আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পক্ষ যদি নিতেই হয় তবে,



মানুষ হিসাবে আমরা কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে কোন একটা পক্ষ নেবার চেষ্টা করি। বিডিআর বিদ্রোহের সময়ও দেখা গেলো যে প্রথমত আমরা (বেশীরভাগ মানুষ) বিডিআরদের পক্ষে হেলে গেলাম। কারন আর্মির প্রতি সহজাত এবং যৌক্তিক বিদ্বেষ এবং বিডিআরদের দাবীগুলোর প্রতি সহমর্মিতা। ভাবলাম যে বিডিআর ঠিক করেছে, আর্মির কোন একশনে যাওয়া উচিৎ নয় এবং বিডিআরদের কোন ক্ষতি করা যাবে না। আবার বিদ্রোহ দমনের পরে কিছু বিডিআর জওয়ানের বেপোরোয়া হত্যা, লুঠতরাজ এবং অপরাধের শিকার অফিসারদের লাশ দেখে, তাদের স্বজনদের দুরবস্থা দেখে আমরা চলে গেলাম আর্মিদের পক্ষে।

এবার বিডিআরদের ক্ষমা নাই, বিচার করতে হবে, ফাঁসি দিতে হবে। তাদের কোন দাবী নাই মানার প্রশ্নই উঠে না। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে এসব কোন পক্ষই নেওয়াই আসলে বোকামীর নামান্তর এবং ক্ষতিকর। এতে কাঁদাছোড়াছুড়ি আর বিভাজন বাড়বে, সুবিবেচনা করা যাবে না এবং ষড়যন্ত্রকারীরা আরো সুযোগ পেয়ে যাবে। আর একান্তই যদি পক্ষ নিতেই হয়, পক্ষ-বিপক্ষ ছাড়া যদি আমরা থাকতেই না পারি, তবে একটা পক্ষই আমরা নিতে পারি এই সময় তা হলো দেশের পক্ষ।

আর সুস্থ মস্তিস্কে যদি দেশের পক্ষ নিয়ে চিন্তা করি তাহেল দেখছি যেটা করা দরকার তা হল দ্রুত এই ক্ষত সারিয়ে তোলার ব্যাবস্থা করা। সেজন্য বিডিআর আর্মি বিভাজন করা যাবে না কোন ভাবেই। এমন কোন পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না যাতে জল আরো ঘোলা হয়। খুঁজে বের করতে হবে বিডিআর বা আর্মির সাধারন জওয়ানদের এমন কোন ক্ষোভ আছে কিনা যা বারুদের স্তুপের মত বিস্ফোরিত হতে পারে। আর অবশ্য দেখতেই হবে কে বা কারা এসব বারুদের স্তুপ খুজে তাতে অগ্নিসংযোগ করে, ধ্বংসের পৈচাশিকতার মাধ্যমে স্বীয় স্বার্থ হাসিল করতে চায়।

আর না হয় এমন অসহনীয় ধ্বংস যজ্ঞের মধ্যে আমাদের আবারও যেতে হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.