আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জিএম ফুড নিয়ে অপপ্রচার ও একটি নিরপেক্ষ আলোচনাঃ প্রেক্ষিত বাংলাদেশ

বিবেকহীন বুদ্ধিজীবী


বর্তমান বিশ্বে আলোচিত বিষয় গুলোর মধ্যে জিএমও বা জিএম ফুড অন্যতম। জিএমও বা জিএম ফুড নিয়ে বির্তক আজ নতুন কিছু নয় আবিষ্কারের শুরু থেকেই চলছে বির্তক। সমর্থনকারীদের সাথে সাথে রয়েছে অসমর্থকদের গ্রুপ যা বেশ শক্তিশালী। উভয় গ্রুপেই রয়েছে বিশ্বের নামকরা বিজ্ঞানীরা। বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই।

তবে সম্প্রতি বাংলাদেশের সমালোচনার মাত্রাটা একটু বেশী হঠাৎ সমালোচনার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণও রয়েছে। গত বছরের শেষের দিকে বাংলাদেশের আদালত থেকে বিটি বেগুন (বিস্তারিত সামনে আছে) নামে একটি প্রজাতির অনুমতি দেয়া হয় যার ফলেই সমালোচনা বেড়ে গেছে বলে মনে করা হয়। সমালোচনা হতেই পারে তবে তা গঠনমূলক হওয়াটাই কাম্য। কিন্ত সমালোচনাটা হচ্ছে একতরফা যা মোটেই কাম্য নয়। আমার মনে হয় জিএমও বা জিএমফুড বাংলাদেশের তথ্য সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছে।

তাই লেখতে বসা। চেষ্টা করবো পাঠকদের সামনে একটি নিরপেক্ষ আলোচনা করতে যা থেকে পাঠক সমাজ তথা কনজ্যুমাররা সিদ্ধান্ত নিতে সমর্থ্য হবে তারা কি করবে-
(বি:দ্র: আসলে স্নাতক পড়ালেখাটা ইংলিশ ভার্সন হওয়ার কারনে অনেক শব্দের শ্রুতিমধুর বাংলা অর্থ খুঁজে পাইনি। বানান ভুল মার্জনীয়)
জিএমও বা জিএম ফুড:
জিএমও এর পূর্ণরূপ হচ্ছে জেনেটিক্যালি মডিফাইড অরগানিজম অর্থাৎ এমন কোন অরগানিজম যার ডিএনএ সিক্যুয়েন্স পরিবর্তন আনা হয়েছে পরিবর্তনটা হতে পারে অন্য কোন অরগানিজম এর ডিএনএ প্রবেশ করানোর মাধ্যমে অথবা নির্দিষ্ট ডিএনএ সিক্যুয়েন্স বিলুপ্তির মাধ্যমে। আর জিএমফুড হলো এসকল অরগানিজম থেকে প্রাপ্ত খাদ্য অথবা যদি এসব অরগানিজমই খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। জিএমও থেকে শুধু খাদ্যই যে পাওয়া তা নয় বর্তমান বিশ্বে সর্বাধিক গুরত্বপূর্ণ কিছু ঔষধও জিএমও থেকে সংগ্রহ করা হয় যেমন রিকম্বিন্যান্ট ইনসুলিন।


জিএম ফুডের উপকারিতা:
জিএম ফুডের রয়েছে নানাবিধ উপকারিতা যেমন
১. পুষ্টিগুন বৃদ্ধি: যেহেতু নির্দিষ্ট ডিএনএ সিক্যুয়েন্সে পরিবর্তন আনা হয় তাই নির্দিষ্ট পুষ্টিগুণ বাড়ানো সম্ভব। যেমন গোল্ডেন রাইস যাতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন যা ভিটামিন এ এর প্রিকারসর এবং খাওয়ার পর মানব দেহে ভিটামিন এ তে পরিণত হয়।
২. গুণগত মান বৃদ্ধি: পুষ্টি গুন বৃদ্ধি ছাড়াও প্রোডাক্টের অন্যান্য মান বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
৩. ডিলাইয়েড রাইপেনিং: এর মানে হচ্ছে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে এমন ধরণের পরিবর্তন আনা যার ফলে বিভিন্ন ফল-ফলাদি দেরিতে পাকবে এব্ং পরিপক্ব হওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় পাবে।
৪. লঙ্গার শেলফ লাইফ: এর মানে হচ্ছে কোনো ফল বা প্রোডাক্টের লাইফ টাইম বৃদ্ধি করা যেমন টমেটোর একটি খারাপ দিক হলো এটি হাইলি পেরিশএবল বা দ্রুত পচনশীল।

