বিশ্ব পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে নিম্নগামী প্রবণতাঃ
বিগত কয়েক মাস ধরে বিশ্ব পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে নিম্নগামী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশেও। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পরিমাণ কমে যাবে। গার্মেন্টস এবং মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণে যে শ্রমিকরা নিয়োজিত, এদের ওপর দিয়েই মূলত ঝড়টা যাবে। রফতানি কমে গিয়ে কিংবা দাম কমে যাওয়ার কারণে এসব সেক্টরে জড়িত শ্রমিকরা চাকরি হারাবে।
স্বল্পমেয়াদে এসব সেক্টরে 'নতুন শ্রমিকের' রিক্রুটমেন্টের সম্ভাবনাও কম। রফতানি বন্ধ হলে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত খাতগুলোতেও অস্থিরতা দেখা দেবে।
এখন বাংলাদেশের জন্য একটা কঠিন সময়। এমনিতে বিশ্বমন্দা। অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ বহু সমস্যা।
তা সত্ত্বেও বর্তমান সরকার ইতিমধ্যে অর্থনৈতিক এই মন্দা কাটিয়ে উঠতে টাস্কফোর্স গঠনের কথা বলেছে। আমরা মনে করি এ সবের পাশাপাশি সরকারকে অর্থনীতির খাতভিত্তিক উন্নয়নের চিন্তা করতে হবে। সরকারকে রফতানি বাড়াতে বিভিন্ন খাতকে ইনসেন্টিভ, কর রেয়াত, ভর্তুকি দেওয়ার বিষয়টি চিন্তা করতে হবে। তাহলেই এই খাতগুলো রফতানি বাজারে টিকে থাকতে সক্ষম হবে। পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় মন্দার বিরুদ্ধে লড়াই একটা যুদ্ধের মতো।
এই যুদ্ধে টিকে থাকতে হলে রফতানিমুখী শিল্পের জন্য বিভিন্ন সুবিধা প্রদান ছাড়াও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করাও জরুরি। জনশক্তি রফতানি কমে যাওয়ার যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে সেটা মোকাবেলায় সরকারের উচিত 'অর্থনৈতিক কূটনীতি জোরদার করা। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে এই কূটনৈতিক তৎপরতা আরও জোরদার করতে হবে। আর ইতিমধ্যে যেসব দেশ শ্রমিকদের ভিসা বাতিল করেছে তা তারা সত্যিই মন্দার কারণে করেছে কি না তাও গভীরভাবে খতিয়ে দেখতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।