সাপের শরীর হয়ে আঁধারের গাছ/ কুয়াশার বন্যায় ডুবো দেবী মাছ! ১.
আমি আছি আমি তার কোথাও কোথাও আছি! পত্র পাতায় আর নোনা মেঘ ফলে আমি রয়ে গেছি ততদিন। মধ্য পীড়ার ধ্বংশ তাড়নায় প্রেম আমি তোমার সাহসের দলিল!
আজ কয়েক ফোটা বৃষ্টি হল। গ্রেফতার হল মানবতার রক্ত পিপাসু দিন।
এখন তুমি যাও। ক্লান্ত আর শ্রান্ত পায়ে হেঁটে এবং হেঁটে।
তুমি যাও। আমি আমার বোন আর সংখ্যাপীড়িত বোনেদের মাথার কাছে বসে আছি। নিশ্চিন্ত থাকো। আমি আছি আমি তার কোথাও কোথাও বড় সন্তর্পনে!
২.
গত চব্বিশে এপ্রিল তোমার শার্টের বিচ্ছিন্ন বোতামটি আকাশে চাঁদ হয়ে ঝুলছিল।
৩.
আকাশের দিকে হাত বাড়িয়ে অপেক্ষা করছি কখন তুমি হাজার মাইল দূর থেকে আমার হাতের উজ্জ্বল তারাটিকে লক্ষ্য করো।
হাত বাড়াও। আমার কষ্ট তোমার অপেক্ষা হোক। তারাটি হোক স্বপ্ন।
৪.
আমিও একদিন মরে গিয়ে মাটি হব মাটি ফুঁড়ে গাছ হব গাছ ফুঁড়ে শাখা। আমিও একদিন মরে গিয়ে তোমার বাগানে জামানত রাখা নীল ফুল হব।
তবু কথা বলবেনা তো? ঠিক আছে একবার মরে যাই আগে। তারপর দিও দেখা কতকাল পরে। আমিও একদিন মরে গিয়ে জনতা হব। নাগাল পাবেনা যতবার ঘরে বন্দী করেছো!
থামো তো দেখি আমি মরে যাই রাগে। আমিও মরে গিয়ে মেঘ হয়ে যাব।
মেঘের বালিশে মাথা তুমি তার সাথে মিশে আছো ছাই? মরে গিয়ে জল হব সাধের সারথি, পাখি হব পাখা হব মরে গিয়ে মৃতদের জগতের হব মহারথি। মরে যাব। যাবই।
আমিও মরে গিয়ে
আমাকে হারাব!
৫.
দরবারে এক নর্তকী চাঁদ হয়ে আসে। দূরদেশে তুমি ছিলে পুররবা।
তোমার অপেক্ষা কি আজো নী কে ভালবাসে!
৬.
ঈশ্বর তোমার কোলে যে শিশুটি বসে আছে আজ, সে আমার সন্তান!
আমি কাঁদছি এবং কাঁদছি। আমার মাথার উপর ভেঙে পড়েছে আট তলা ভবন।
ঈশ্বর তোমার কোলের শিশুটিকে জন্ম দিতে গিয়ে দেখেছি রক্তে ভেসে গেছে সমগ্র উল্লাস।
তুমি কি করে রক্ত মেখে বসে আছো মন?
৭.
খুব কাঁদলে মাথা ঠুকে ঠুকে। তোমার শরীর কথায় কথায় বাড়ে।
তুমি তার কতটুকু পারো আটকাতে? ঈশ্বর দূষিত হন প্রতিদিন ঝড়ে। চুল বাড়ে নখ বাড়ে। তুমি খুব ভাবো এ তোমার শরীর!
আর মাত্র কদিন। ঘাটে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করো তরী'র!
৮.
এই গোপন পরবাসে তুমি একটি নীল কৃষ্ণচূড়া! সৌন্দর্য তোমার হাতে টিকে যাওয়া জলক্ষেত্র। আর মেঘ উন্মুখ জলের উত্স।
ফুল ফোটা তোমাকে দেখাই গগন আলী।
তোমার জন্য এসব থমকে ছিল। গাঙ্গুরিয়া বাজার গুড়ের সন্দেশ যাত্রা দূর অথবা আমাদের মিতালী!
৯.
তারপর আর কিছু নেই। আমি চাইনি বলে সবুজের বন আরক্তিম বিবাদে। নীল চুড়ি ধোঁয়াটে হায়ায়।
যে কথাটি কখনো বলতে পারিনা। কেন আমার হাত কেঁপে ওঠে প্রেমিকের মুখ আঁকতে।
১০.
গাছে ফুল মানালেও তোমার হাত বড় একাকী। সমস্ত স্মৃতি হয়ে থাকে নাগালের বাইরে ফোটা শ্বেত হৈমন্তী ! প্রেম বিষাদের। প্রেম বসন্তের।
এই বৈশাখ যথেষ্ট দরদের তথাপি প্রেমে প্রতিদিন বাড়ে আমাদের ভুল। ইচ্ছে করে সূর্যটাকেও একদিন হাতে ছিঁড়ে আনি। অসম্ভব! বাগানের আত্মা কাঁদছে। তুমি রোজ রোদ্দুরে যাও।
কেন আমার ইচ্ছে আয়নার লাল ফুল মরদেহ ঘিরে থাক।
আমি ঘিরে থাকি থোকা থোকা কৃষ্ণচূড়ায়।
সবুজ পাতা আমার জন্য তুমি একবার কাঁদো।
১১.
তুমি কখনো পারোনি। তোমার কাছে কথারা ঠিক অন্ধকারের রাত। বন্য হাওয়া, মিথ্যে অভিজাত।
তুমি কখনো পারোনি। কখনো পারোনা কথা রাখতে। অথচ আমাকে দেখো কেমন এখনো তোমাকে নিয়েই কথার খেলা খেলছি আমি।
তুমি তা কখনো পারোনি জানি!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।