তৃতীয় বিশ্ব নয়, বাংলাদেশকে দেখতে চাই প্রথম বিশ্বের কাতারে
"জঙ্গি নেতা মামুনুর রশীদ ওরফে মামুন হাতকড়া পরা অবস্হায় টেবিল থেকে একটি বোমা তুলে সাংবাদিক ও পুলিশ কর্মকর্তাদের দিকে ছুড়ে মারেন"
"গতকাল শুক্রবার বিকেল সোয়া পাঁচটায় গাজীপুরের পুলিশ সুপারের (এসপি) কার্যালয়ের দোতলার সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে বন্দী অবস্হায় জামাতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) কমান্ডার মামুন আচমকা বোমা ফাটিয়ে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটান"
"এসপি কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রায় ৪০ জন সাংবাদিক উপস্হিত ছিলেন। ব্রিফিং শেষ হওয়ার পরে আসা কয়েকজন সাংবাদিকের অনুরোধে দ্বিতীয় দফা ব্রিফিং শুরু হয়। এ সময় টেবিলে রাখা পাঁচটি তাজা বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম দেখানো হয়। এ সময় টেবিলের পেছনে চার জঙ্গিকে দাঁড় করিয়ে ছবি তোলার প্রস্তুতি চলছিল। তখন সুযোগ বুঝে জঙ্গি মামুন একটি বোমা তুলে ছুড়ে মারেন।
"
"গাজীপুরের এসপি আবদুল বাতেন প্রথম আলোকে বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় কোন একটি অনুষ্ঠানে হামলার জন্য জঙ্গিরা এসব বোমা তৈরি করেছিল বলে গ্রেপ্তারের পর জানিয়েছে। তিনি বলেন, বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে জঙ্গি মামুন যে বিস্ফোরন ঘটায়, তাতে পুলিশের কোন অসতর্কতা আছে বলে তিনি মনে করেন না। কারন সব ধরনের সতর্কতা মূলক ব্যবস্হা নেওয়ার পরও এ ঘটনা ঘটে গেছে। "
(প্রথম আলো)
খুবই দুঃখ জনক এবং লজ্জাজনক ঘটনা। দুঃখজনক এ জন্য যে, এ ঘটনায় তিন সাংবাদিক ও নয় পুলিশ সদস্যসহ ১৩ জন আহত হন।
আর লজ্জাজনক এ জন্য যে, এই ঘটনা প্রমান করে আমাদের পুলিশ বাহিনী কত অদক্ষ।
প্রথম নিউজ ক্লিপে বলা হয়েছে "হাতকড়া পরা অবস্হায় টেবিল থেকে একটি বোমা তুলে সাংবাদিক ও পুলিশ কর্মকর্তাদের দিকে ছুড়ে মারেন"। আমার প্রশ্ন হচ্ছে- হাতকড়া পরা অবস্থায় একজন মানুষ কিকরে বোমা ছুড়ে মারতে পারে? কারন হাতকড়া পরানোর নিয়ম হচ্ছে দুই হাত পেছন দিকে থাকবে যাতে সে হাত ব্যবহার করতে না পারে। এবং এ অবস্হায় বোমা ছুড়ে মারা কিছুতেই সম্ভব না। তার মানে হাতকড়া পরানো হাত দুটো নিশ্চই সামনের দিকে ছিল যা অদক্ষতা প্রমাণ করে।
তৃতীয় নিউজ ক্লিপে বলা হয়েছে "এ সময় টেবিলে রাখা পাঁচটি তাজা বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম দেখানো হয়। এ সময় টেবিলের পেছনে চার জঙ্গিকে দাঁড় করিয়ে ছবি তোলার প্রস্তুতি চলছিল। তখন সুযোগ বুঝে জঙ্গি মামুন একটি বোমা তুলে ছুড়ে মারেন"। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, ছবি তোলার জন্য জঙ্গিদের তাজা বোমার কাছে রাখতে হবে কেন? এক্ষেত্রে সাংবাদিকদের কমন সেন্সের অভাব প্রকাশ পায়না কি? কারন যাদের ছবি তোলার প্রস্তুতি চলছিল তারা কোন মডেল নন বরং সেই ভয়ংকর আসামী যারা নিজের জীবনের পরোয়া থোরাই করেন।
আমি হতবাক হয়েছি এসপি আবদুল বাতেনের বক্তব্যে।
তিনি বলেছেন-"পুলিশের কোন অসতর্কতা আছে বলে তিনি মনে করেন না। কারন সব ধরনের সতর্কতা মূলক ব্যবস্হা নেওয়ার পরও এ ঘটনা ঘটে গেছে"। পুলিশের সতর্কতার নমুনা যদি এই হয় তাহলে আমি অন্তত এই বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করিনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।