জিই এর মাধ্যমে এমন একধরণের টমেটো ডেভেলপড করা হয়েছে যা স্বাভাবিকের তুলনায় অধিক সময় সজীব থাকে।
৫. ফ্লাড রেসিস্ট্যান্স বা বন্যা প্রতিরোধী ভ্যারাইটি উদ্ভাবন: বাংলাদেশের এবং সারা বিশ্বে এমন অনেক জমি আছে যেখানে বন্যা থাকার কারণে অনেক সময় চাষ করা যায়না। যার ফলে অনেক বিস্তীর্ণ এলাকা অনাবাদি থেকে যায়। জিই এর মাধ্যমে এমন ধরণের ভ্যারাইটি উদ্ভাবন যা বন্যার পানিতে চাষযোগ্য।
৬. ড্রট(খরা) রেসিস্ট্যান্স ভ্যারাইটি উদ্ভাবন: বাংলাদেশের এবং সারা বিশ্বে এমন অনেক জমি আছে যেখানে পরিমিত পানির অভাবের কারণে ভাল ফসল হয়না অথবা অনেক সময় চাষ করা যায়না।

এ সমস্যা সমাধানের জন্য জিই এর মাধ্যমে এমন জাতের ফসলি উদ্ভিদ ডেভেলপ করা যা কিনা খরা অঞ্চলে চাষ যোগ্য। একইভাবে লবনাক্ত এলাকার জন্য স্যালিনিটি রেসিস্ট্যান্স বিভিন্ন জাতের ফসলি উদ্ভিদ উদ্ভাবন করা সম্ভব।
৭. পেস্ট/পেস্টিসাইড রেসিস্ট্যান্স ভ্যারাইটি উদ্ভাবন: ভাল ফসল পাওয়ার অন্যতম প্রতিবন্ধক হলো ক্ষতিকর পোকামাকড়। অনেক সময় কীটনাশক ব্যবহার করেও ভাল ফল পাওয়া যায়না। সকল অঞ্চলেই এই সমস্যা দেখা যায়।

কখনো কখনো বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুডে সকল ফসল নষ্ট হয়ে যায়। আবার অনেক সময় ব্যবহৃত কীটনাশকও ফসলের ক্ষতি করতে পারে। এসকল সমস্যাসমূহ সমাধানের জন্য জিই খুবই কার্যকরী। যে বিটি বেগুণ নিয়ে বাংলাদেশের কথা হচ্ছে সেটি এক ধরণের পেস্ট রেসিস্ট্যান্স। ক্ষতিকর পোকামাকড় গাছে কামড়ালে গাছ থেকে একধরণের প্রোটিন নিসৃত হয় যার ফলে পোকাগুলো মারা যায়।

মনে রাখা প্রয়োজনযে যে প্রোটিন নিসৃত হচ্ছে তা মানুষের কোনো ক্ষতি করতে পারেনা যা গবেষণাগারে প্রমাণিত।
৮. পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ: পেস্ট/পেস্টিসাইড রেসিস্ট্যান্স ভ্যারাইটি চাষের ফলে আমাদের বিভিন্ন ধরণের কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়না। যার ফলে পরিবেশ দূষনের মাত্রাটাও কমে যায়।
৯. উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা/নিশ্চয়তা: বর্তমান বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগওলোতে যেমন আমাদের বাংলাদেশের যেভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং চাষযোগ্য জমির পরিমাণ যেভাবে কমছে তাতে একসময় সকল মানুষের জন্য পরিমাণমত কুয়ালিটি ফুড সাপ্লাই করা অচিরেই কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সংকর বা হাইব্রিড প্রোডাক্টস এর তুলনায় জিএম প্রেডিাক্টস অতি দ্রুত সফলতার মুখ দেখাতে পারবে।


জিএমফুডের অপকারিতা:
বিভিন্ন উপাকারী দিকের পাশাপাশি বেশ কিছু অপকারী দিকও রয়েছে। যেমন-
১. জিএমফুড বা জিএমও এর অন্যতম একটি অপকারীদিক হল হরিজনটাল জিন ট্রান্সফার তার মানে হচ্ছে যে জিনটা জিএমও বা জিএম ফুডে প্রবেশ করানো হয়েছে তা অন্য কোন উদ্ভিদ বা প্রাণীদেহে চলে যাওয়া। এক্ষেত্রে সাধারণত যেসকল সমস্যাগুলো হতে পারে তা হলো, স্থানান্তরিত জিনটি যদি হয় এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট তা হলে জন্মাতেপোরে “সুপার বাগ” আর জিনটি যদি হয় পেস্টিসাইড রেজিস্ট্যান্ট তা হলে জন্মাতে পারে ”সুপার উইড” যার উভয়টি কৃষকদের জন্য খুবই অ্যালার্মিং।
২. ইকোলজিক্যাল ইম্ব্যালেন্স হওয়ার সম্ভানা খুবই বেশী। নতুন প্রজাতির উদ্ভিদটি বাস্তুতন্ত্রের সাথে সঠিকভাবে অভিযোজিত নাও হতে পারে অথবা বাস্তুতন্ত্রের খাদ্যচক্রের সমস্যা ঘটাতে পারে।


