ডা: শাহরিয়ারের পোষ্ট
বিপ্লব কান্তিকে ধন্যবাদ আগের পোষ্ট মন্তব্যের জন্য তিনি জানতে চেয়েছেন আপনি কি মনে করেন না, বাংলাদেশের ডাক্তারদের অনেক পড়াশোনা করা উচিত ওষধ প্রয়োগের ব্যাপারে ?
আমি ভিন্নমত পোষন করছি। আমার ধারনা বাংলাদেশের ডাক্তাররা যথেষ্ট পড়াশোনা করেই ডাক্তার হন। এবং যেহেতু ডাক্তারি একটি টেকনিকাল পেশা সেহেতু তাদের নিয়মিত পড়াশোনা চালিয়েও যেতে হয়। একজন ডাক্তার জানেন ভুল চিকিৎসা করলে তার পেশাগত জীবনে বড় ক্ষতি হবে। তাই জীবিকার তাগিদেই ডাক্তাররা পড়াশোনা চালিয়ে যান।
আপনার ধারনা ভুল।
এবার আজকের প্রসঙ্গ ভিটামিন এ
এটি দেহের জন্য প্রয়োজনীয় একটি ভিটামিন। একে রেটিনলও বলা হয়। দৃষ্টিশক্তি, হাড়ের গঠন এবং ত্বকে ভিটামিন এর প্রয়োজন হয়। ভিটামিন এ'র আবিস্কার হয় ১৯১৭ সালে, এর কিছুদিন আগে ভিটামিন বি আবিস্কার হওয়ায় এটির নাম ভিটামিন এ রাখা হয়।
ভিটামিন এ'র উৎস
কলিজা , গাঁজর, মিষ্টি আলু, কুমড়া, পালং শাক, রঙ্গীন সবজী এবং ফল, ডিম ইত্যাদিতে ভিটামিন এ বেশী আছে।
ভিটামিন এ'র কাজ
দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখে, হাড়ের গঠনে সহায়তা করে, ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখে, বার্ধ্ক্য প্রতিরোধ করে।
ভিটামিন এ'র বিষক্রিয়া
প্রয়োজনের অতিরিক্ত ভিটামিন এ শরীরে জমা থাকে। যদি তার পরও অতি মাত্রায় ভিটামিন এ খাওয়া হয় তবে ভিটামিন এ বিষক্রিয়া দেখা দেয়। এর ফলে বমিভাব, বমি, পেটের সমস্যা ও জন্ডিস হতে পারে।
তাই ভিটামিন এ ওষুধ হিসাবে না খেয়ে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার মাধ্যমে গ্রহন করা উচিত।
ভিটামিন এ'র ব্যাবহার
রাতকানা রোগ, ত্বকের বার্ধক্য রোধ করতে, ব্রনের চিকিৎসায় ভিটামিন এ ব্যাবহার করা হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।