আজ দৈনিক সমকাল পত্রিকার শেষ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত একটি সংবাদ দেখে বেশ অবাক হলাম। সংবাদের বিষয় বস্তু হলো- এখন থেকে একাধিক তৃতীয় শ্রেণী প্রাপ্তরাও নাকি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক হতে পারবেন। এর আগে ১৯৯৫ সালের ২৪অক্টোবর থেকে একাধিক তৃতীয় শ্রেণী প্রাপ্তরা প্রধান শিক্ষক না হওয়ার বিধান চালু ছিল। সে আদেশ বাতিল করে শিক্ষামন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এখন থেকে একাধিক তৃতীয় শ্রেণী প্রাপ্তদের প্রধান শিক্ষক হওয়ার বিধান চালু করল। এখন প্রশ্ন হলো এই সব তৃতীয় শ্রেণী প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে যারা শিক্ষা গ্রহণ করবেন তারা কোন শ্রেণীর শিক্ষা গ্রহণ করবে তা কি কারো জানা আছে? আর সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হচ্ছে রাশেদ খান মেনন এর মত মানুষ এ কমিটির সভাপতি হয়ে নির্বোধের মত এমন একটি সিদ্ধান্ত কিভাবে নিতে পারলেন? সারা জীবন শুনে এসেছি সবচেয়ে মেধাবীরাই শিক্ষক হয়ে থাকেন । আর এখন হাঁটছি আমরা উল্টো পথে। একটা প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে- হঠাৎ এ সিদ্ধান্ত নেয়ার উদ্দেশ্য কি? দেশে মেধাবীদের সংখ্যা কমে গেছে? নাকি বিশেষ কারো সুবিধার জন্য সমগ্র জাতির উপর এই হটকারী সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্বল করার প্রক্রিয়ার অংশ এটি?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।