জৈব প্রযুক্তি শিল্পের পক্ষ হতে ক্রমাগত জোরাল ভাবে জেনিটিকালি মোডিফাইড শস্য (সংেক্ষেেপ যা জি এম শস্য নামে অধিক পরিচিত) কে ক্ষুধা ও বৈশ্বিক খাদ্য সংকটের সমাধানরূপে প্রচার-প্রপাগান্ডা চলানো হচ্ছে। অনেক রাজনৈতিক এদের প্রচারণা কে গ্রহণও করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, জি এম কি কি কারণে কখনও ই দারিদ্র বিমোচেেনর উপায় বা বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তার অবলম্বণ অথবা নির্ভরযোগ্য কৃষি ব্যবস্থার হতে পারে না ?
প্রথমত; ক্ষুধা হচ্ছে মূলতঃ দারিদ্রতার ফসল, খাদ্য উৎপাদনের ঘাটতি নয়। ক্ষুদ্র কৃষকের জন্য এই সংকটের কারণ হচ্ছে কৃষি েক্ষেেত্র সরকারগুলোর ক্রম হ্রাসমান বিনিয়োগের সাথে সাথে ক্ষুদ্র কৃষকের জমি, কৃষি উপকরণ , ঋণ আর প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগের স্বল্পতা। আর নগরবাসীদের জন্য এই সংকটের কারণ হচ্ছে ক্রমাগত ঊর্ধ্ব মূল্য খাদ্যদ্রব ক্রয়ের টাকা না থাকা।
দ্বিতীয়ত; জিএম শস্যের সিংহ ভাগই বিশ্বের দরিদ্রদের দ্বারা কিংবা জন্য উৎপাদিত হয় না। এগুলো ব্যবহৃত হয় পশুখাদ্য, জৈব জ্বালাণী এবং ধনিক বিশ্বের ভোক্তা শ্রেণীর জন্য বিশেষ ভাবে প্রস্তুতকৃত খাদ্যের জন্য(যেমন, পিজ্জা, বার্গার বা কর্নেেফ্লক্স)। জিএম শস্যের অধিকাংশই মুষ্টিমীয় দেশের ( আমেরিকা, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা) রপ্তানী মুখী কৃষিশিল্প সেক্টর ভূক্ত বৃহৎ কৃষক কর্তৃক উৎপাদিত হয়।
তৃতীয়ত; এটা বিপুলভাবে স্বীর্কত যে, জেনিটিকাল মোডিফিকেশন শস্যে প্রকৃত প্রাকৃতিক উৎপাদন মতা বৃদ্ধি করে না। বরং , কিছু েক্ষেত্র তার সনাতন শস্য হতে কম।
চতুর্থত; আমেরিকা, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার মত জি এম শস্যের প্রধান উৎপাদক দেশের অফিসীয়া ডাটা স্বীকার করে যে, জিএম শস্য কীটনাশকের ব্যবহার বৃদ্ধি করেছে; যে গুলো মাঝে ইউরোপের কিছু দেশে নিষিদ্ধ বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান রয়েছে।
পঞ্চমত; জিএম শস্যে মূল সুবিধা ভোগী হচ্ছে জৈব প্রযুক্তির বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো ;যারা পেটেন্ট, উচ্চমূল্য জিএম বীজ আর কীটনাশক বিক্রি বৃদ্ধির মাধ্যমে মুনাফা লুটছে।
( ঋৎরবহফং ড়ভ ঞযব ঊধৎঃয ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ুএর ২০০৮ ুএর রিপোর্ট থেকে অনুদিত)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।