আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পুরানা কবিতা কয়েকখান

উন্মাদ খুলির পৃষ্ঠাগুলি

রেলকলোনীর বাগানে গভীর ঘুমের মধ্যে রেলকলোনীর বাগানে গিয়ে একলা বসে থাকে গোলাপী খরগোশ, ভরাট হয়ে যাওয়া নদীর উপকথা খুব শিশুহাসি থেকে গড়িয়ে পড়ে, এইসবে মায়া জগৎ জড়ানো ছোট ছোট ফুলের কুঁড়ি ফুটে ওঠে। ভোরের দিকে যেখানে টাল খেয়ে সরে গেছে নদীর কূল। ফুলের ভরা গন্ধের ঢেউ এসে ভেঙে দেয় জানালার কাচ, ষোল-ষোড়শীর গ্রীবায় টুকরো হয়ে হয়ে ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দে, অনেক সবুজের ভেতর অজস্র মেঘ ভেঙে পড়া একটি ছবির অভ্যন্তরে সিএনজি চালকের মুখের একাংশ গলে পড়ছে। ....আমি নির্জন পকেটে তুলে নিচ্ছি আঙুলের রঙ, শরীরের গন্ধগুলো উড়ে উড়ে রাস্তার ডিভাইডারে সৌন্দর্যবর্ধন খুলে উড়িয়ে দিচ্ছে সাপের চোখাচোখি, নৈতিকতার প্রশস্ত গদির ওপোর আমার বেহালা বাজেনা, ছিন্ন হয়ে যায় প্রফুল্ল ঠোঁট, বালিশের কোণে কথা জমে জমে বরফ ও ফুল, পাখি হয়ে ওড়ে বিছানায়, ইলেট্রিক সুইচবোর্ডেও হারানো দিনের গান বেজে বেজে থেমে যায়। কত দূর থেকে এসে ফিরে যাওয়া মনো-পীড়নের তারের সাথে তোমার রুমাল উড়তে থাকে.. ট্রেন ফেরত বাতাসের ঘুঙুরে ঘুঙরে।

মনের ভেতর ফূর্তি রাখো মনের ভেতর ফূর্তি রাখো, টেবিলে সাজিয়ে রাখো রাত, পুঁই মাচা থেকে নামিয়ে রাখো বিকাল, যেখানে গরুর খোয়াড়ে নতুন করে গড়ে উঠেছে চাদোকান কাঁচা রাস্তার পাশে ইউক্যালিপটাস সন্ধ্যার দিকে ওখানে তুমি আড্ডায় গালের ওপোর রাখো হাত, শবাগার থেকে চাঁদ নেমে এসে ছুঁয়ে যাক বিছানার কাঁধ, তবু জানালায় চোখ রেখে পেঁপে গাছটা দেখো- বিফলে যাওয়া চোখাচোখি রিকসার ওপোর হাসিতে হাসিতে তত্ত্বাবধায়ক রোদের নিচে উপুড় হয়ে যাক, তৃষ্ণার পেটি দেখে নিক আমাদের রঙ্গিলা চশমার কাচ, নাচো নাচো নাচাও চোখের তারা ... ছাদের ওপোর ছাদের ওপোর অনেক টব। আলতা পায়ের ছাপ। ছাপের ভেতর অনেক রাতের তারা। টুথব্রাশের ভাঙা দাঁত, শাদা। টবের গাছে হাওয়া লেগে দুলছে পাতা।

পাশের জানালা গলে পড়ছে দেয়ালে। রক্তের দাগের মধ্যে গোপনে গজিয়ে উঠছে একাকীত্বের ফাঁদ। সে যে সিকোয়েন্সে ডুবে আছে তার চারধারে পা ছড়ানো রোদগাছ। বহুগামী রাস্তায় মিলিয়ে যাওয়া পথচারীদের পায়ের শব্দ। ফুটপাথে দেখা যাচ্ছে বেহালা বেজে চলেছে একটানা।

সেইখানে ফুটিয়েছি কুয়াশা স্টেশান। রোদেরোপর গড়েছি সানাই তার সুরের মধ্যে, স্নায়ুর মধ্যে, মুগ্ধতার ভেতর, সন্তপর্ণে সুরা ঢালি। বালকবেলা ঘাসের স্পর্শ, কামারশালার লাল জ্বলে ওঠা তন্ময়তাও ঢালি। রাস্তায় বেহালাবাদক ঘাড় ঢেলে দেয়। মাথাও কোনো কালে এমন বর্ষা যেনো দেখেনি এমনি মুখোশের ভেতর চুমু গড়িয়ে নদী, বিকল্প সেতুর পাশ থেকে দেখা শশ্মান, কলকি সাজানো মায়া, মায়ার ডোরে তুমি কত সুন্দর! কাকাতোয়া।

খাচার ভেতর ভেঙে-যাওয়া আমি, ছিটকে পড়া ছাদের ওপোর টবের গাছে একটু আধটু বাতাসের দুলুনি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.