‘সাধ আছে, সাধ্য নেই’
দৈনন্দিন গণ কলাম, মন্তব্য প্রতি মন্তব্য ও টক শো পর্যবেক্ষণঃ
১. যেহুতু আমরা রাষ্টায়ত্ব সমাজবদ্ধ...। সুতরাং প্রয়োজনেই অপছন্দনীয় হলেও তুলনামুলক মন্দের ভালকে স্বাগত জানানোই বাঞ্চনীয় নয় কি?
২. শ্বাশত সত্য- জ্ঞান বিবেক চেতনাবোধ সম্পন্ন মানব অস্তিত্ত্বে মুখোশধারী নিরপেক্ষতা আর অপ্রকাশ্য অন্তঃস্থ সমর্থন সবই কিন্তু বুঝা যায় আচরণ ও আলাপ চারিতায়। যেমনঃ স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়-টক শোর কথনে, নিবন্ধের প্রতিপাদ্য বিবরণে, মন্তব্য প্রতি মন্তব্যের ইঙ্গিতে কে কোন দলের তথাকথিত নিরপেক্ষতা নামধারী মুখোশ পড়া সমর্থক। সুতরাং নীরব পক্ষাবলম্বনে আদৌ নিরপেক্ষতা বলতে কিছু আছে কি? মতের বিপক্ষ মানে স্বপক্ষ হয় কি?
৩. এক পক্ষের পছন্দনীয়/সমর্থিত সাঁজানো লোকবল সরানো মানে অপর পক্ষের পছন্দনীয়/সমর্থিত লোকবল নিয়ে আসা। এও তো প্রথম পক্ষের বিরুদ্ধে পক্ষপাত দুষ্ট বলে অবমুল্যায়িত।
তার মানে লেবেল প্লেয়িং হয় কিভাবে? সুতরাং বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলোর আচরণ সন্দেহাতীতভাবে প্রশ্নের মুখোমুখি দাড়িয়ে, তা নয় কি?
৪. আত্মস্বার্থে জাতীয় স্বার্থে মানবতার স্বার্থে স্থান কাল পাত্রের অবস্থা বিবেচনা প্রেক্ষিত প্রতি বিষয়ের সহিত প্রতি বিষয়ের তুলনামুলক (বাস্তব ও সত্য) চিত্র দাড় করাতে হবে তৃতীয় চোখের সামনে জের হিসেবে। যেন ‘দশটি ভালোয় একটি মন্দ কিংবা দশটি মন্দে একটি ভাল দৃশ্যত স্বাভাবিক’ এমন না হয়। সুতরাং গড়ে সমালোচনার বন্যার বান পরিহার করে সত্যকে সত্য- বাস্তবতাকে বাস্তবতা বলাই শ্রেয় নয় কি?
৫. জন্ম উৎস ও পরিধি,স্বাধীনতা অর্জন ও রক্ষা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি, শান্তি ও শৃংখলা, প্রযুক্তি ও প্রগতি, খাদ্য নিরাপত্তা, ভৌত অবকাঠামো, যোগাযোগ খাত, মানবোন্নয়ন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন, কৃষি উন্নয়ন সর্বোপরি দেশ প্রেম সহ সন্ত্রাস ভীতি, দূর্নীতি, স্বজন প্রীতি ও অনাচার নীতির তুলনামুলক কম বেশি জেরে ভালজেরকে উৎসাহিত আর মন্দজেরকে নিরুৎসাহিত করা বাঞ্চনীয় নয় কি কাঙিখত লক্ষ্য পরিপূর্ণ করণে?
৬. সংবিধানে কে কি প্রণয়ন করেছে? কে কি বিলুপ্ত করেছে- প্রশ্ন অবান্তর নয়। তার চেয়ে অধিক আবশ্যক বিবেচনাধিকার প্রশ্ন- কেন প্রণয়ন করতে হয়েছে? কেন বিলুপ্ত করতে হয়েছে? প্রয়োজনে কি প্রণয়ন প্রয়োজন? সুতরাং মানবতার দায় পারিপাশ্বির্কতা উপলব্দিকরণে সত্য ও বাস্তবতা সংরক্ষণ, নয় কি?
৭. হতে পারে সময়ের গণভুল গণ মাসুল ! যেমনঃ পলাশীর গণ অসম্পৃক্ততায় স্বাধীনতার পরাজয় আর ৭১এ গণ অভ্যূত্থানে স্বাধীনতার জয়। জনতা যেমন চাবে/নির্বাচন করবে তেমন ফল পাবে/ ভোগ করবে- এটাই তো সত্য ও স্বাভাবিক।
হতাশায় অবাক মন্তব্য প্রতি মন্তব্য কেন! সুতরাং চেতনাবোধে মন্দের ভাল নির্বাচনে মন্দের ভাল ফল অপেক্ষমান অনাগতকালে, নয় ভুলের মাসুলে পুনঃ আফসোস ললাটে, তা নয় কি?
৮. বিরোধী পক্ষ সর্বদা রিফ্রেশ ভূমিকায়! জনতা কচু পাতার মত চেতনায়! প্রতি সরকারে দায় বর্তায় তৎকালীন মন্দের গণ মানসিকতার। হায়! সত্য, সুন্দর, শান্তি ও গণকল্যানে আবশ্যক প্রয়োজন গণ চেতনাবোধে সত্য, সুন্দর, শান্তি ও কল্যানকর তুলনীয় পাদ প্রদীপ, যথা থাকবে আধাঁর থাকবে তৃতীয় চোখের তুলনামুলক পদক্ষেপ, তা নয় কি?
৯. দেশ আমার আপনার, বিবেক আমার আপনার, সিদ্ধান্তও আমার আপনার, অপেক্ষাকৃত ভাল থাকাও আমার আপনার। হতে পারে গণ ভুল গণ মাসুল! চিলের গল্পে কান না দিয়ে খুঁজি চেতনাবোধে সত্যের জাগরণি! অনাগত আগামী দিনের ভাবনায় শঙ্কিত ভীত এখনি! শুনতে পাচ্ছি ভয়ংকর দিনের আগমনের পদধ্বনি!
১০. আজ দন্ডায়মান আগামীর টার্নিং পয়েন্ট। সুতরাং পরম সম্মানিত কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌসুলী, কৌসুলী, শিল্পী সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও খেলোয়াড় সহ সুশীল সমাজ মার্জনীয় ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে মানবাধিকারে সাংবিধানিকাধিকারে সত্যের সন্ধানে গণকলমে জাগানিয়া জাগাতে হবে মননে, নহে ভীত অজ্ঞাত ভুলে যদি জ্ঞাত রাহু পুনঃগ্রাসে!!!
তো...........................................!!! ???
-০-
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।