আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অচেনা ৬ যুবক সেদিন বিডিআরে ঢুকেছিল



২২ জন আসামি সনাক্ত বিডিআর সদর দফতরে হত্যকাণ্ডের আগের দিন ২৪ ফেব্রয়ারি রাতে ৬ জন অচেনা যুবক ল্যান্স নায়েক শহীদের অতিথি হিসাবে অবস্থান করেছিল। তাদের ঘটনার দিন দরবার হলে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে অবস্থান করতে দেখা গিয়েছিল। সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত একজন সিপাহী এ তথ্য জানিয়েছে। অন্যদিকে, টাঙ্গাইল থেকে আটক বিডিআরের ২২ সদস্যকে লালবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এ নিয়ে এ মামলায় ২৭ জন আসামি হলো।

এই ২২ জন আসামি ঘটনার দিন সদর দফতরের কোয়ার্টার গার্ড ভবনে অবস্থিত বিডিআরের ৪ টি ব্যাটালিয়নের অস্ত্রাগার লুট করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পেয়েছে সিআইডি। সূত্র জানায়, রিমান্ডের প্রথম দিন সিআইডি গ্রেফতারকৃত ৫ বিডিআর সদস্যকে পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এরা হল ডিএডি তৌহিদুল আলম, ডিএডি আবদুর রহিম (৫৪), হাবিলদার আজাদ আলী (৫৪), নায়েক ফিরোজ আহমেদ (৫৩) ও সিপাহী জাকির হোসেন (২৪)। সিআইডির একটি সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে একজন বিডিআর সদস্য স্বীকার করেছে যে, ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ৬ জন অচেনা যুবক নায়েক শহীদের অতিথি হিসাবে ব্যারাকে অবস্থান করেছিল। তাদের গতিবিধিও ছিল রহস্যজনক।

ঘটনার দিন তারা দরবার হলের আশপাশে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘোরাঘুরি করেছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে ঐ সদস্য জানিয়েছে। এদিকে সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদের প্রথম দিন শেষে বিকালে তাদের টিএফআই সেলে নেয়া হয়। সূত্র জানায়, ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি যেসব বিডিআর সদস্য অস্ত্র হাতে বিভিন্ন গেটে দাঁড়িয়ে গুলি ছুঁড়েছিল তাদের ভিডিও ফুটেজ ও ছবি ঐ ৫ বিডিআর সদস্যকে দেখানো হয়। বিডিআর সদর দফতরের ভেতরে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চলাফেরার ভিডিও ফুটেজ ও ছবি তাদের দেখানো হয়। সূত্র জানায়, এই ৫ জন ঐসব ভিডিও ফুটেজ ও ছবি থেকে কয়েকজন বিডিআর সদস্যের নাম-পরিচয় জানিয়ে দিয়েছে।

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় টাঙ্গাইলে আটক ২২ পলাতক বিডিআর সদস্যকে রাষ্ট্রদ্রোহ, হত্যা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় লালবাগ থানার মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এ নিয়ে এ মামলায় ২৭ জনকে গ্রেফতার দেখানো হলো। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র এএসপি আব্দুল কাহার আকন্দের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর মুখ্য মহানগর হাকিম মুহাম্মদ আবদুল রহিম এই ২২ বিডিআর সদস্যকে গ্রেফতার দেখান। টাঙ্গাইল কারাগার থেকে তাদের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। গত ২৭ ফেব্রুয়ারী এই বিডিআর সদস্যরা টাঙ্গাইলে আটক হওয়ার পর ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

এরা হচ্ছে বিডিআর সদস্য সিপাহী রবিউল ইসলাম, সিপাহী মজিবর রহমান, সিপাহী মোহাফেজ কাজী, সিপাহী মিজান, সিপাহী জালালউদ্দিন, সিপাহী আলম আলী, সিপাহী শফিকুল ইসলাম, সিপাহী শাজাহান, সিপাহী আবুল হোসেন, সিপাহী আবদুর রাজ্জাক, সিপাহী সাজাহান আলী, সিপাহী বুলবুল হোসেন, ল্যান্স নায়েক বাদশা আলম, সিপাহী ইকবাল হোসেন, সিপাহী মাসুদ রানা, সিপাহী জিয়া, নায়েক আবু সাঈদ, সিপাহী তারাপদ মন্ডল, সিপাহী জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী নায়েক আবুল কালাম, হাবিলদার প্রশিক্ষক মমিন আলী ও সিপাহী আব্দুর রশিদ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে বলা হয়, টাঙ্গাইলে গ্রেফতার হওয়া বিডিআর সদস্যরা ঢাকার পিলখানার বিডিআর সদর দফতরে তাদের কমান্ডিং অফিসারের বিনা অনুৃমতিতে অস্ত্রাগার ও গোলাবারুদ ভান্ডারের তালা ভেঙ্গে জোর করে অস্ত্র ও গোলা বারুদ লুট করে। পরে তারা সেখানে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে পালিয়ে যায়। এছাড়া সদর দফতর থেকে উদ্ধার করা ১৭টি গ্রেনেড ধ্বংসের আবেদন জানান তিনি। আদালত ওই অবিস্ফোরিত গ্রেনেড নষ্ট করার আদেশ দেয়।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।