আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সকলেই নারী নয়, কেউ কেউ নারী অথবা আমি কেন নারী স্বাধীনতায় বিশ্বাস করিনা



(এই লেখাটি শুধুই সেই তথাকথিতদের জন্য যারা নিজেকে নারী শুনতে কুন্ঠিত হয়) আমি নারী স্বাধীনতায় বিশ্বাস করিনা এর প্রথম এবং প্রধান কারন, নারী তার নিজের অস্তিত্বই স্বীকার করেনা। প্রকাশ্যে অথবা টক শো তে আমি অনেক নেত্রীস্থানীয় নারীর কথা শুনি। শুনে হাসি। একটা কিছু বলতে গেলেই মুখ বাঁকা করে অনেক নারী নেত্রী অথবা নারী সেলিব্রেটি হাস্যকর উত্তর দেন, নারীদের নারী বলবেন না। মানুষ বলবেন।

আরে! এইটা কোন কথা হলো? নারী বলা মানে কি, তাকে মানুষ হিসেবে অস্বীকার করা? আমাদের এই সকল `সো কল্ড' নারীরাই নারীদের বারোটা বাজিয়েছে। নারী হয়ে কি সমাজে মাথা উঁচু করা যায়না? কে অস্বীকার করে নারীদের? এই অধিকার দৌড়ে দৌড়াতে দৌড়াতে তাই এখনও কিছুই হলোনা। নারী স্বাধীনতা! সব স্ট্যান্ডবাজী মনে হয়। আমার এক বন্ধু এক নারী নেত্রীর মেয়েকে বিয়ে করে যে ধকল সহ্য করেছে তা বর্ণনা সম্ভব না। নারী স্বাধীনতার উচ্চকন্ঠ স্বাধীনচেতা নেত্রীর মেয়ে কতটা স্বাধীন তা তখন হাড়ে হাড়ে দেখেছি।

নারীরা আজো বঞ্চিত, আজো অসহায় এই ব্যান ব্যান কানের কাছে করতে করতে শুধু নারীর অসহায়ত্বেরই জানান দিয়ে যাচ্ছেন তারা। পাগলকে মনে করিয়ে দেয়া আরকি, পাগলা সাঁকো নাড়াস না। পাগলও ভাবে, ভালো কথা মনে করিয়ে দিলি। আপনাদের কি মনে হয় এই মিছিল মিটিং করে নারী স্বাধীনতা আনা সম্ভব? যে নারী পুরুষের বিরুদ্ধে কথা বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলছেন। তার ছেলের কোন নারীঘটিত সমস্যা তিনি কিভাবে মেটান? আমাদের নারীনেত্রীগন, সমাজের থিউরীবাজ বুদ্ধিজীবীগন নারী অধিকারের কথা বলেন অথচ সরকারকে চাপ দিয়ে নারী বিষয়ক আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে পারেননা।

আর পারলেও করবেন না। কারন সমস্যা মিটে গেলে তাদের ভাত নেই। টিভিতে চেহারা দেখানো বন্ধ। হাস্যকর। একজন নারী নিঃশব্দেই কত মহান হতে পারে তা একটু খুঁজলেই পাওয়া যায়।

একজন ফজিলাতুনেচ্ছা মুজিবের আজন্ম ত্যাগ, সহ্য ক্ষমতা না থাকলে একজন শেখ মুজিবের হয়তো 'বঙ্গবন্ধু' হয়ে ওঠা সম্ভব হতোনা। একজন আয়েশা ফয়েজের ত্যাগ না থাকলে এদেশে সম্ভব হতোনা হুমায়ূন, জাফর ইকবাল, আহসান হাবীবদের মতো কীর্তিমানদের পাওয়া। এমনি প্রমাণ আমাদেরও আশেপাশে অসংখ্য। একজন তারামন বিবি যখন নিজেই বিশেষন হয় তখন এই চিৎকার, চেঁচামেচি অর্থহীন। নিজের কাজই পারে নারীকে মুক্তি দিতে।

কিছু বাজে পুরুষদের জন্য কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে। সেটা আইন দিয়ে প্রতিরোধ করার ব্যবস্থা করান। নিজের ছেলেদের শেখান নারীর মূল্য। নারীর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাগান। এ দায়িত্ব আপনারই।

বারবার খারাপটাকে বড় করে না নিয়ে এসে, ভালো কিছু উপস্থাপন করুন। এদেশে অনেক ভালো কিছুও হয়। দেশের মানুষ এখন অনেক সচেতন। অনেক বোঝে। সুতরাং অনেক হয়েছে।

আপনি প্রথমত যদি নারী হিসেবেই নিজেকে স্বীকার না করেন তবে স্বাধীনতা চেয়ে কী লাভ? তাই এই নারী দিবসে প্রত্যাশা করি, সঠিক বিবেচনা, সঠিক হিসেব ধরে এদেশের নারীকে পথ দেখান। একটা দেশ বছরের পর বছর ধরে চালাচ্ছেন দুজন নারী। এরপর যদি নারী অধিকার না আসে তা হলে বুঝতে হবে এদেশে আর এটা সম্ভব না। কারন, উপরে পানি ঢেলে হয়তো বা কোন না কোন গোষ্ঠী গোরা কেটে নিচ্ছেন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.