আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এসবের কি কনো প্রতিকার নাই?

বাড়ির পাশে আরশীনগর.......... আজ একটি খবর পড়লাম topbdnews -এ। এবং খবরটি পড়ার পর আমি শেখ আব্দুর রহিম লিটনের মুঠোফোনে (নম্বর ০১৭১২-৫০৮৫৮৭) ফোন করি এবং তিনি অযথা কথা এড়িয়ে যেতে চান। আমার মনে হলো সকলের-ই জানা উচিৎ এ ধরনের সরকারী কর্মকর্তার কাণ্ড । ঝিনাইদহে সরকারি কর্মকর্তার কাণ্ড! ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের এক সহকারী পরিচালক যোগদানের পর মাত্র ১৫ দিন অফিস করে টানা সাড়ে পাঁচ মাস ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। শেখ আব্দুর রহিম লিটন নামের এই কর্মকর্তা অফিস না করেও এ সাড়ে পাঁচ মাসে ঢাকার বাসায় বসে বসেই বেতন ভাতা বাবদ তুলে নিয়েছেন এক লাখ ২৪ হাজার ৯২৭ টাকা।

তাছাড়া ঝিনাইদহে কোন বাসা ভাড়া না করেও এ সময়ে তিনি প্রতি মাসে ৬২০৪ টাকা হিসেবে বাসা ভাড়া বাবদ আরও ৩৪ হাজার ১২২ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বুধবার সকালে ঝিনাইদহ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে গিয়ে দেখা যায় সহকারী পরিচালক শেখ আব্দুর রহিম লিটনের কক্ষটি ফাঁকা পড়ে আছে। তার টেবিলের উপর জমে গেছে আবর্জনার স্তুপ। মাসের পর মাস হাজিরা খাতায় কোন সাক্ষর করেননি তিনি। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ঝিনাইদহ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক সাইদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, গত এপ্রিল মাসের ২৮ তারিখে তিনি ঝিনাইদহ অফিসে যোগদান করেন।

কিছুদিন অফিস করার পর তিনি আর আসেননি। তিনি আরো জানান, প্রতিমাসে ঢাকার ডেমরা এলাকায় তার বাসার ঠিকানায় বেতনের চেক পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, পদ মর্যাদার দিক থেকে তিনি সহকারী পরিচালক হলেও ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এজন্য তার পক্ষে কোন ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক সাইদুল ইসলামের সঙ্গে আব্দুর রহিম লিটনের আর্থিক লেনদেনের সম্পর্ক রয়েছে।

প্রতিমাসে অফিস না করার সুবাদে লিটন সাইদুলকে তিন হাজার টাকা করে দিয়ে থাকেন। আর এই লেনদেনের কারণে লিটন মাসের পর মাস অফিস না করে সরকারি বেতন ভাতা তুলে যাচ্ছেন। এছাড়া সেলাই প্রশিক্ষণ বিভাগের দুই মহিলা প্রশিক্ষককেও সাইদুল ইসলাম একইভাবে সুবিধা দিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঝিনাইদহ জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ১১ হাজার টাকার স্কেল হিসেবে আব্দুর রহিম লিটনের মূল বেতন ১৫ হাজার ৫১০ টাকা। এর সঙ্গে রয়েছে ছয় হাজার ২০৪ টাকা বাড়ি ভাড়া ও এক হাজার টাকা চিকিৎসা এবং শিক্ষা ভাতা।

এ হিসেবে প্রতি মাসে অফিস না করেও তিনি ২২ হাজার ৭১৪ টাকা করে তুলে নিচ্ছেন। অফিসের স্টাফ শরিফা খাতুন ও প্রধান অফিস সহকারী শেখ মোস্তফা জামান জানান, কি কারণে স্যার (আব্দুর রহিম লিটন) অফিসে আসেন না তা তারা জানেন না। একই কথা বললেন এমএলএসএস নজরুল ইসলাম ও রাজা মিয়া। তারা জানান, ওই কর্মকর্তা অফিসে না আসায় ঋণ বিতরণ, উপজেলা ট্যুরসহ অনেক সরকারি কাজ বাস্তাবায়ন সম্ভব হচ্ছে না। এ ব্যাপারে সহকারী পরিচালক শেখ আব্দুর রহিম লিটনের মুঠোফোনে (নম্বর ০১৭১২-৫০৮৫৮৭) দুইদিন ধরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অফিসের আরেক কর্মকর্তা জানান, এর আগে আব্দুর রহিম লিটনকে শাস্তিমূলকভাবে ঝিনাইদহে বদলী করা হয়েছিল। এজন্য ক্ষোভে তিনি অফিস না করে ঢাকায় বসে অন্য জায়গায় বদলীর তদ্বীর করছেন। Link: ঝিনাইদহে সরকারি কর্মকর্তার কাণ্ড! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.