আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সরকারের দমন নিপীড়ন , গুলি , হত্যা , গুম, গ্রেফতার, মামলা, হামলা এসবের বিরুদ্ধে দালাল মিডিয়া চুপ কেন?



সরকারের পোষ্য মিডিয়া আর দালাল বুদ্ধিজীবিরা সরকারের পুলিশ বাহিনীর গুলি আর হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে চুপচাপ কিন্তু আগুনে পুড়ে মানুষ মারার বিষয় নিয়ে হৈ চৈ করে , আগেই বলে নেই আগুনে পুড়ে মানুষ মারার তিব্র প্রতিবাদ করা সকলের নৈতিক দায়িত্ব। কিন্তু সরকারের দমন নিপীড়ন , গুলি , হত্যা , গুম, গ্রেফতার, মামলা, হামলা এসবের বিরুদ্ধে দালাল মিডিয়া চুপ কেন? বামরাও দেখি আগুনে পুড়ে নিহতদের জন্য সভা সমাবেশ করল শাহবাগে কিন্তু পুলিশের গুলিতে যে অনেক প্রান ঝরে গেল, তা নিয়ে তাঁরা মুখে কুলুপ এঁটেছেন। আগুনে পুড়ে মানুষ মারার প্রতিবাদে সমাবেশ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। কিন্তু এই সমাবেশ যদি সরকারের পুলিশ বাহিনীর নির্বিচার গুলিতে নিহতদের জন্যও হত তাহলে আরও ভাল হত, সরকারের নির্যাতক বাহিনী পুলিশ দেখা মাত্র গুলি করে মানুষ মারছে, হোক সে যুবদল, ছাত্র শিবির। চাঁদপুর, কুমিল্লা, ফেনি, সিরাজগঞ্জ, কক্সবাজার, চিটাগাং, সহ অনেক জেলায় পুলিশ গুলি করে বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের খুন করছে।

চাঁদপুরে জেএসসি পরীক্ষার্থী ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া সিয়াম পুলিশের গুলিতে পরশু দিন মারা গেল, তাকে নিয়েও দলকানা মিডিয়া চুপচাপ! সিয়াম যদি বিরোধী দলের হাতে খুন হত তাহলে প্রথম আলো সহ দলবাজ মিডিয়া হই চই করত, কিন্তু সিয়াম পুলিশের মানে সরকারের গুলিতে নিহত হওয়ায় তারা মুখ বন্ধ রাখলেন। প্রথম আলো পুলিশের গুলিতে নিহতের কোন ছবি ছাপায় না, কিন্তু আগুনে পুড়ে যাওয়া ছবি বার বার প্রকাশ করে, এর মানে এরা সরকারের অন্ধ দালাল। আপনি যদি সংবাদ মাধ্যম হন, আপনি দুইটাই করেন, আগুনে পুড়ে নিহতের ছবিও ছাপেন আবার পুলিশের গুলিতে নিহতের ছবিও ছাপেন। এইসব দালাল মিডিয়া পুলিশের গুলির একটা ছবিও দেয় না। আগুনে পুড়ে মানুষ মারার প্রতিবাদ যেমন করতে হবে, তেমনি সরকারের নির্দেশে গুলি করে বিরোধী দলের নাগরিক হত্যার প্রতিবাদেও সমাবেশ করতে হবে, নাইলে আপনাদের এই অবস্থান একপেশে হয়ে যাবে, রাষ্ট্রযন্ত্রের নিপীড়নের বিরুদ্ধে সমাবেশ করা কঠিন, সরকারের নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো কঠিন বলেই অনেকে বিরোধী দলের সন্ত্রাসের নিন্দা জানিয়েই নিজেদের মানবতা বাদী বলে তুলে ধরতে প্রয়াস পায়, কিন্তু এটা হয় নিষ্ক্রিয়তা না হয় সরকারের ভয়ে ভীত মানসিকতা! অবরোধের সমর্থনে মিছিল করার সময় কুমিল্লায় পুলিশের গুলিতে এক ছাত্রদল কর্মী নিহত হয়েছেন।

Click This Link সিরাজগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত ২ Click This Link সিরাজগঞ্জ শহরের জগাইমোড় এলাকায় ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় পুলিশের গুলিতে সাকমান হোসেন (২৭) নামে এক যুবদল নেতা নিহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও ২০ জন। সকাল সাড়ে ৮টায় এ ঘটনা ঘটে। কুমিল্লার লাকসাম উপজেলায় নোয়াখালী সড়কে বিএনপি-জামায়াতের মিছিলে পুলিশ গুলি করলে বাবুল মিয়া নামে এক রিকশা চালক নিহত হয়েছেন। সকাল ১১টায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে পুলিশ অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে প্রায় দেড়শ’ রাউন্ড গুলি করে।