৩. সীড কোম্পানীগুলো একক আদিপত্য বিস্তার করবে। এখন যেমনটি হচ্ছে হাইব্রিড ধানের ক্ষেত্রে। একসময় লোকাল ভ্যারাইটি বিলুপ্ত হতে পারে।
৪. যদি কোনো বীজ হঠাৎ করেই উৎপাদন ক্ষমতা হারাই তাহলে ঐ নির্দিষ্ট এলাকার উৎপাদনশীলতা হারাবে। ১৯৮২ সালে মনসান্টো নামক কোম্পানীটি বাজারে যে বীজ বাজারে এনেছিল সেক্ষেত্রে এমনটি হয়েছিল।

কৃষকরা সে বীজকে নাম দিয়েছিল “সুইসাইড সীড” হিসেবে। পরবর্তীতে বাজার থেকে প্রবল আপত্তির মুখে তা সরিয়ে নেয়া হয়।
৫. কিছু ক্ষেত্রে আনইনটেনডেড হার্ম বা অপ্রত্যাশিত ক্ষতির শংকা থাকতে পারে, যেমন একটি জিএম গাছ যে প্রোটিন নিসঃরণ করার ফলে ক্ষতিকর পোকা মারা যাচ্ছে তা অনেক সময় অপকারী নয় অথবা উপকারী এমন পোকা বা কীটের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাড়াতে পারে।
৬. কিছু এথিক্যাল রিজনস বা নৈতিক কারণ রয়েছে অনেকে মনে করে প্রকৃতির সাথে প্রফেশনাল বিহেভিয়ার মোটেই ঠিকনা অনেকে আবার ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এটাকে জায়েজ মনে করেনা।
৭. বিশ্বের কিছু দেশে লেবেলিং বাধ্যতামূলক নয়।

যা অনেক সময় গ্রাহকের সাথে একধরণের প্রতারণামূলক আচরন হিসেবে ধরা হয়।
এছাড়াও আরো অনেক উপকারীতা বা অপকারীতা আছে তবে আমার কাছে সেটা ততটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়নি। তার পরও যদি কারো ইচ্ছা থাকে নেটে সার্চ দিলেই প্রচুর তথ্য জানতে পারবেন।
যাইহোক এটাতো গেল শুধু মাত্র উপকারীতা বা অপকারীতা নিয়ে। এখন এসব বিবেচনায় বাংলাদেশের কি করা উচিৎ সে সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত মতামত দিবো অনেকের অপছন্দ আবার কারোও পছন্দও হতে পারে।


খেয়াল করুন বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি ১৯৭১ সালে স্বাধীন হয়েছিল অনেক আশা নিয়ে কিন্ত তা অনেকটাই অপূর্ণ রয়ে গেছে। জ্ঞান-বিজ্ঞানে যতটা অগ্রগতি প্রত্যাশা করা হয়েছিল তার ১০ ভাগও হয়নি। কেন হয়নি সেটা বলে লেখার কলেবর বৃদ্ধি করতে চাইনা। বাংলাদেশের জনসংখ্যা অতিদ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সেই সাথে পাল্লা দিয়ে কমছে ফসলি জমির পরিমাণ। খাদ্য সংকট প্রায়ই দেখা দেয় তবে তা সাহসীকতার সাথে মোকাবেলার কারণে ৭৪ এর পর এখনো তেমন কোনো সমস্যা হয়নি।


আমার দৃষ্টিতে বাংলাদেশ সবচেয়ে পিছিয়ে আছে বিজ্ঞানে। ২০১৫ সালের পর ঔষধ শিল্পে কি হবে কেউ জানেনা। ঔষধ কোম্পানীর সংখ্যা প্রায় ১০০ একশ ছুই ছুই কিন্ত নেই কোনো নিজস্ব প্রোডাক্ট।
বাংলাদেশকে এখনি ভাবতে হবে আজ থেকে ৫০ বছর পর কি কি সমস্যা হতে পারে এবং সেগুলোর মোকাবেলা্য় কি কি পথ রয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে একটা সমস্যা হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

