এতটুকু বুঝি জীবনের কাছে আবেগ নস্যি।
আমি ঢাকায় আছি গত পাঁচ বছর ধরে, এরই মধ্যে কিছু অনাকাঙ্খিত ঘটনার শিকার হই।
প্রথম অভিজ্ঞতাঃ
২০০৫ সালে আমি তখন কাজী পাড়ায় থাকতাম বাসা ভাড়া করে আমার এক বন্ধুর সাথে সবে মাত্র ইন্টারে প্রথম বর্ষের ছাত্র। তো একদিন দুই বন্ধু মিলে আমারদের এক বন্ধুর জন্ম দিনের অনুষ্ঠান থেকে বাসায় ফেরার সময় রাত ১১.০০ টার দিকে কাজীপাড়া বাস স্টপ থেকে গলির ভেতর যাচ্ছি ওই সময় ৬/৭ জন ছেলে সামনে আসে এবং তাঁদের অস্ত্রের কারিসমা দেখিয়ে আমার মোবাইল, মানিব্যাগ ও বন্ধুর মানিব্যাগ নিয়ে যায়। আমার পচন্দের মোবাইলটা নিয়ে যাওয়ায় খুবই কষ্ট পেয়েছি ..... মোবাইল খোয়ানোর কষ্টে আমার জ্বর এসে গিয়েছে টানা ৬দিন জ্বরে ভুগেছিলাম।
দ্বিতীয় অভিজ্ঞতাঃ
এটা ২০০৬ এর ঘটনা তখন আমার বাসা নাখালপাড়া, তো ফামর্গেট থেকে নাখাল পাড়া যাচ্ছি রিস্কায় এই রাত ৯.৩০থেকে ৯.৪৫ হবে (বর্ষা কালে, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে ও তখন কারেন্ট ছিলো না ), হলিক্রস কলেজ অতিক্রম করার পর দেখি রিস্কা থেমে গেলো সাথে সাথে দেখি আমার রিস্কার দু পাস দিয়ে চারজন ছেলে, একজন রিস্কা চালককে সজোরে থাপ্পর মারলো, আরেকজন আমার গলায় একটি ছুরি ধরল আর দুজন আমার দুহাত ধরে রাখল, যে ছেলেটি চালককে আঘাত করল সেই ছেলেটি আমার প্যান্টের পকেট থেকে মোবাইল, মানিব্যাগ নিলো ওরা আমার হাত এতো শক্ত করে ধরেছিলো যে, আমার হাতে থাকা ঘড়ির চামড়ার বেল্ট চিড়ে ঘড়িটি নীচে পড়ে গেলো। আশ্চার্য হলাম এই, যে ছেলেটি আমার পকেট সাবাড় করেছে, সেই ছেলেটি ঘড়িটি উঠিয়ে আমার জামার পকেটে রাখলো! আমার পাশ দিয়ে অনেক রিস্কা যাচ্ছে কিন্তু আমি কোনো শব্দ করতে পারলাম না বা কেউ জানার চেষ্টাও করেনি এখানে কি হচ্ছে! দুইজন আমাকে ধরে রেখেছে আর বাকী দুইজন রাস্তার ও পাশে থাকা মোটর বাইক স্টার্টকরে, এই দুইজন দৌড় দিয়ে মোটর বাইকে উঠে চলে যায় তেঁজগাঁও ষ্টেশন রোডের দিকে। আমি সাথে সাথে ফামর্গেট মোড়ের দিকে গিয়ে টহল পুলিশকে ঘটনা বলি! টহল পুলিশ আমার সাথে এদিকে আসে কিন্তু ছিনতাইকারীরা ততক্ষনে হয়তো তেঁজগাঁও পার হয়ে গেছে। পরে পুলিশ আমাকে তেজগাঁও থানায় জিডি করতে বলে! কিন্তু সুফল পাওয়া হবে না ভেবে জিডি করতে যাইনাই(জিডি করলে থানায় ৫০/১০০টাকা দিতে হবে সেটাও আমার কাছে ছিলো না তাই হয়তো যাওয়া হয় নাই)।
তৃতীয় অভিজ্ঞতাঃ
এটা ছিনতাই না এটা বলা যায় চুরি আমি আমার মোবাইল ফোন চার্জ দিয়ে রুম লক করে বাইরে গেলাম ঘন্টাদুয়েক পরে ফিরে এসে দেখি ফোন ও চার্জার কোনোটাই নেই।
আমি তদন্ত করে দেখতে পারলাম জানালার গ্লাস ভেঙ্গে কঞ্চি দিয়ে টেনে ফোন ও চার্জার নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আমি শুনেছি মানুষ ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে বিপদ এড়িয়ে চলে। কিন্তু এখন হর হামেশা এই ব্যপার গুলো ঘটছে, কখোনো আমি কখোনো আপনি বা কখনো আমাদের আপন জন এই অনাকাংখ্তি বিপদের সম্মুক্ষিন হচ্ছি।
উপরোক্ত ঘটনা তিনটি আমার জীবনে ঘটে গেছে, এই জন্যে লিখতে গিয়ে কোন কারুকাজ করা হয়নি তাই হয়তো অনেকের ভালো নাও লাগতে পারে, অনেকের ভাল না লাগার জন্যে আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।