ছবির এই নিরীহ রোলার কোস্টারটির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট হল, কাঠের তৈরী পৃথিবীর একমাত্র রোলার কোস্টার!! T-express নামের এই রোলার কোস্টারটির সর্বোচ্চ উচ্চতা (১৮৩ ফিট) থেকে এর ঢাল (Inclination) ৭৭ ডিগ্রী, যা কিনা ফ্রি ফলিং থেকে মাত্র ১৩ ডিগ্রী দূরে!!!! স্পীডও নেহায়েত কম না, প্রতি ঘণ্টায় ১০৪ কিমি। সবচেয়ে ঢালু এই রোলার কোস্টারটিতে চড়ে জান হাতে নিয়ে ফিরে প্রথম আলোর ব্লগে লিখতে পারাটা আসলেই একটা দারুণ অভিজ্ঞতা।
দক্ষিণ কোরিয়ার অসাধারণ একটি অ্যামিউজমেন্ট পার্ক 'Everland' এর অনন্য এক বৈশিষ্ট্য এই 'T-express'। আশেপাশে অনেক্ষণ ঘুরঘুর করে, শেষে সাহস নিয়ে দাঁড়িয়ে গেলাম লাইনে। বুকের মধ্যে বাজতে থাকা ড্রামটাকে শান্ত করতে পারছিলাম না কোনভাবে।
শেষ মুহূর্তে আগের রোলার কোস্টারের ২জনের কান্না দেখে হাল ছেড়ে দিল কয়েকজন। নিরাপত্তার জন্য উঠার আগে সবার চশমা জমা দিয়ে দিতে হল। আমার চশমার পাওয়ার খুব বেশি, তাই ভাবছিলাম চশমা ছাড়া দেখব কি করে। পরে অবশ্য দরকার হয়নি, চোখ পুরোটা সময় বন্ধই ছিল!! রোলার কোস্টারটি ছাড়ার পর প্রথমেই ধীরে ধীরে সর্বোচ্চ উচ্চতায় উঠতে থাকে......যখন প্রায় উঠে গেল, নিচের দিকে তাকিয়ে মনে হল চিৎকার করে বলি, "খাইসেরে, আমি আর পারতাম না, আমারে নামাই দে"। কিন্তু ততক্ষনে অনেক দেরী হয়ে গেছে।
তীব্র বেগে রোলার কোস্টারটি তখন নীচের দিকে নামছে আর এদিক ওদিক মোচড় খাচ্ছে। প্রচন্ড চাপে মাথাটা কোন ভাবেই উপড়ে তুলতে পারছিলাম না। প্রায় ৩মিনিটের আযাব শেষে যখন থামল, বুঝলাম বেচে থাকাটা কতই না সুখের!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।