তা কি শুধুই কনভেশনাল ব্রিডিং বা হাইব্রিডাইজেশন দিয়ে সমাধান করা যাবে? না গেলে আমারা আর কি করতে পারি? সে হিসেবে জেনেটিক ইঞ্জি. ও বায়োটেকনোলজি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে কিভাবে?
সবাই একমত হবেন যে বাংলাদেশের এখনই জিএম ফুডের ব্যবহার দরকার নেই। তাই বলে এটা নিয়ে গবেষনা বা দুই একটা জিএম ফুড ডেভেলপ করা যাবেনা তা কিন্ত নয়। বরং এ ক্ষেত্রে গবেষণার নতুন দ্বার উন্মোচন করা খুবই জরুরী। ভবিষ্যত খাদ্য সমস্যা মোকাবেলাই জিএম ফুড গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রাখবে বলেই মনে করেন বায়োটেক বোদ্ধারা। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে সফলতার সাথে বিটি বেগুন উদ্ভাবন করেছে যা আশাজাগানিয়া।

রাবিতেও একধরণের ধানের জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে বলে শুনেছি। গবেষণা চলছে সামনে হয়তোবা আরো ভাল খবর আসবে। হয়তো এক সময় জিএম ফুডের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে তখন বাংলাদেশ কি করবে তা এখনি ভাবতে হবে। যুদ্ধের ময়দানে অস্ত্র বানানো বুদ্ধিমানের কাজ নয়। ভবিষ্যত পরিকল্পনা এখন িনেয়া উচিত।

যদি ব্যবহার করতেই হয় তাহলে কি করতে পারে বাংলাদেশ? সেজন্য আন্তর্জাতিক মানদন্ডের সাথে বাংলাদেশের নিজস্ব কিছু শর্ত আরোপ করতে পারে যেমন লেবেলিং বাধ্যতা মূলক করতে পারে। তাছাড়াও উচ্চতর গবেষনার মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাধ্যতামূলক করতে পারে। সময়ের প্রয়োজনে হয়তো আরো অনেক রেগুলেশন যোগ করা যেতে পারে। এখন প্রয়োজন নেই বলেই যে এবিষয়ে কোনো অগ্রগতি সাধন করা যাবেনা তা কিন্ত নয়।
শুরুতেই বলেছিলাম জিএম ফুড তত্য সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছে সেটার ব্যাখ্যা দেয়া প্রয়োজন, বাংলাদেশের কিছু জ্ঞানী (!) আছেন যারা জিএমফুড কে ইতি মধ্যে এক এইডস এর সাথে তুলনা করেছেন কেও আবার সায়েন্স ফিকশনের মত লেখেছেন যে মানুষের শরীরে মাছের আঁশ (আইশটা)জন্মাবে আরো কত কি? আমি আসলে বুঝতে পারিনা তারা কেন এসব করছে প্রজেক্টের সাথে যুক্ত হতে না পারার ক্ষোভ থেকে নাতো?
একটা সময় ছিল মানুষ পোল্ট্রি মানুষ খেতনা বিভিন্ন সমস্যার কথা বলতো এ্রখন কিন্ত পোল্ট্রিই একমাত্র ভরসা।

আমার এক বড় ভাই এগ্রি ভার্সিটিতে পিএইচডিতে ভর্তি হয়েছিলেনতার টপিক এর সারমর্মটা ছিল এরকম যে পোল্ট্রি খাওয়ার পর মানুষের কি ধরণের রেসপনস হয়। তিনি এটা শেষ করেছেন কিনা জানিনা তবে তার আগেই যে পোল্ট্রি মানব সমাজের মাংসের ত্রানকর্তা হিসেবে হাজির হয়েছে সেটা সবাই জানেন। একটা জিনিস সবাইকে জানিয়ে রাখিযে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কিন্ত জিএম ফুড বা জিএম প্রেডিাক্টস মোটেই অবৈধ নয়। কারণ হিসেবে বলাহয়, শরীয়ত মানুষ এবং জ্বিন জাতির উপর ফরজ পশু প্রাণী বা গাছপালার উপর নয় যার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হলো ইনসুলিন।
সবশেষে সবার কাছে অনুরোধ মানুষকে সত্যটা পুরোপুরি জানতে দিন।

হলুদ সাংবাদিক বা হলুদ মিডিয়ার মত শুধু উপর মহল বা নিজের ভালোটা না দেখে অন্যের ভালোটা দেখার চেষ্টা করুন। অন্যের ভালো করতে না পারলে অন্তত খারাপ করবেননা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.