রাজা
অতি প্রাচীন ইতিকথা। ....
থার্মোডাইনামিক্স মৌখিক পরীক্ষার বোর্ড বসিয়াছে..
ইউনির জাঁদরেল দুই মহাশয় বোর্ড রুমের চেয়ার দখল করিয়া আছে। তাহাদের মধ্যে একজন অত্যন্ত গুরুগম্ভীর অধ্যাপক। তাহাকে আমরা কখনও হাসিতে দেখিয়াছি বলিয়া মনে পড়ে না। সচরাচর তাহার চেম্বার হইতে সর্বদা দূরে থাকার চেষ্টা করিয়া থাকিতাম যতটা না ভয়ে তার চেয়ে বেশী সমীহ করিয়া।
অতীব জ্ঞানী এই ভদ্রলোককে দেখিয়া আমার ও আমার বন্ধুর প্রানপাখী উড়িয়া যাইতে চাহিল। অতঃপর যাহা শিখিয়াছিলাম তাহা ভুলিয়া গেলাম। তবে আমাদের গ্রুপ ছিল তিনজনের তাহার মধ্যে একজন বান্ধবী। তাহার দিকে চাহিয়া দেখিলাম তাহার মধ্যে উদ্বেগের ভাবমাত্র পরিলক্ষিত হইতেছে না। অতঃপর সেই ভরসা, তাহাকে বলিলাম আমরা পাশ কাটাইয়া যাইবো আর তুমি উত্তর দিবে।
যথারীতি আমাদের সময় আসিয়া উপস্থিত হইলো...
প্রবেশ করিয়া এক সঙ্গ বলিলাম সালামুআইকুম স্যার।
উত্তর আসিলো ওয়ালাইকুম সালাম
দাড়াইয়া আছি .. বসার অপেক্ষায়
উত্তর আসিলো বসো ।
আমারা তিনজন তিনখানা চেয়ার দখল করিয়া বসিয়াছি।
প্রথম প্রশ্ন আমাকেঃ
তোমার নাম কি? - নাম বলিলাম
পরবর্তী প্রশ্ন এন্ট্রপি কারে বলে -- উত্তরে চুপ থাকিলাম
বান্ধবীরে প্রশ্ন তুমি জানো ?- সে উত্তর দিলো -
বন্ধুরে প্রশ্নঃ আচ্ছা তাপ বাড়লে কি এন্ট্রপি বাড়ে না কমে
বন্ধুর উত্তরঃ স্যার এন্ট্রপি দেখা যায় না । একটি অনুভব করা যায়।
তবে তাপ বাড়লে এন্ট্রপি বাড়ে ।
দ্বিতীয় প্রশ্নঃ আচ্ছা গরমের দিনে মহিষ পানিতে নামে কেন?
বন্ধুর উত্তরঃ
স্যার গরমের দিনে আমাদের দেশে স্যার রৌদ্র মাথার উপড় থাকে আর মাথার উপর থাইক্যা যখন রৌদ্রে আলো আইসা যখন মাটিকে পড়ে তখন স্যার বিকিরণের ফলে তাপমাত্রা বাইড়া যায় ফলে স্যার এন্ট্রপিও বাইরা যায়। যেহেতু স্যার এন্ট্রপি দেখা যায় না তাই স্যার মহিষ তা সহ্য করতে না পাইরা দৌড় দিয়া গিয়া পানিতে পড়ে।
মৌখিক পরীক্ষা ঐ খানেই শেষ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।