেশিরভাগ সময় কাটে নাকি তার এপাড় সেপাড় কৈরা । স্থায়ী আবাসছাড়া এই পুলারে খ্যারের ঝুপড়ির অর্ধেক ছাইড়া দিয়া তাও নাতনির একটা মরদের ব্যবস্থা হোক এইটুকই চাইছিলো ধনির মা । শুকনা মান্দার কাঠের মতই সেই কাঠালারে ভালো লাগে নাই প্রথম থাইকাই আসমা বেগমের । মাত্র দুইমাস আগে, ছোটকালের বউজামাই দোকানদার দোকানদার খেলার সঙ্গি কোব্যাতের পোলা বার বছর পর চাঁটগা থাইকা বেড়াইতে আইলে , জীবনের একমাত্র গভীর চুমাটা দিয়া , হুট কৈরা প্রতিজ্ঞা কৈরা বসছিল তার কুমারি ফুল আর কাউরে সে দিবে না রাশেদরে ছাড়া ।
তখন ঢুলুঢুলু রাশেদ আরো গভীর আবেগে জড়াইয়া ধৈরা কানের কাছে ফিসফিস কৈরা আইচ্চা কৈলেও আর কোনদিন কোন খবর সে দেয়নাই । তবু দুইমাসে অধৈর্য্য হৈয়া যাওনের মত মাইয়া আসমা বেগম না । নিজের মায়ের দেখা পাওনের লাইগাই কখনো কখনো দুই বছর অপেক্ষা করা মানুষ সে, কাঠালারে দেইখা ভাবছিলো আরো দুই যুগও অপেক্ষা করতে পারে সে রাশেদের কোন খবরের লাইগা । কিন্তু সেই কথা বুড়িরেও কওন যায় নাই আর বিয়াও থামানি যায় নাই । তাও কাগজের ফুলের বাসরে শক্ত কৈরা দুইপা চাইপা ধৈরা দুইরাইত পার করতে পারলেও, তৃতীয় রাইতে নানির কোলে বইসা ঝরঝর চোখের পানি ছাইড়া দেয়া কাঠালার ফোঁপানি দেইখা পায়ের চাপ সে ঢিলা কৈরা দিলেও , শেষ পর্যন্ত থাকে নাই কাঠালা ।
তারও তিনমাস পরে একদিন হুট কৈরাই রাতে আর ফিরলো না । বেলাকের কামে জানের ঝুঁকি নিয়া যাওন লাগে সেইটা সে জানলেও, হয়ত কোথাও বডারের ঐপাশে বিএসএফের গুলিতে খুনগুম হৈয়া খবর দিতে পারতাছে না সেই সম্ভাবনাও কম না সেইটা বুঝলেও, তার সমস্ত অভিমান গিয়া পড়ে বুড়ির উপর । এবং কিছুটা নিজের উপরও । হয়ত মরদের জন্য যথেষ্ঠ উৎসাহ সে দেখাইতে পারেনাই বৈলা, হয়ত গভীর আবেগের কালেভদ্রের চুমার সময়েও রাশেদের কথা মনে কৈরা ঠান্ডা হৈয়া যাওনটা খেয়াল করছে বৈলাই কাঠালা মনের দুঃখে ছাইড়া গেছে, এইসব চিন্তাতেও নিজেরেই সে গাইল পাড়ে কয়েক মাস । আধাবছর না যাইতেই আবার বুড়ি উশখুস শুরু করলে বুড়িরেও সে ঝামটি মারে পাগলামির লাইগা ।
দীর্ঘ জীবন মরদ ছাড়া কাটানির কারণে হয়ত বুড়ির ভিতরে ডর ঢুইকা গেছিলো এইধরণের বাঁইচা থাকার যন্ত্রণা হয়ত নাতনির কফালেও অপেক্ষা করতাছে । তাই ছয়সাতমাস পরেই আসমা বেগমের চোখের আড়ালে বুড়ি আবার ভিনগেরামে বডারের আশেপাশের জায়গাগুলাতে খোঁজ নেয়া শুরু করে আশ্রয়ছাড়া মরদের । তারপর একদিন কৈ থাইকা যেন এই জাইল্যারে ধৈরা আনে বুড়ি । ফেনীর আড়ৎ থাইকা মাছ কিন্যা জাহানপুর বাজারে বিক্রি করা আর রাইতে সেই মাছের বাজারেরই এক চিপায় পইড়া থাকা এই জাইল্যারে ক্যামনে ক্যামনে খুইজা বাইর করলো বুড়ি সেইটা আসমা বেগম এখনো বুঝে নাই । কখনও বুড়ির মনমেজাজ ভালা থাকলে বুড়িরে জিগাইলে সেই একই কথা কয় ।
জাহানপুর নাকি বুড়ির বাপের দেশ । যদিও বংশের কেউ আর বাঁইচা নাই , তয় তারে চিনে এমন বয়স্ক বউঝি, বাজারের দোকানদার নাকি এখনো কয়েকজন আছে । তারাই নাকে তারে এই জাইল্যার সন্ধান দিছে । বিশ্বাস হয়না আসমা বেগমের । নানির বাপের দেশে বেড়াইতে যাইতে চাইলে , ক্যান নিয়া যায়না তাইলে ।
