ইচ্ছে হয় ঘুরে বেড়াই
নিছকই বেতন-ভাতা, সুযোগ সুবিধা বাড়ানের লাইগা বা ইউএন মিশনে যাওনের লাইগা বা ডালভাতের টাকা না পাইয়া ক্ষিপ্ত নিরীহ বিডিআর জওয়ানরা বিদ্রোহী হইয়া ওঠেন এবং তারাই হঠাৎ মাথা ঠিক না থাকায় ঠাসঠুস গুলি কইরা অফিসারগো মারছে- এই কথা বিশ্বাস করনের আর কোন কারণ নাই। অবশ্যই বিডিআর সদস্যরা তাগো কিছু দাবি দাওয়ার লাইগা ক্ষিপ্ত হইছিলো, কিন্তু এই উদ্দেশ্যের মুলা ঝুলায়া তাগো দিয়া কেউ ফায়দা হাসিল করছে। শখানেক লাশ পাওনের পর এইটা আর অবিশ্বাস করন যায় না। অবশ্যই এর লগে সব বিদ্রোহীও সরাসরি আছিল বলে ঢালাও মন্তব্য করার কারণ নাই। কিন্তু এই হত্যাকান্ডের পিছনে যে অন্য কিছু আছিলো, তা নিশ্চিত।
অহন জরুরি কাম হইলো, বিডিআর না আরমি এই পক্ষাপক্ষি না কইরা চুপ থাকা। আর সরকারের কাম হইলো সত্য সত্যই ভিতরে কি হইছিলো তা খুইজা বাইর করা। দুইটা বিষয়ে আপনাগো দৃষ্টি আকৃষ্ট করবার চাই:
১. গতকাল ২ বিদেশী নাগরিকরে পিলখানার মধ্যে থাইকা ধরা হইছে। রাব তাগো পাসপোর্টও জব্দ করছে। মিডিয়ায় খবর আসে নাই।
ক্যান? তারা কে? কোন দেশের নাগরিক? (সূত্র হইতাছে, আইএনবি বইলা এক বার্তা সংস্থা এই নিউজ করছে)
২. নিহত গুলজার সাব রাবে থাকনের সময় জঙ্গিগো বিরুদ্ধে জবর ইনভেস্টিগেশন চালাইছেন। সেই সেক্টরে তার সাফল্য বহুত। বারী সাবও ডিজিএফআইয়ে থাকনের সময় জঙ্গিগো বিরুদ্ধে তদন্ত করছেন ভালোমতো। গুলজার আর বারী সাবের মধ্যে এই বিষয়ে সমন্বয় আছিলো। এইটা কি কাকতালীয়? নাকি অন্য কিছু আছে এর মধ্যে? যে অফিসাররা মারা গেছেন, তাগো রেকর্ড চেক করা জরুরি।
সেইখান থাইকাই হয়তো গুরুত্বপূর্ণ ক্লু পাওন যাইতে পারে।
আর শেষে কই, গুজব ছড়ায়েন না, অতি বামপন্থীগো শ্রেণীসংগ্রাম এর মধ্যে টাইনেন না, পক্ষ নিয়েন না, কাউরে পচায়া কাউরে ভালো করনের মিশন নেওনের দরকার নাই। অহন দুঃসময়। দুঃসময়ে সমস্যা মোকাবেলার কথা ভাবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।