জসীমউদ্দীন,বালুখালী,রাঙ্গামাটি। সবাই যখন দিগন্ত টিভি বর্জন শুরু করেছে। তখন আমি দেখা শুরু করলাম শুধু একটি কারনে এখানে হয়তো ভিন্ন কিছু পাওয়া যাবে। আমাকে হতাশ হতে হলা না। পেলামও।
কাদের সিদ্দিকীর উপস্থাপনায় একটি টক শো। অতিথি ছিলেন কাজী ফিরোজ রশীদ। জানলাম তাদের দুজনের সীমাহীন বেদনার কথা। তাদের উল্লেখযোগ্য বেদনাগুলো হলো অনেক বড় বড় মুক্তিযোদ্ধা জাগরণের মঞ্চে সম্মান পায়নি। তাদের যথাযোগ্য সম্মান দেখানো হয়নি।
তারা মঞ্চের পেছনে পড়েছিল। এতে মুক্তিযোদ্ধারা অপমানিত হয়েছে। ওখানে যাওয়ার প্রয়োজন কি ছিল তাদের? ইনিয়ে বিনিয়ে তারা আরো অনেক কথাই বলেছেন যেগুলোর অধিকাংশ জামাত পন্থীদেরই বলার কথা। তবে শেষ পর্যন্ত কাদের সিদ্দিকী সংহতি প্রকাশ করেছেন এবং দোয়াও করেছেন যেন তারা সঠিক পথে আন্দোলন করে। ফিরোজ রশীদের মনে অনেক ক্ষোভের একটি হলো আওয়ামীলীগকে নাকি ছাত্রইউনিয়ন দখল করে ফেলেছে।
একারনে তার হৃদয়ে অবিরত রক্তক্ষরণ হয়। তাদের দুজনের উদ্দেশ্যে আমি এটাই বলতে চায় যে' জাগরণের মঞ্চ মুক্তিযোদ্ধাদের সর্ম্বধনা দেয়ার জন্য করা হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আজ যে আবাল বৃদ্ধ বনিতা উজ্জীবিত হয়েছে তাদের দাবীর সাথে সংহতি প্রকাশ এবং আন্দোলনে প্রাণ সঞ্চার করার জন্য তারা এসেছিলেন। তাদের দুজনের আক্রোশ দেখে মনে হলো হুমায়ুন আজাদ ঠিকই বলেছিলেন-" একজন রাজাকার চিরকালই রাজাকার কিন্তু একজন মুক্তিযোদ্ধা চিরকাল মুক্তিযোদ্ধা নয়। " ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।