এতে বাবুল মিয়া ঘটনাস্থলেই নিহত হন। - See more at: Click This Link কানাইখালী ফায়ার স্টেশনের সামনে সংঘর্ষের একপর্যায়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সুজন নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হন। নাটোরের ব্যাপিস্ট মিশন হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিত্সক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। সুজন কানাইখালী মহল্লার সালামত আলীর ছেলে। Click This Link Click This Link চাঁদপুর সদর হাসপাতালের চিকিত্সা কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, দুজনই গুলিতে নিহত হয়েছেন।

বেশ কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে গতকাল রাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শরিফুল ইসলাম নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। অবরোধের সমর্থনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পিকেটিংয়ের সময় পুলিশের ছোড়া গুলিতে তিনি নিহত হন বলে দাবি করেছেন কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী। ফেনীতে পুলিশের গুলিতে যুবদল নেতা নিহতhttp://www.dailynayadiganta.com/details.php?nayadiganta=OTcy&s=MTc= অবরোধ : গুলিতে নিহত ৬ Click This Link "অতি উৎসাহী এসব পুলিশ-বিজিবি-র্যাব সদস্য বিরোধী দলের ক্ষুদ্র সমাবেশের ওপরও নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করার তথ্য পাওয়া গেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গুলিবর্ষণের ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নেয়া হয়নি।

এমন কি ম্যাজিস্ট্রেটের অনুপস্থিতিতেই পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি গুলি চালিয়েছে। এসব কারনে চলতি অবরোধ কর্মসূচির ৪৮ ঘন্টায় প্রাণ হারিয়েছ ১৭ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, গুলি চালানোর পর ভূতাপেক্ষ কার্যকারিতা দিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমোদন নেয়া হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো পুলিশের এসব বেআইনি কার্যক্রমের জোরালো প্রতিবাদ না করায় দিন দিন পুলিশ-বিজিবি-র্যাবের এমন আচরণ কেবল বাড়ছে। আইনবিদরা বলছেন, মিছিলে গুলি চালানোর ক্ষমতা পুলিশ-বিজিবি-র্যাব-এর নেই।

মিছিল করা নাগরিক অধিকার। সেখানে পুলিশ গুলি চালাচ্ছে বেআইনিভাবে। এর মাধ্যমে তারা নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। মনে হচ্ছে মানুষ মারাই যেন পুলিশের কাজ। এটি মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।

এই অবরোধের আগে গত ২৯ অক্টোবর কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলায় পুলিশের গুলিতে চারজন প্রাণ হারিয়েছেন। সেখানে হরতাল সমর্থকেরা দিনশেষে সমাবেশের আয়োজন করে। শান্তিপূর্ণ সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়া রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বাধা দেয় পুলিশ। তারা মঞ্চ দখল করে মাইক কেড়ে নিয়ে যায়। প্রতিবাদী জনতা মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ওপর চড়াও হয়।

তখন স্বাভাবিকভাবেই স্থানীয় গ্রামবাসী প্রতিবাদী জনতার সাথে শামিল হয়। তারা পুলিশের অন্যায় আক্রমণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। পুলিশ উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড পরিহার না করে বরং ক্ষুব্ধ জনতাকে লক্ষ্য করে সরাসরি গুলি চালায়। এতে চারজন গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান। সম্প্রতি ১৮ দলীয় জোটের ডাকা কয়েক দফা হরতালের সময় কক্সবাজার ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী।

গুলি চালানোর ক্ষেত্রে পুলিশ-বিজিবি-র্যাব মানছে না কোনো নিয়মনীতি। ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি ছাড়া গুলি চালানোর সুযোগ না থাকলেও পুলিশ তার কোনো তোয়াক্কাই করছে না। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরই পুলিশ-বিজিবি-র্যাবের একটি অংশ মিছিলে নির্বিচার গুলি চালাচ্ছে। কেবল তাই নয়, সিভিল পোশাকের পুলিশ নিয়ে বেড়াচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্র। ফলে বোঝা যাচ্ছে না তারা পুলিশ না সন্ত্রাসী।

বিভিন্ন মিটিং মিছিলে দেখা যায়, সাদা পোশাকের অস্ত্রধারী পুলিশ মিছিলকারীদের ওপর হামলা করছে, গুলি চালাচ্ছে। " Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.