কিছুদিন থেকেই মনটা খারাপ ছিল, ভাবছিলাম ইউনির্ভাসিটিতে ভর্তির তারিখটা পার হয়ে যাচ্ছে আমার স্কলারশীপটা বুঝি আর হল না। এত কস্ট করে স্টেটমেন্ট অব পারপাস লিখলাম আর কাগজ পত্র যোগার আর তিন হাজার টাকা খরচ করে অসলো ইউনির্ভাসিটিতে সব কাগজ পাঠালাম। আমার কস্টটাই বৃথা গেলবুঝি। তার পরও কয়েক দিন ধরে প্রতিদিন সকাল হলেই মেইল চেক করছি রিফিউজ লেটার আসলেও এই যন্ত্রনা শেষ হত। আজ তেমনই একটা দিন ছিল।
সকালেই সবগুলো মেইল চেক করলাম। দুএকটা কাজের মেইল আর সব অকাজের। কি মনে করে ইয়াহুর স্পাম গুলো চেক করছিলাম হঠাৎ ইউনির্ভাসিটি অব অসলো লেখা মেইল টা দেখে বুকটা ধড়াস ধড়াস শুরু করে দিল। রিফিউজ লেটার ধরেই নিলাম, কিন্তু না, আমার স্কলারশীপটা গ্রান্ট হয়েছে। মনে হল আমি আনন্দে উড়ছি।
চিঠীটা অনেকবার পড়লাম, চেয়ার থেকে উঠলাম আবার বসলাম, অফিস বলে আনন্দে একটা চিৎকার ও দিতে পারছিলাম না। প্রথমেই ডিরেকটরকে জানালাম আর উনি ছুটির আবেদন কিভাবে করব বুঝিয়ে দিলেন। তারপর আব্বুকে ফোন করলাম। সবাই খুশি হয়েছে। এখন তো অনেক কাজ বাকি ভিসা, টিকেট ,আমার আর্টিকেল ।
সময়ও বেশি নাই মাত্র দুই মাস। ইউরোপ আগে যাই নি , এই প্রথম যাবো যদি সব ঠিকঠাক মত হয়। কিন্তু কোন প্রতিক্ষার চিঠী অতূলনীয় আনন্দ দেয় যদি সেখানে কোন অর্জনের খবর থাকে। জীবনে এই ছোট ছোট আনন্দ গুলো নতুন করে বেচেঁ থাকার উদ্যোম দেয়। জীবনটাকে অর্থবহ মনে হয়।
আমি ব্লগের সবার সাথে আমার এই ছোট্ট অর্জনের আনন্দ আর অনূভূতি ভাগ করলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।