শ্রম আইন
বিশ্ব শ্রম বাজারে বাংলাদেশ অনেকটাই পরিচিত সস্তা শ্রমিক প্রাপ্তির জন্য৷ একটি দেশের উন্নয়নে শ্রমিক শ্রেণীর অপরিসীম গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও যে জায়গায় কাজ করে, সে জায়গার পরিবেশ, তাদের স্বাস্থ্যনীতি, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ছুটি সংক্রান্ত বিধি-বিধান, মজুরী অধিকার, নারী শ্রমিকদের জন্য বিশেষভাবে প্রাপ্য বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ইত্যাদি প্রাপ্য অধিকারের দাবিতে শ্রমিকদের সংগ্রাম আজকের নয়৷ সেই ১৮৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে দিনে ৮ ঘন্টার বেশী কাজ না করার দাবীতে শ্রমিকরা আন্দোলন করে৷ পুলিশ গুলি চালালে ১০জন শ্রমিক শহীদ হন৷ সেই ঘটনার স্মরনেই ১৮৯০ সাল থেকে আমরা মে মাসের প্রথম তারিখে মে দিবস পালন করে থাকি৷ শ্রমিকদের সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন আই.এল.ও. বিভিন্ন কনভেনশন গ্রহণ করেছে৷ আসলে এই কনভেনশনগুলো মূলত পৃথিবীব্যাপী স্বীকৃত কিছু মানবাধিকারকে অন্তর্ভূক্ত করেছে৷ আই.এল.ও-এর সকল সদস্য রাষ্ট্র আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এই মানদন্ডগুলোর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে, শ্রমিকদের এই অধিকারগুলো নিশ্চিত করবে এমনকি অন্য কোনো ব্যক্তি বা সংগঠন যদি এই অধিকারগুলো ভঙ্গ করে, তবে তার জন্য যথাপোযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে৷ পৃথিবীর সব দেশের মতো বাংলাদেশের সরকারও সব মিলিয়ে ১০০ টার মতো শ্রম আইন ও অধ্যাদেশ প্রণয়ন করেছে৷ আর এগুলোতে উল্লিখিত অধিকারের সংখ্যাও কম নয়৷ এ সকল আইনে অধিকার পেতে হলে শ্রমিকদের নিয়োগপত্র থাকতে হয়৷ ঘন ঘন কারখানা বদল করার কারণে অধিকাংশ নারী শ্রমিক আইনানুগ প্রতিকার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে৷ এছাড়া বিভিন্ন অনানুষ্ঠানিক খাত যেমন কৃষি, প্রিন্টিং, মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ, ইটভাটার কাজে নিয়মকানুন নেই বললেই চলে৷ এছাড়া শুধুমাত্র শহরেই চরম দারিদ্র্যের কারণে ১৫ বছরের কম বয়সীদের নানা ধরনের শ্রমে নিয়োজিত হতে হচ্ছে৷ আবার আরেকদিকে যেসব শ্রমিক ভাল চাকরির বাজারের আশায় অন্য দেশে গিয়ে বিভিন্ন প্রতারণার শিকার, তাদের নিয়েও আমরা উদ্বিগ্ন৷
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।