এর সত্যাসত্য নিয়ে সন্দেহ থাকতে পারে, তবে পাড়ার দোকানে ফেক্লিলোড করতে গিয়ে এ কাহিনীটি শুনি, যার আত্মীয় সপরিবারে থাকতেন পিলখানাতে-
ঘটনার সূত্রপাত বিডিআর দরবার হলে। বিডিআর সপ্তাহ চলাকালে বৈঠকে ডি.জি সাতহব ডাল-ভাত কর্মসূচীর হিসাব দিয়ে জানান, খুব বেশী লাভ হয়নি। যা হয়েছে তা দিয়ে কয়েকজনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে আর আজ কয়েকজনকে পুরস্কৃত করা হবে। তখন একজন জোয়ান উঠে দাঁড়িয়ে বলে , "কোন নয় জনকে পুরস্কৃত করা হল, তা তো জানলাম না। আর কাকে কাকে পুরস্কৃত করা হবে।
" ডি.জি গালাগালি দিয়ে বলেন, ... ... চুপ, .... বাচ্চা, ...জাদা, আমার দরবারে কথা বলিস?" তখন আরেক জোয়ান বলেন, "কি ব্যাপার গালাগালি করছেন কেন?" ডি.জি. বলেন, "কত বড় সাহস" ... ... এখনি এদেরকে ফ্রিজিং রুমে (না-কি যেন) নিয়ে যা" । তিনি গার্ডের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নেন।
তখন জোয়ানরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে। ছত্রভঙ্গ হয়ে দরবার হল থেকে বের হয়ে একত্রিত হয়ে হামলা চালায়। এ ঘটনার আর্মি অফিসারটি নিচু হয়ে স্ক্রল একপাশে হটতে থাকেন।
দরবার হলে গোলাগুলি শুরু হলে তিনি বাথরুমে ঢুকে পড়েন। সেখানে দরজা আটকে ইউনিফর্ম খুলে চুপচাপ অবস্থান রেন। দরবার হলে গোলাগুলি শেষ হবার পরও ওখানে অবস্থান করেন। তার পরিবারকে sms করে তার অবস্থান উল্লেখ করে জানান, তিনি সুস্থ আছেন। এরপর বাইরে কি হচ্ছে তা জানতেন না।
রাত হলে কোনরকমে বাথরুমের বাইরে আসেন ড্রেস ছাড়া। বের হয়ে ম্যানহোল পেয়ে সেটাতে নেমে পড়েন। ম্যানহোল দিয়ে এগুতে এগুতে একসময় গলা পানিতে এসে আর আগাননি। রাতে ওখানেই অবস্থান করেন। পরিবারকে জানিয়ে দেন তার অবস্থান।
আস্বত্ব হন পরিবারের লোকজন।
রাতে জোয়ানরা ম্যানহোলে টর্চের আলো ফেলে দেখে যায়। ভাগ্যক্রমে তার অবস্থান তারা বুঝতে পারেনি। পরে ্ওই ম্যানহোল দিয়ে ফেলে কয়েকটি লাশ। তিনি অন্ধকারে বুঝতে পারেননি, কার কার লাশ।
সকাল হলেও তিনি ওখানেই অবস্থান করেন। একসময় প্রচন্ড ক্ষুধা লাগলে একটি ইঁদুর খেয়ে ফেলেন।
বিকাল ০৪:০০টার পর মাইকে শুনতে থাকেন, পুলিশ ঘোষণা করছে, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে, BDR আত্মসমর্পণ করেছে। যে যেখানেই আছেন, যেন বেরিয়ে আসেন। এ ঘোষণা শোনার পরও তিনি আরও দু'ঘন্টা অবস্থান করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন / বোঝার চেষ্টা করেন।
এরপর বের হওয়া নিরাপদ মনে করলে তিনি বাইরে আসেন।
এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় সি.এম.এইচ হাসপাতালে।
(এ.টি.এন বাংলায় এক আর্মি অফিসার বললেন, ডিজি কোন আগ্নেয়াস্ত্র নেননি, আসল ঘটনার সূত্রপাত কি কে জানে?)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।