জাইল্যার বাসরে কাগজের ফুলও না থাকলেও, আসমা বেগম সব মাইনা নিয়াই ঢুকছিলো । কাঠালার মত কৈরা জাইল্যারেও দুঃখ দেওনের কোন ইচ্ছা তার আছিলো না । তবু মাঘের রাইতে এমনেই ছিঁড়াফাড়াভিজাসোঁদা খেতার গন্ধের লগে জাইল্যার সারা শইল্যের আঁষ গন্ধে দমবন্ধ হৈয়া আসলে মনের ভিতরে রাইত পোহানির অপেক্ষা আর রাইত পোহাইলে জাইল্যার মাছের ব্যবসার কামে কয়েকদিনের লাইগা চৈলা যাওনের অপেক্ষা করতাছিল সে । সপ্তাহ পার হৈয়া গেলেও কোন খবর না পাওনে ভিতরে ধুকপুকানির জ্বালা কমছিলো বিশ দিন পরে বড় দুইটা কাতলা মাছ নিয়া আবার এক ঘোলা চান্দের বসন্তের রাইতে জাইল্যা ফিরা আসছে দেইখা । দুইমাসেই এইটাই হৈয়া যায় জাইল্যার রুটিন ।
আসমা বেগম মাইনা নেয় সেইসবও । বছর বছর ঢাউস পেট নিয়া যন্ত্রণার দিনগুলাতে জাইল্যা খোঁজ নিতে না আসলেও প্রতিকন্যার জন্মের পরেযে একটা ডানু দুধের ডিব্বা আর দুই সেট কাপড় নিয়া দেখতে আসে ছডিঘরের দিনশেষে এইতেই তার ভিতরে নিশ্চিতি আর খুশি আসে । এর বেশি কিছু চাওনের মত তার দুরাশা হয় না । আবার নিত্য দমবন্ধকার আঁষ গন্ধের লগে থাকতেও চায় না । মাসে একদিনের লাইগা আইসা, বিথীর কানে এত কাছরা ক্যান, অথবা শিউলির পেটে কিরমি হৈছে অরে কিরমির অষুধ খাওয়াওনা ক্যান বৈলা নানান অভিযোগ করলে আসমা বেগম ছ্যানছ্যান কৈরা উঠলেও ভিতরের নিশ্চিতিবোধের কারণে সেই ছ্যানছ্যানে বিরক্তি থাকে না ।
এমনকি রজম মেস্তরির সাইঝা মাইয়ার শ্বশুরবাড়ির তিন গেরাম পরে জাহানপুর গেরাম , সেই সিলসিলায় জাহানপুর বাজারে জাইল্যার আরেক সংসার আছে এই খবর মেস্তরির মাইয়া দিলেও, এইটা নিয়া বুড়ি কিংবা জাইল্যা কাউরেই শক্ত কৈরা ধরে না আসমা বেগম । কখনও জাইল্যারে আস্তে কৈরা জিগাইলে আর জাইল্যাও ম্যানম্যানা গলায়, আরে না মিছা কতা বেএক, কৈলে জাইল্যারে আর ঘাটায়ও না ।
তবু তিননাম্বারের এই শিউলির হাঁটন শিখনের পর থাইকা তিন তিনডা মাইয়ার জ্বালায় মাঝে মইধ্যে একটু আধটু বিরক্তি হৈতে থাকে তার । আইজ দুফরে সবডিরে খাওয়াইয়া শুইতে কৈলেও টেরাকটরের আওয়াজ শুইন্যা নাচতে নাচতে কোনখানদিয়া বাইরাইয়া গেছে খেয়ালই করতে পারে নাই । দুফরের খাওনের লাইগাও উঠাইয়া আনন লাগছে সেই প্যাঁকা ক্যাদার ধানের জমি থাইকাই ।
অন্যদিন একটা খ্যারের টুকরা অথবা আমগাছের পাতলা ডাইল নিয়া ডর দেখাইলেও আইজকা বিরক্ত হৈয়া বাঁশের ছোট ডাইল নিয়াই তিনপাড় ভাঙা ডোবার একমাত্র পাড় থাইকা তিন মাইয়ারে ডাকতে গেছিলো । অনেকক্ষণের ডাকনেও কোন হুঁশ না হৈলে বাঁশের ডাইল নিয়া খ্যাতে নাইম্যা বড়টার পিঠে নির্দয় বাড়ি দিলে তিনডা আবার দৌড়াইয়া ডোবাতেই নামে । লগে আরো একদঙল । দশকদম দিতে গিয়া দুইবার আছাড় খাওইন্যা ছোডটাও খুশিতে বড় দুইডার পিছে পিছে গিয়া ডোবাত নামে । পাড়ের কাছে মায়ের হাতের নাগালের মইধ্যে বৈলা তিনডা গিয়া মাইঝখানের বাঁশ ধৈরা ভাইসা থাকলে আসমা বেগম , আইজ্যা উইঠতি ন, বৈলা হুমকি দিয়া বুড়ির খ্যারের ঝুপড়ির ভিতরে চৈলা গেলেও, তিনমাইয়া সেইদিকে মনোযোগ না দিয়া বাঁশ ধৈরা ঝুলতে থাকে ডোবার পানিতে ।
আরেক ক্ষেতে আবার টেরাকটর চালানি শুরু হৈলে পোলাপাইনের দঙল আবার সেইদিকে ছুটা শুরু করে ।
আরেকদফা গুষ্টি উদ্ধারের লাইগা ডোবার পাড়ে গিয়া , দশকদম হাঁটতে দুইবার আছাড় খাওইন্যা ছোট মাইয়া ঢোলা পেটটারে আরো ঢোলা কৈরা কিছু ধরা ছাড়াই ক্যামনে এমন সুন্দর কৈরা চিৎ হৈয়া ভাসতে পারে, সেইটা বুঝতে আসমা বেগমের সেকেন্ডখানেক সময় লাগে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।