স্বাধীন বাংলাদেশে জন্ম

রামুতে বৌদ্ধ, বরিশালে খ্রীস্টান, নোয়াখালীর কালিমন্দির, মুক্তাগাছার স্বর্নের মুর্তি চুরি এসবের সঙ্গে যারা জড়িত - অতি সম্প্রতি পাবনা জেলার আতাইকুলা থানার বনগ্রামে বাবুল সাহার বাড়ীতে, দোকানে ও মন্দিরে মাননীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও তার দলীয় ক্যাডাররা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ এবং সরকারী দলের সিনিয়র নেতারাই তা স্বীকার করে। পাশাপাশি কিছু মিডিয়ায় সরকারী দলের লোকেরা আবার সে ঘটনার সাথে বিএনপি-জামায়াত জড়িত থাকার কথা বলা হচ্ছে। ২০১২ সালে কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধদের প্যাগোডা ও হিন্দুদের মন্দিরে দুবৃত্তদের সাথে আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। কিন্তু সেখানেও জামায়াত-বিএনপিকে দায়ী করে মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়। তদন্তে দেখা যায়, ঐ ঘটনার সাথে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা জড়িত।

তাদের বিরুদ্ধে সরকার কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে ব্যাপারটা ধামাচাপা দেয়। তাই তো এখন আর সেসব নিয়ে শুনি না। গত ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ৯ তারিখে বরিশালে আওয়ামী লীগের ক্যাডার বাহিনী খ্রীস্টানদের ৩০ কোটি টাকার সম্পত্তি দখল করার অভিযোগ করে ভুক্তভোগীরা। ১০ সেপ্টেম্বর এ খবর জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারী নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জের রাজগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের কালির হাটের কালিমন্দিরে কিছু দুর্বৃত্ত তাদের সাথে থাকা আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা হামলা ও ভাংচুর করেছে বলে পূঁজা কমিটি অভিযোগ করে।

চলতি সনের মার্চ মাসেও আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা টাঙ্গাইলে গোপালপুর পৌরসভার চন্দবাড়ী গ্রামে হিন্দু সংখ্যালঘুদের বাড়ীতে হামলা চালায়। তা ১৪ মার্চ প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদপত্রে এ খবর প্রকাশিত হয়। ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার আওতাধীন পৌরসভা এলাকা থেকে হিন্দুদের ঐতিহ্যবাহী স্বর্নের মুর্তিও চুরি করে আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা। তারা হাতেনাতে পুলিশের হাতে ধরাও পড়ে। বোঝাই যায় কে দায়ী আওয়ামী ক্যাডার বাহিনী না বিএনপি-জামায়াত !!
।