ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ যখন সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, তখন পুলিশের পক্ষে নির্ধারণ করা কঠিন যে সরকারের দৃষ্টিতে কে সেই নিরীহ মানুষ। আবার সরকার যখন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল নিরীহ মানুষ ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাককে কোনো কারণ ছাড়াই বিদেশে যেতে বাধা দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বাহিনীকে নির্দেশ দেয়, তখনো তাদের পক্ষে বুঝে ওঠা কঠিন হয়ে দাঁড়ায় যে আবদুর রাজ্জাক প্রকৃতপক্ষেই নিরীহ কি না। সরকারের দৃষ্টিতে নিরীহের সংজ্ঞা আপেক্ষিক। পুলিশ কেমন করে উদাসীন সরকারের মনের কথা জানতে পারবে। বর্তমান সরকার গত তিন মাসেই দলীয়করণের যে গণজোয়ার সৃষ্টি করেছে তার ঢেউ লেগেছে সর্বত্র।
আমলাতন্ত্রে, মন্ত্রণালয়ে, পুলিশে এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সর্বত্র চলছে পাইকারি দলীয়করণ। এই সরকার তিন মাসেই শত শত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বদলি করেছে ও ওএসডি করেছে। সিনিয়র সচিবদের ওএসডি করে প্রশাসনকে স্থবির করে রাখা হয়েছে। প্রশাসনের সর্বত্র বদলি আর ওএসডি আতঙ্ক। পুলিশ বাহিনীতেও তাই।
আর গোটা সমাজে জঙ্গি জঙ্গি বলে চিৎকার করে সরকার এক আতঙ্কজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। পিলখানায় জঙ্গি, কিন্ডারগার্টেনে জঙ্গি, অফিস-আদালতে জঙ্গি, গার্মেন্টসে জঙ্গি এমন সব আজগুবি কোরাস গেয়ে সরকার গোটা সমাজের ভেতরে ভীতি আর আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। আর এই ফাঁকে সরকারের সহযোগী সংগঠনগুলোর সন্ত্রাসীদের পোয়াবারো অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে এখন মরিয়া। শিক্ষাঙ্গন দলীয়করণের মাধ্যমে সরকার এক নাজুক অবস্থার সৃষ্টি করেছে।
দেশের প্রধান প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ভাইস চ্যান্সেলর বা অধ্যক্ষদের বদলে দলীয় আনুগত্যের ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা রীতিমতো অবমাননাকর। প্রতিষ্ঠানের প্রধানও দলীয় বিবেচনায় নিয়োজিত, প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণও ছাত্রলীগ কর্মীদের হাতে। ফলে সেখানে দুর্নীতির এক বিশাল মহীরুহ যে গড়ে উঠবে তাতে সন্দেহের অবকাশ কোথায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।