আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চীনে জিএম ধানের চাষ নিয়ে উদ্বেগ ও বিতর্ক , অামােদর ও সর্তক হওয়া দরকার

অামােদর েদেশও অেনক িবজ্ঞানী না বুেঝই েদেশ জিএম ফুেডর চাষ ও ব্যবহার চান , যা িঠক নয়, িনেচর খবরই তার প‌্রমাণ : চীনে অবৈধভাবে জিএম ধানের চাষ বেড়েছে। প্রথম দিকে সে দেশের সরকারি কর্তৃপক্ষ ব্যাপারটি ধামাচাপা দিলেও সম্প্রতি তা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক বিতর্ক। বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এএফপি।

২০০৯ সালে চীনে জিএম (জেনেটিক্যালি মডিফাইড) ফুডের দুই প্রজাতির বীজ পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করার অনুমতি দেওয়া হয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয় বলেছে, পরীক্ষামূলক চাষ ছাড়া কোথাও জিএম ধানের চাষ করা হয় না। কিন্তু গত এপ্রিলে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা দেশটির সাপ্তাহিক পত্রিকা ন্যানফাং জোওমোকে বলেন, সরকারের চারটি বিভাগের যৌথ অনুসন্ধানে দেখা গেছে, দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে বিভিন্ন প্রদেশে জিএম শস্যের চাষ হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কাছে বার্তা সংস্থা এএফপি জানতে চাইলে এ ব্যাপারে তারা কোনো মন্তব্য করেননি। প্রসঙ্গত, শস্য বা জীবের জিনে পরিবর্তন এনে বা জীবপ্রযুক্তির কৌশল প্রয়োগ করে জীবের বংশানুক্রমিক উপাদান পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুন জীব বা শস্য তৈরি (জেনেটিক্যালি মডিফাইড অর্গানিজম নামে পরিচিত) করার প্রক্রিয়াকেই জিএম হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, জিএম বীজকে বিশেষ কীটনাশকের ক্ষেত্রে সহনশীল হিসেবে সৃষ্টি করা হয়। ফলে পুরো বীজটাই বিষাক্ত হয়ে ওঠে। বীজের জৈব চরিত্রের গুণ বদলাতে অন্য প্রাণীর জিন ঢোকানোর কারণে এটি মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। জিএম ফুডের কোম্পানিগুলোর উত্পাদিত খাদ্য মানবদেহের জন্য নিরাপদ কি না জানার জন্য কোনো গবেষণা করা হয়নি। তবে অন্যান্য পশুর ক্ষেত্রে এ ধরনের গবেষণা চালানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, ইঁদুরকে জিএম ভুট্টা খাওয়ানোর পর এর কলিজা ও কিডনি বিকল হয়েছে। জিএম আলু খেয়ে নষ্ট হয়েছে অন্ত্রনালী। ভারতে জিএম তুলা চাষের কারণে কর্মরত কৃষি শ্রমিকদের মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা ধরা পড়েছে। তাদের চামড়া, চোখ ও শ্বাসযন্ত্রে সমস্যার কারণে অনেককেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জিএম ফুডের বিরুদ্ধে ভারতসহ দেশে দেশে আন্দোলন গড়ে উঠেছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের র্যাপিড অ্যালার্ট সিস্টেম ফর ফুড অ্যান্ড ফিডের ওয়েবসাইটে বলা হচ্ছে, ২০০৬ সালের চেয়ে ১১৫ গুণ বেশি জিএম শস্য চাষ হচ্ছে চীনে। পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিসপিস জানায়, ২০০৫ সাল থেকে চীনে জিএম ধানের ব্যবহার শুরু হয়। সেখানকার কৃষি বিশেষজ্ঞ ফ্যাং লিফেং বলেন, গত বছর হোবেই, হুনান, জিয়াংজি প্রদেশের বাজারে এই শস্যের কেনাবেচা দেখা গেছে। ইতোমধ্যে দেশটিতে তুলা, আলু, গোলমরিচসহ কয়েকটি জিএম বীজ চাষ করার অনুমোদন দেওয়া হয়। এছাড়া জিএম ভুট্টা ও সয়াবিন আমদানির ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু ১৩০ কোটি চীনা নাগরিকের প্রধান খাবার ধান চাষের ক্ষেত্রে জিএম বীজ ব্যবহারের ঘটনায় তৈরি হয়েছে চরম উদ্বেগ। গত মে মাসে সে দেশের কৃষিতত্ত্ববিদ তং পিংইয়া সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, দুই-তৃতীয়াংশ চীনা নাগরিকের প্রধান খাদ্য ভাত। ফলে জিএম বীজ চাষের মাধ্যমে চীনাদেরকে গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের দেশে জিএম ধানের চাষ করার কোনো দরকার নেই। এমনিতেই এখানে প্রচুর ধান উত্পাদন হয়।

জিএম ফুডের চাষ থেকে সরে আসতে গত বছর দেশটির ১০০ গবেষক চীনা পার্লামেন্ট ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের অধিবেশনে আহ্বান জানান। জিএম শস্য উত্পাদনকারী বহুজাতিক সংস্থাগুলোর দাবি, খরার ক্ষেত্রেও জিএম ধান চাষ করা যায়। উত্পাদনের ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রতিকূলতা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না। পরিবেশবাদী ও চীনা বিজ্ঞানিরা সতর্কতা প্রকাশ করে বলেন, মানবদেহ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর জিএম ফুড দীর্ঘমেয়াদে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। স্বাভাবিক শস্যের চেয়ে এটি চাষ করতে ৪-৫ গুণ বেশি খরচ হয়।

Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।