অশুভ শক্তির মুখোশ উন্মোচনেই তৃপ্তি
আওয়ামী লীগের দিন বদলের সাহসী ডিজিটাল কর্মীরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৎপর হয়ে উঠেছে। সোনার ছেলেদের কার্যক্রমের গতিতে জাবি এখন দেশের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
চায়ের কাপে ঝড় তুলতে পারাটা ছাত্রলীগের এক প্রাচীণ ঐতিহ্য। ক্ষমতার স্বাদ পেলেই কিছু কাজ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনগুলো করতে বেশ মজা পায়। যেমন, ভারতের সাথে সার্বভৌমত্ব চুক্তি করতে আগ্রহ প্রকাশ, বিভিন্ন স্তরে ইসলামের উপাদানগুলোকে মুছে দেবার প্রয়াস, ক্যাম্পাস দখল আর প্রশাসনে দলীয়করণ, শিক্ষাব্যবস্থাকে ইসলাম থেকে মুক্ত করা ইত্যাদি ইত্যাদি।
দেশের মানুষ কী ভাবছে না ভাবছে তাতে তাদের কোনো দায় নেই। অন্য সবকিছুর আগে তারা এ কাজগুলো করবেই।
আর করবেই বা না কেন? দেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি তারা। দেশকে স্বাধীন করেছে তারা... এখন তারা যদি দেশটাকে ইচ্ছেমতো না পরিচালনা করতে পারে, তাহলে কি আর প্রেস্টিজ থাকে?
কিন্তু সমস্যা হলো যে, মাঝে মাঝে তরুণরা উচ্ছ্বসিত আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে গিয়ে বিপত্তি ঘটিয়ে ফেলার উপক্রম করে। করবেই না বা কেন? এই দলের কর্মী হিসেবে তারাও নিশ্চয়ই দেশের মালিক! সুতরাং, নেতাদের মতো তাদেরও তো ইচ্ছে হয় একটু পেশিশক্তি দেখাতে।
অস্ত্র নিয়ে ভাবের সাথে চলতে। আর নারী নিয়ে ফূর্তি তো আবশ্যক!
জাহাঙ্গীর নগরে যা হয়েছে, তাতে তেমন অবাক হবার কিছু নেই। আগেও তারা এই ক্যাম্পাসে নারীফূর্তির মহোৎসব করে হাইকমান্ড থেকে প্রটেকশন পেয়েছে আর এবার তো সামান্য অস্ত্র নিয়ে দুই গ্রুপের মহড়া। এ আর তেমন কী? আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কথা ভাবছেন? আরে... তারা কেন মিছেমিছি সোনার ছেলেদের বাধা দেবে? সোনার ছেলেদের অস্ত্রমহড়ায় তারা তাদের পাশে থেকে সাহায্য করেছেন! কারণ, এরাই যে দেশের ভবিষ্যৎ!
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।