কেউ কেউ একা
সকালের দিকে অফিসে আসার পথে লোকজনের ছুটোছুটি আর দৌড়াদৌড়িতে যা জানতে পারলাম তাহল- বিডিয়ারের সদর দপ্তরে চলছে গোলাগুলি। আমার বাসা বিডিয়ার সদর দপ্তেরর পাশে- সেকশনে। কানে আসছে গুলির শব্দ। ফট ফট। এক একজন এক এক কথা বলছে।
কেউ বলছ- নিজেদের মধ্যে অন্তদ্বন্দ্বের ঘটনা, কেউ বলছে বিডিয়ারের সাথে জঙ্গিদের সংঘাতের কথা, আবার কেউ কেউ বলছে- সেনাবাহিনীর সাথে সংঘর্ষ। আসলে কি হচ্ছে? এ কিসের আলামত?
অফিসে এসে নিউজ রুমে চলে গেলাম। প্রতিনিয়ত খবর নিচ্ছি। আকাশে হেলিকপ্টার উড়ছে। গুলি ছুঁড়ছে ।
ধোঁয়া উড়ছে। লাশ পড়ছে। সরকার তাদের দাবি-দাওয়া মেনে নেবে বলে অভিমত প্রকাশ করেছে। তাহলে কি তাদের চাওয়া যা পূরণ হচ্ছে না? বিন্দু বিন্দু জল জমে পরিণত হয় মহাসাগরে। তাহলে বিডিআরের এই ক্ষোভ, এই ঘৃণা, আত্মহনের খেলা কি অনেক দিনের জমানো ঝড়ের বহিঃপ্রকাশ? এ কিসের ইঙ্গিত বহন করে? অশুভ ইঙ্গিত কি বহন করে না এই বিদ্রোহ? নানা দিক দিয়ে পরিবেশটা ঘোলাটে হয়ে আসছে।
রাজধানীতে চুরি, ছিনতাই, হত্যা, বাড়ছে। আমারই সহকর্মী মারা যাচ্ছে।
বিডিয়ারের সদর দপ্তরে মারা গেছে অনেক। কজন মারা গেছে তা আমরা জানি না। মিডিয়াকে কিছুই জানতে দেয়া হচ্ছে না।
বিভিন্ন হাসপাতালে যারা আছে তাদের খরবই পাচ্ছি। বিডিয়ারের হাসপাতালে অনেক অবস্থাখারাপ রোগী রয়েছে। তাদের স্বজনরা বিভিন্ন হাসপাতালে নেবার অনুরোধ জানিয়েছে। একজন রিকশাচালক মারা গেছে। কেউ বলছে মারা গেছে ১৫ জন, কেউ বলছে ৩০ জন।
আমাদের জানা দরকার আসলে বিডিয়াররা কি চায়? কেন তাদের এই বিদ্রোহ? নেপথ্যের নায়ক কারা? পরিস্থিতি এখনো সামাল দিতে পারিনি সরকার? এ ব্যর্থতা তাদেরই নিতে হবে।
শুনিছি- কারফিউ হবে। কিন্তু কোন সঠিক খবর পাচ্ছি না। চারদিকে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে জনগণের দিকে চেয়ে।
গোটা দেশ তাকিয়ে আছে এই রহস্যজনক বিদ্রোহের দিকে।
প্লিজ, এই রহস্যের দ্বার উন্মুক্ত করে দিন। বিদ্রোহ থামান। দেশ বাঁচান। ন্যায্য পাওনা বুঝে দিন। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করুন।
যে যায় লঙ্কায়- সে-ই হয় রাবণ'- এ প্রবাদটি মিথ্যে প্রতিপন্ন করুণ। প্লিজ.. প্লিজ..
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।