আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিক্ষা ক্ষেত্রে চরম নৈরাজ্য সৃষ্টি করার মাধ্যমে কি উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করা হচ্ছে?



২৯ অক্টোবরের সাধারন নির্বাচনের পরবর্তী সহিংসতায় এই ৩ মাসে ৬২ জন মানুষ হত্যা হয়েছে বলে খবরে প্রকাশ। আমি এ বিষয়ে লেখা টানব না। কিন্তু সারাদেশে শিক্ষাঙ্গনগুলোতে যে পরিমান সন্ত্রাস, চাদাবাজি, সহিংসতা চলছে তা যে কোন সুশীল মানুষের বিবেক কে নাড়া দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় এক গ্রুপের হাতে আরেক গ্রুপের নেতা খুন হওয়ার মধ্য দিয়ে এই সহিংসতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। আর প্রতিপক্ষ হলে তো তা স্বাভাবিক বলেই ধরে নেয়া হয়।

কিন্তু একটা মেধাবী ছাত্রের শিক্ষা জীবন কি এভাবে নষ্ট হওয়ার কথা ছিল? প্রত্যেক অভিভাবক ই তার সন্তানকে উজ্জল ভবিষ্যত ভাল হওয়ার আশা করে উচ্চ শিক্ষার জন্য নামী দামী বিদ্যাপিঠ গুলোতে প্রেরন করে। কিন্তু বিদ্যাপিঠের শিক্ষাগুরুদের নহায়তায় নোংরা রাজনীতির কারনে অকারনে ঝড়ে পড়তে দেখা যায় শিক্ষার্থীকে। কিন্তু এর দায়ভার কি বিদ্যাপিঠ গুলো নেবে? অবশ্যই না। আজ সারা বাংরাদেশে সরকারী দলের ছাত্র সংগঠনের গ্রুপিং, লবিং, টেন্ডারবাজি, চাদাবাজি সহ শিক্ষাঙ্গনে এক অস্থির অবস্থা শিক্ষার্থীদের এক চরম ভোগান্তির মধ্যে ফেলেছে। তাহলে সরকার কি এই ছাত্রদের ,ছাত্রীদের শিক্ষাজীবনকে নষ্ট করে দিতে চায়? অতীতের যে কোন সময়ের চাইতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অস্থিরতা বেশী লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

এবার সময় এসেছে বুদ্ধিভিত্তিক হারিয়ে যাওয়া ছাত্ররাজনীতির যুগ ফিরিয়ে আনার। এই মারকাট রাজনীতিকে আপনারা রাজনীতি বললেও যে কোন ভদ্রসমাজ একে নোংরামী বলেই ডাকবে। আর এই নোংরামীকে পুজি করে এদেশকে অস্থির করে কারা ফায়দা লুটতে চায়? তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে দ্রুততার সাথে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.